![]() |
পরিবেশের জন্য ধারণা |
প্রিয়
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, ডিজিট্যাল পড়াশোনা'র অনলাইন প্লাটফর্মে
তোমাদের সবাইকে স্বাগত। আজকে আমি পোষ্টে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের
ভৌত বিজ্ঞানের পরিবেশের জন্য ধারণা অধ্যায় সম্পর্কে বিস্তারে আলোচনা করব এবং তার
সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের জন্য ধারণা অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নিয়েও আলোচনা করব। আশা করি
এই পোষ্টটি পড়ে তোমরা খুবই
উপকৃত হবে। পোষ্টটি প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার
আবেদন রইল।
{tocify} $title={Table of Contents}
পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ তার জীবনচক্রের
যে কোনো সময়ে যেসকল সজীব বা জড় উপাদানগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাদের সমষ্টিকে পরিবেশ
বলে।
পরিবেশের জড় ও সজীব উপাদানগুলি কী কী?
উত্তরঃ পরিবেশের সজিব উপাদানগুলি হল- গাছপালা,
কীটপতঙ্গ, পশুপাখি, মানুষ প্রভৃতি এবং জড় উপাদানগুলি হল- বায়ু, জল, মাটি আলো প্রভৃতি।
$ads={2}
বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, জলীয় বাষ্প,
কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রভৃতি প্রধান উপাদান দ্বারা গঠিত ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে প্রায়
১৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বলয়াকার বিস্তৃত যে অদৃশ্য গ্যাসীয় আবরণ সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন
করে আছে এবং যা সূর্য বা মহাশূন্যে থেকে আসা ক্ষতিকর বিকিরণগুলি যেমন UV রশ্মি, কসমিক
রশ্মি থেকে পৃথিবীর জীবজগতকে রক্ষা করছে, তাকে বায়ুমন্ডল বলে।
বায়ুমন্ডলের উপাদানগুলি কী কী?
উত্তরঃ ক) জলীয় বাষ্প- উচ্চতা
ও ঋতু পরিবর্তে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ পরিবর্তত হয়। মোটামুটি 0.5% - 4%
খ) ধূলিকণা- কণাগুলি সাধারণত
কঠিন অধাতু (C, Si) এবং ধাতুর অক্সাইড হয়ে থাকে। কণাগুলির আকার 0.1µ - 10µ
গ) গ্যাসীয় উপাদান-
নাম (মুখ্য) |
শতকরা পরিমাণ
(%) |
|
আয়তনগত |
ওজনগত |
|
নাইট্রোজেন |
৭৮.০৫ |
৭৫.৪৮ |
অক্সিজেন |
২০.৯৫ |
২০.১৮ |
নিস্ক্রিয়
গ্যাসসমূহ |
০.৯৩ |
১.২৯ |
কার্বন-ডাই-অক্সাইড |
০.০৩ |
০.০৪৫ |
বায়ুমন্ডল উপস্থিত গ্যাসীয় পদার্থের মোট ভরের পরিমাণ কত?
উত্তরঃ প্রায় 5.5×1015 টন।
👉 Also
read:
- ভৌত বিজ্ঞানের আলো অধ্যায়ের ব্যাখ্যাসহ প্রশ্নোত্তর
- ভৌত বিজ্ঞানের গ্যাসের আচরণ অধ্যায়ের ব্যাখ্যাসহ প্রশ্নোত্তর
- ভৌত বিজ্ঞানের রাসায়নিক বন্ধন অধ্যায়ের ব্যাখ্যাসহ প্রশ্নোত্তর
হোমোস্ফিয়ার নামকরণের কারণ কী?
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৮৮ কিলোমিটার উচ্চতা
পর্যন্ত বায়ু সমসত্ত্ব হয়, তাই এই সমসত্ত্ব বায়ুর উপস্থিতির কারণে এই অঞ্চলকে হোমোস্ফিয়ার
বা সমমন্ডল বলা হয়।
হেটেরোস্ফিয়ার বা বিষমমন্ডল নামকরণের কারণ কী?
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরে ১০,০০০ কিলোমিটার
পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে গ্যাসীয় উপাদানের অনুপাত সমান হয় না, তাই এই অঞ্চলকে হেটেরোস্ফিয়ার
বা বিষমমন্ডল বলা হয়।
কারম্যান রেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ সমুদ্রতল থেকে ১০,০০০ কিলোমিটার
উচ্চতায় মহাকাশ এবং বায়ুমন্ডলের সীমানা নির্দেশক হিসাবে যে কাল্পনিক রেখা ব্যবহার করা
হয়, তাকে কারম্যান রেখা বলা হয়।
$ads={1}
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে কত উচ্চতা পর্যন্ত বায়ুর অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ১০০০ কিলোমিটার।
বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্তরের শ্রেণীবিভাগ করো।
উত্তরঃ
ট্রপোস্ফিয়ারঃ
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা- 0-10 কিলোমিটার।
উষ্ণতার পাল্লা- +15°C থেকে -56°C
উপাদান- N2, O2,
CO2, H2O
বৈশিষ্ট্য- ঝড়, বৃষ্টি,
বজ্রপাত হয়, তাই এই স্তর ক্ষুব্ধমন্ডল নামে পরিচিত। এই স্তর ভূ-পৃষ্ঠের উষ্ণতা ও জলচক্র
নিয়ন্ত্রণ করে।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারঃ
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা- 10-50 কিলোমিটার।
উষ্ণতার পাল্লা- -56°C থেকে 0°C
উপাদান- N2, O3
বৈশিষ্ট্য- ঝড়, বৃষ্টি,
বজ্রপাত হয় না, তাই এই স্তর শান্তমন্ডল নামে পরিচিত।
মেসোস্ফিয়ারঃ
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা- 50-80 কিলোমিটার।
উষ্ণতার পাল্লা- 0°C থেকে -93°C
উপাদান- N2, O2,
O2+, NO+
বৈশিষ্ট্য- এটি বায়ুমন্ডলের
শীতলতম স্তর। উল্কা এই স্তরে এসে ধ্বংস হয়।
থার্মোস্ফিয়ারঃ
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা- 80-500 কিলোমিটার।
উষ্ণতার পাল্লা- -93°C থেকে +1200°C
উপাদান- O2+, NO+,
O+
বৈশিষ্ট্য- গ্যাসগুলির
আয়নিত অবস্থায় থাকে, মেরুজ্যোতি সৃষ্টি হয় এবং বেতারতরঙ্গ এই স্তরে প্রতিফলিত হয়।
এক্সোস্ফিয়ারঃ
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা- 500-1500 কিলোমিটার।
উষ্ণতার পাল্লা- +1200°C থেকে +1600°C
উপাদান- H2, He
বৈশিষ্ট্য- কৃত্রিম উপগ্রহ
ও মহাকাশ কেন্দ্রের অবস্থান এই স্তরে।
ম্যাগনেটোস্ফিয়ারঃ
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা- 1500-10,000
কিলোমিটার।
উষ্ণতার পাল্লা- অজ্ঞাত।
উপাদান- বায়বীয় উপাদান নেই। মূলতঃ প্রোটন
ও ইলেকট্রন থাকে।
বৈশিষ্ট্য- এই স্তর ভূ-চৌম্বক
ক্ষেত্রের উৎসস্থল।
$ads={2}
বায়ুমণ্ডল না থাকলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কীরকম হতো?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডল
না থাকলে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিনেরবেলায় খুব বেশি ও রাত্রিতে খুব কম হত। কারণ সূর্য
থেকে আসা তাপের বেশিরভাগ অংশ বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাস অণু ও কণা দ্বারা প্রতিফলিত
বা বিচ্ছুরিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। আগত তাপের খুব সামান্য অংশই বায়ুমণ্ডল ও পৃথিবীকে
উত্তপ্ত করে এবং পৃথিবী থেকে বিকিরিত তাপের বেশিরভাগ অংশ বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত গ্রিনহাউস
গ্যাসগুলি দ্বারা শোষিত হয়। এইভাবে বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা 15°C এ বজায়
রাখে।
ট্রপোস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমণ্ডল বলা হয় কেন?
উত্তরঃ আবহাওয়া ও জলবায়ুর যাবতীয় উপাদানসমূহ
(যেমন- ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প, মেঘ, বৃষ্টি ইত্যাদি) বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে উপস্থিত।
এই ট্রপোস্ফিয়ারে প্রতি 1 কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা 6.4°C হারে হ্রাস পায়
এবং বায়ুস্তরের গড় ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হওয়ায় বায়ুচাপের পার্থক্য হয়, ফলে বায়ুপ্রবাহ
ও বড় সৃষ্টি হয়। এছাড়া ঘনীভবনের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া যেমন— মেঘ, বজ্রপাত, বৃষ্টিপাত, কুয়াশা, শিশির, তুষারপাত প্রভৃতি
এই ট্রপোস্ফিয়ারেই কার্যকর হয়। বায়ুমণ্ডলীয় এই উপাদানসমূহগুলির প্রভাবে ট্রপোস্ফিয়ার
সর্বদা অশান্ত হয়ে থাকে। দৈনিক আবহাওয়ার সবরকম গলোযোগ ও বিপর্যয় এই স্তরেই সংঘটিত
হয় বলে, ট্রপোস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমণ্ডল বলা হয়।
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটি আবহমণ্ডল নামে পরিচিত?
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ার।
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে ক্রমহ্রাসমান উচ্চতা স্তর বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে নিকটতম স্তর হল ট্রপোস্ফিয়ার।
এই স্তরে ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরের দিকে ওঠা যায়, বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ক্রমশ হ্রাস পায়।
প্রতি 1 কিলমিটার উচ্চতার বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় 6.4°C। তাই ট্রপোস্ফিয়ারকে
ক্রমহ্রাসমান উষ্ণতা স্তর বলে।
বায়ুমণ্ডলের উপস্থিত মোট গ্যাসীয় ভরের কত ভাগ ট্রপোস্ফিয়ারে থাকে?
উত্তরঃ 75%
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি সর্বাধিক?
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ারে।
$ads={1}
ট্রপোপজ কী?
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্ব সীমানায় ট্রপোস্ফিয়ার
ও স্ট্যাটোস্ফিয়ারের সংযোগস্থলে বায়ুর উষ্ণতা হ্রাস পায় না, আবার বৃদ্ধিও পায় না,
অর্থাৎ প্রায় ধ্রুবক থাকে। এই অঞ্চলকে ট্রিপোপজ বলে।
ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর গতিবেগ বৃদ্ধি পায় কেন?
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ট্রপোস্ফিয়ারের নিম্নস্তরে
পাহাড়-পর্বত, বনভূমি, অট্টালিকা প্রভৃতি অবস্থান করে বলে এই অংশে বায়ু ঘর্ষণজনিত
কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু, ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এইসকল বাধার
পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পায়, ফলে যেখান থেকে বায়ু বিনা বাধায় প্রবাহিত হতে পারে। উচ্চতা
যত বাড়ে তত বায়ুর গতিবেগও বাড়তে থাকে। এই বায়ুকে জেট স্টিম বলে
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে শান্তমণ্ডল বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে ট্রপোস্ফিয়ারের উপর
18-50 কিলোমিটার উচ্চতায় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অল্প পরিমাণ ধুলো থাকলেও জলীয়
বাষ্প না থাকায় মেঘ সৃষ্টি হতে পারে না আবার আবহাওয়া ও জলবায়ুর গলোযোগ সৃষ্টিকারী
কোনো উপাদান না থাকায় ঘনীভবন প্রক্রিয়ার অভাবে এই স্তরে ঝড়, বৃষ্টি কিছুই সংঘটিত
হয় না। এই কারণে এই স্তর আবহাওয়া পরিমণ্ডল শান্ত অবস্থায় থাকে তাই স্ট্যাটোস্ফিয়ারকে
শান্তমণ্ডল বলা হয়।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে ওজোনোস্ফিয়ার বলা হয় কেন?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের
সাপেক্ষে 16 কিলোমিটার ওপর থেকে শুরু করে 30 কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত ওজোন গ্যাসের
একটি স্তর আছে। এজন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে ওজোনোস্ফিয়ার বলে।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের বায়ুর উষ্ণতা ট্রপোস্ফিয়ারের তুলনায় বেশি হয় কেন?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের অন্তর্গত ওজোনস্তর
সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি (UV) রশ্মি শোষণ করে। এজন্য এই বায়ুস্তরের উষ্ণতা ট্রপোস্ফিয়ারের
তুলনায় বেশি হয়।
কোন স্তরে জেট বিমান চলাচল করতে পারে এবং কেন?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে কোনো বায়ুপ্রবাহ
থাকে না। এর ফলে মেঘ, ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয় না। তাই জেটবিমানগুলি ঝড়, বৃষ্টি প্রভৃতি
এড়িয়ে চলার জন্য এই স্তরে চলাচল করে।
স্ট্র্যাটোপজ কী?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
ও মেসোস্ফিয়ারের সংযোগস্থলের যে অঞ্চলে উষ্ণতার কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না, তাকে
স্ট্যাটোপজ বলে।
বায়ুমণ্ডলের মোট ওজোন গ্যাসের কত শতাংশ স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থান করে?
উত্তরঃ 90%
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) গ্যাসের বৃদ্ধির কারণ ও এর ফলাফল আলোচনা করো।
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বায়ুস্তর দিয়ে
জেট বিমান চলাচলের সময় প্রচুর পরিমাণে NO গ্যাস উৎপন্ন হয়, এর ফলে NO গ্যাসের পরিমাণ
বৃদ্ধি পায়। NO (নাইট্রিক অক্সাইড) গ্যাস স্ট্রাটোস্ফিয়ারের অন্তর্গত ওজেন স্তরকে
ধ্বংস করে। তাই NO গ্যাসের পরিমাণ বাড়লে ওজোন গ্যাসের আস্তরণ পাতলা হয়ে যাবে, ফলস্বরূপ
সূর্য থেকে আসা ক্ষতিকারক রশ্মিগুলি জীবকুলের অস্তিত্বে সংকট অবস্থার সৃষ্টি করবে।
$ads={2}
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার কীভাবে জীবজগতকে রক্ষা করছে?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নাঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের
উপরে (16-30 কিলোমিটার) উচ্চতা পর্যন্ত ওজোন গ্যাসের যে আস্তরণ আছে তা সূর্যকিরণের
ক্ষতিকর অতিবেগুনি (UV) রশ্মিকে শোষণ করে। কারণ, এই রশ্মি ওজোনের উৎপাদন বিয়োজনে ব্যয়িত
হয়। ফলে জীবকুলের পক্ষে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে এসে পৌঁছাতে পারে না
এবং এর ফলে জীবজগত রক্ষা পায়।
প্রাকৃতিক সৌরপর্দা কি?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোনস্তর সূর্য
থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীকে রক্ষা করে, তাই এই ওজোনস্তরকে
প্রাকৃতিক সৌর পর্দা বলা হয়।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোনকে পৃথিবীর রক্ষাকারী বা উপকারী ওজোন বলে কিন্তু ট্রপোস্ফিয়ারের ওজোনকে দুষ্ট ওজোন বা অপকারী ওজোন বলা হয় কেন?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোন সৌরপর্দা হিসাবে কাজ করে
যা সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনি (UV) রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। তাই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের
ওজোনকে পৃথিবীর রক্ষাকারী বা উপকারী ওজোন বলে। অপরদিকে, ট্রপোস্ফিয়ারে উপস্থিত ওজোনের
প্রভাব নেতিবাচক। এটি বায়ুমণ্ডলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর
শাসনতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, শস্য উৎপাদন হ্রাস করে, গ্রিন হাউস প্রভাব ফেলে, অ্যাসিড
বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ায়, পাতায় ক্লোরোফিলের মাত্রা কমিয়ে সালোকসংশ্লেষে ব্যাঘাত ঘটায়,
জীবদেহে পরিপাকক্রিয়া ব্যাহত করে, যার ফলস্বরূপ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এজন্য
ট্রপোস্ফিয়ারের ওজোনকে দুষ্ট ওজোন বা অপকারী ওজোন বলে।
আশা করি, এই পোষ্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে তোমরা খুবই উপকৃত হয়েছ। এই পোষ্টটি তোমার সহপাঠীদের মধ্যে খুব বেশি বেশি করে শেয়ার করো।