Ghyan ChokkhuBy Ashapurna Devi Class 10 Part 1 Sahitya Sonchayan X |
প্রিয় শিক্ষার্থীরা আশা করি তোমরা সকলে পুজো খুব ভালোই কাটাচ্ছো আনন্দের সঙ্গে। তোমরা তোমাদের প্রিয় বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে পুজোয় বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে বিভিন্ন প্রতিমা বা ঠাকুরের পরিদর্শন করছো হিন্দু-মুসলিম সমস্ত জাতি একসঙ্গে ভাই বোন হিসাবে, তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গিয়ে সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বা দর্শক হয়ে বেশ আনন্দ নিচ্ছি। তবে আনন্দে নেওয়া ভালো জিনিস একসঙ্গে থাকা ও সকলে মিলেমিশে থাকা এর মত শ্রেষ্ঠ উপায় কিছু নেই। আমরা চাই যে তোমরা ভালো থেকো, সুস্থ থেকো তোমাদের জীবন আনন্দে খুশিতে ভরে উঠুক। আমাদের তরফ থেকে অর্থাৎ ডিজিট্যাল পড়াশোনা -র তরফ থেকে তোমাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও পূজা-পার্বণ উপলক্ষে একান্তই শুভ কামনা জানাই । তোমাদের এই পূজো পার্বণ এর মাঝে একটু সময় বের করে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে আর তার জন্য আমরা নিয়ে চলে এসেছি Ghyan ChokkhuBy Ashapurna Devi Class 10 Part 1 Sahitya Sonchayan X | জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী দশম শ্রেণি গল্প সাহিত্য সঞ্চায়ন তোমাদের সামনে দশম শ্রেণীর জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবীর রচিত গল্পের মূল বিষয়বস্তু ও লেখক পরিচিতি সম্পর্কে আজ আমরা কবি পরিচিতি ও পাঠ্য বিষয়বস্তু বিস্তারিত আলোচনা করব আর পরার শেষে আবার তোমরা তোমাদের আনন্দে মেতে ওঠো বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে।
Class 10 Sahitya Sonchayan Bangla
Gyan Chashu By Ashapurna Devi Class 10 Part 1 Sahitya Sonchayan X
Gyan Chakshu By Ashapurna Devi Class 10 Part 1 Sahitya Sonchayan X
Ghyan ChokkhuBy Ashapurna Devi Class 10 Part 1 Sahitya Sonchayan X
জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী দশম শ্রেণি গল্প বাংলা সাহিত্য সঞ্চায়ন
Bangla Class 10 Gyan Chashu
জ্ঞানচক্ষু
আশাপূর্ণা দেবী
আশাপূর্ণা দেবী
কবি পরিচিতি ঃ বাংলা তথা ভারতবর্ষের লেখিকাদের মধ্যে অন্যতমা, অনন্যা কিংবদন্তি লেখিকা ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। অবাঞ্ছিত, নিপীড়িত, দরিদ্র- অসহায় গ্রাম বাংলার মানুষজনদের জীবন চিত্র ফুটে ওঠে তার অসামান্য লেখনীর কালিতে। এই অসামান্য লেখিকার জন্ম হয় 1909 খ্রিস্টাব্দে 8 জানুয়ারি উত্তর কলকাতার পটলডাঙ্গাতে । পিতা ছিলেন হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত এবং মাতা সরলা সুন্দরী দেবী। মাতা ছিলেন ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিদ্বেষী স্বদেশী। তার ঠাকুরমা ছিলেন গোঁড়াপন্থী রক্ষণশীল মহিলা তাই বাড়িতে মেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ ছিল না। কিন্তু মায়ের সহযোগিতায় মহাশ্বেতা দেবী পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সেটা প্রথাগত শিক্ষা ছিল না, তথাপি আশাপূর্ণা ছিলেন স্বশিক্ষিত। তার প্রথম রচনা 1329 বঙ্গাব্দে শিশুসাথী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন গৌরবের শিখরে। তিনি কমবেশি 200 টি উপন্যাস, 30 টি ছোট গল্প এবং প্রায় 50 টি শিশুদের বই লিখেছেন। তার লেখনীতে নারীসত্তা, নারী মনস্তত্ত্ব, নারী একাকীত্ব ও সংগ্রামের ছোঁয়া মেলে। তার রচনা সুবর্ণলতা, প্রথম প্রতিশ্রুতি, বকুলকথা - এ নারী সংগ্রামের দিকটি ফুটে ওঠে। তাছাড়া সমাজের সঙ্গে শিশুমনের যে সংঘর্ষ তাও তার লেখনীতে ধরা দেয়। মাত্র 15 বছর বয়সে তিনি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এরপর থেকে জ্ঞানপীঠ, রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য একাডেমি, পদ্মশ্রী প্রভৃতি খেতাবে তার ডালি ভরে ওঠে। দীর্ঘ রোগভোগের পর 1995 খ্রিস্টাব্দে 13 ই জুলাই 90 বছর বয়সে এই কৃতি লেখিকার জীবনাবসান ঘটে।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের উৎস: আমাদের দশম শ্রেণীর প্রথম গল্প সংকলন জ্ঞানচক্ষু গল্পটি নেওয়া হয়েছে কৃতি ,স্বনামধন্য, অনন্যা লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর 'কুমকুম' নামক গল্পসংকলন থেকে।
পাঠ্য বিষয়বস্তু ঃ স্বনামধন্য, কৃতি, সুলেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে আমরা তপন নামের এক ছােটো বালকের কথা জানতে পারি , যার কাছে লেখক মানে অন্য জগতের ধরাছোঁয়ার বাইরের কোনাে মানুষ। তারা যে আর পাঁচটা মানুষের মতােই সাধারণ জীবন যাপন করেন, সেটা তপনের অজানা ছিল । কিন্তু তপনের এই ধারণা ভেঙে যায়, যখন সে জানতে পারে তার নতুন মেসােমশাই একজন সত্তিকারের লেখক'। এই দেখে আশ্চর্য হয়ে যায় সে। লেখক হওয়া সত্ত্বেও তিনি তপনের বাবা, মামা বা মেজোকাকুর মতাে সিগারেট খান, দাড়ি কামান, ঘুমাবার সময় ঘুমােন, স্নানের সময় স্নান করেন।
ছােটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে মামাবাড়িতে এসেছে তপন। তার প্রফেসর ছােটোমেসোর কলেজ ছুটি থাকায় তিনিও শ্বশুরবাড়িতে রয়ে গেছেন কিছুদিন। এই সময় তপন প্রথম গল্পটি লিখে ফেলে। তপনের গল্প তার ছােটোমাসি মারফত চলে যায় ছােটোমেসাের হাতে। তিনি গল্পটির প্রশংসা করেন এবং সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর বাড়ির লােকজন তপনকে কবি, সাহিত্যিক, লেখক বলে ঠাট্টা ও ইয়ার্কি করেন। তপন তার লেখা গল্পটি ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়ার আশায় তীর্থের কাকের মত দিন গুনতে থাকে। এরমধ্যে তপন আরও দু-তিনটি গল্প লিখে ফেলে।
এরপর দিন চলে যায়, তপনের লেখা গল্পটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশ হয় না। এ বিষয়ে সে যখন হাল ছেড়ে দেয় তখনই বাড়িতে আসে ছােটোমাসি ও মেসো হাতে নিয়ে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা। সে নিজের চোখে দেখে, বইয়ের প্রথমেই লেখা 'প্রথম দিন' শ্রী তপন কুমার রায়। মেসোমশাই অবশ্য জানাই যে কাঁচা হাতের লেখা তাই একটু কারেকশন করতে হয়েছে। একসময় দেখা যায়, তপনের কৃতিত্ব চাপা পড়ে যায় ,তার মেসোকেই কৃতিত্বের দাবিদার করে তোলে।
তপনের দুঃখের এখানেই শেষ নয়। গল্পটি পড়তে গিয়ে সে দেখে লেখক মেসাে গল্পটি আগাগােড়াই পালটে দিয়েছেন। গল্পের প্রতিটি বাক্যই তপনের কাছে ঠেকেছে আনকোরা বা নতুনের মতাে। গভীর দুঃখে, হতাশায় তপন দৃঢ় সংকল্প করে,যদি কখনও পত্রিকায় লেখা ছাপাতে হয়, তাহলে নিজেই গিয়ে ছাপাবে। আর এভাবেই সাহিত্য রচনা বা সাহিত্যসৃষ্টি সম্পর্কে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়।
Link For Part 2
Question and Answer Session of Ghyan Chokkhu Part 2 Class 10 | জ্ঞানচক্ষুর সমস্ত ধরনের প্রশ্ন উত্তর পর্ব দশম শ্রেণি
Link For Another Subjects
Hormone | হরমোন | হরমোনের প্রকারভেদ
Fable Question Answer | Class X English | English For Madhyamik WBBSE
Class 10 । Ganit Prakash | Math | Akchol Bishisshtio Dbighat Somikoron | দশম শ্রেণি | গণিত প্রকাশ । একচলবিশিষ্ট দ্বিঘাত সমীকরণ এবং তার সমাধান
আমরা আজকের উপরে আলোচ্য বিষয় জ্ঞানচক্ষু গল্পটির পাঠ্য বিষয়বস্তু ও লেখক পরিচিতি সম্পর্কে আলোচনা এতদুর পর্যন্ত হল।Part-2-তে আমরা এই পাঠ্যের প্রশ্নোত্তর নিয়ে উপস্থিত হব তোমাদের সামনে। উপরোক্ত আলোচনায় তোমাদের কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে বা কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের তোমরা নিচে Comment Box-এ জানিয়ে দাও। আমরা তোমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য খুব শিগগিরই চেষ্টা করব। ভালো থেকো, সুস্থ থেকো আর আমাদের সঙ্গে এভাবেই পড়াশোনায় জড়িয়ে থেকো।