![]() |
আলো |
{tocify} $title={সূচীপত্র}
উত্তল দর্পণ (Convex Mirror) কাকে বলে?
উত্তর- যে গোলীয় দর্পণের বাইরের উত্তল পৃষ্ঠ
প্রতিফলক তল হিসেবে কাজ করে, তাকে উত্তল দর্পণ (Convex Mirror) বলে।
অবতল দর্পণ (Concave Mirror) কাকে বলে?
উত্তর- যে গোলীয় দর্পণের ভিতরের অবতল পৃষ্ঠ
প্রতিফলক তল হিসেবে কাজ করে তাকে অবতল দর্পণ (Concave Mirror) বলা হয়।
উত্তল দর্পণের প্রধান ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর- প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে কোনো ক্ষুদ্র
উন্মেষযুক্ত দর্পণে রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হয়ে প্রতিফলিত হওয়ার পর প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত
একটি বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, এই বিন্দুটিকে ওই দর্পণটির মুখ্য ফোকাস
বলে।
দর্পণের উন্মেষ বলতে কী বোঝো?
উত্তর- কোনো দর্পণের প্রধান ছেদের দুই প্রান্তবিন্দুকে
যোগ করা হলে যে সরলরেখা পাওয়া যায়, তাকে ওই দর্পণের উম্মেয় বলা হয়।।
একটি
দর্পণ সমতল দর্পণ, অবতল দর্পণ বা উত্তল দর্পণ— কীভাবে শনাক্ত করা যায়?
উত্তর- সমতল দর্পণের সামনে কোনো বস্তুকে রাখা
হলে সেটির সমান সাইজের অসদবিম্ব গঠিত হয়। উত্তল দর্পণে সর্বদা কোনো বস্তুর লম্বা অসদবিম্ব
গঠিত হয়। অন্যদিকে অবতল দর্পণে ফোকাস দূরত্বের (Focal Length) থেকে কম দূরত্বে একটি
বস্তু রাখা হলে বস্তুটির বিবর্ধিত অসদবিম্ব গঠিত হয়।
একটি পেন নিয়ে
যদি দর্পণের সামনে রাখা হয় এবং উৎপন্ন প্রতিবিম্বের আকার যদি পেনটির সমান হয়, তাহলে
বুঝতে হবে যে দর্পণটি সমতল (Plain)। যদি প্রতিবিম্বটি বিবর্ধিত ও সমশীর্ষ হয় তাহলে
দর্পণটি অবতল (Concave)। আবার যদি প্রতিবিম্বটি সমশীর্ষ ও আকারে ছোটো হয় তাহলে বোঝা
যায় যে দর্পণটি উত্তল (Convex)।
গাড়ির হেডলাইটে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর- গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ
(Concave Mirror) ব্যবহার করা হয়।
গাড়ির হেডলাইটের
ক্ষেত্রে বাতিটিকে অবতল দর্পণের ফোকাসে রাখা হয়। এর ফলে পিছনের দিকের আলোকরশ্মিগুলি
দর্পণে প্রতিফলনের পর সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ রূপে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এর ফলে সামনের
দিকে আলোর পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে গাড়ি চালকের গাড়ি চালাতে সুবিধা হয়।
কোনো গোলীয় দর্পণকে জলে বা অন্য কোনো তরলে নিমজ্জিত করা হলে তার ফোকাস দৈর্ঘ্যের (Focal Length) কোনো পরিবর্তন ঘটবে কি?
উত্তর- দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য বা বক্রতা ব্যাসার্ধের
মান মাধ্যমের উপর নির্ভর করে না। তাই গোলীয় দর্পণকে জলে বা অন্য কোনো তরলে নিমজ্জিত
করা হলে তার ফোকাস দৈর্ঘ্যের মানের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
আলোর প্রতিসরণ (Refraction of Light) কাকে বলে?
উত্তর- এক স্বচ্ছ ও সমসত্ত্ব মাধ্যমের মধ্যে
দিয়ে আলোকরশ্মি যেতে যেতে যখন অন্য কোনো মাধ্যমের বিভেদতলে তির্যকভাবে আপতিত হয়, তখন
দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন হয়। আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের
এই পরিবর্তন হওয়ার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ (Refraction of Light) বলা হয়।
👉Also read: পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের ভৌত বিজ্ঞানের গ্যাসের আচরণ অধ্যায়
আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক কী?
উত্তর- কোনো একটি মাধ্যমের সাপেক্ষে অপর কোনো
মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ককে প্রথম মাধ্যমটির সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমটির আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক
বলা হয়।
গ্লিসারিনের মধ্যে কাচদণ্ডকে ডোবানো হলে তা আর দেখা যায় না- যুক্তি দাও।
উত্তর- কোনো বস্তুর উপর আলো পড়ে সেই আলো প্রতিফলিত
হয়ে আমাদের চোখে আসলে তারপর সেই বস্তুটিকে আমরা দেখতে পাই। গ্লিসারিন ও কাচের প্রতিসরাঙ্ক
প্রায় সমান। তাই কাচদওকে গ্লিসারিনে ডোবানো হলে বিভেদতলে আলোকরশ্মির প্রতিফলন বা প্রতিসরণ
হয় না বললেই চলে। এজন্য কাচদণ্ডকে বাইরে থেকে দেখা যায় না।
নক্ষত্রগুলিকে আকাশে মিট মিট করতে দেখা যায় কেন?
উত্তর- নক্ষত্রগুলির দূরত্ব যেহেতু অনেক বেশি,
তাই নক্ষত্র থেকে আসা আলোর পরিমাণ কম হয়। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের উচ্চতা বিভিন্ন
হওয়ার জন্য এদের প্রতিসরাঙ্কও আলাদা আলাদা হয়। এই বিভিন্ন স্তরের মধ্যে দিয়ে যখন
এই স্বল্প পরিমাণ আলো পৃথিবীতে আসতে থাকে তখন বিভিন্ন স্তরের প্রতিসরাঙ্কের বিভিন্নতার
জন্য ওই আলোর গতিপথেরও বার বার পরিবর্তন হয়। এর ফলে ওই আলোর তীব্রতারও পরিবর্তন হয়।
সেই কারণে নক্ষত্রগুলিকে আকাশে মিট মিট করতে দেখা যায়।
প্রতিসরাঙ্ক বলতে কী বোঝো?
উত্তর- আলোর প্রতিসরণের সময় তির্যক আপাতনের
ক্ষেত্রে আপতন কোণ (i) এর sine এবং প্রতিসরণ কোণ (r)-এর sine-এর অনুপাতকে প্রথম মাধ্যমটির
(a) সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের (b) প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়। অর্থাৎ, যেখানে হল প্রথম
মাধ্যম (a)-এর সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যম (b)-এর প্রতিসরাঙ্ক।
পরম প্রতিসরাঙ্ক বলতে কী বোঝো?
উত্তর- শূন্য মাধ্যমের সাপেক্ষে কোনো মাধ্যমের
প্রতিসরাঙ্ককে মাধ্যমটির পরম প্রতিসরাঙ্ক বলে।
প্রতিসরণের সূত্র দুটি লেখো।
উত্তর-
প্রথম সূত্র-
আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত
রশ্মি এবং দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আপতন বিন্দুর উপর অঙ্কিত অভিলম্ব সর্বদা একসমতলে থাকে।
দ্বিতীয় সূত্র- দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণের sin ও প্রতিসরণ কোণের sin-এর অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক হয়। µ চিহ্ন দ্বারা এই ধ্রুবককে প্রকাশ করা হয়, অর্থাৎ µ=`\frac{\sin i}{\sin r}`= ধ্রুবক।
প্রতিসরাঙ্কের মান কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তর- প্রতিসরাঙ্কের মান নিম্নলিখিত বিষয়গুলির
উপর নির্ভর করে। (i) আপতিত আলোর বর্ণ (ii) মাধ্যম দুটির প্রকৃতি (iii) মাধ্যম দুটির
উষ্ণতা।
সাধারণ কাগজ অস্বচ্ছ, কিন্তু তৈলাক্ত কাগজ ঈষৎ স্বচ্ছ কেন?
উত্তর- সাধারণ কাগজের তল অমসৃণ, ফলে এই কাগজের
উপর আলোকরশ্মি আপতিত হলে, বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন হয়। যেহেতু কোনো অংশই প্রতিসৃত হয় না
তাই কাগজ অস্বচ্ছ।
কিন্তু, কাগজ
তৈলাক্ত হয়ে গেলে কাগজের মধ্যের ফাঁকগুলি তেল দ্বারা পূর্ণ হয়। ফলে, কিছু পরিমাণ
আলো প্রতিসৃত হয় বলে, তৈলাক্ত কাগজ ঈষৎ স্বচ্ছ হয়।
পূর্ণ প্রতিফলক প্রিজম কাকে বলে?
উত্তর- মসৃণ তলবিশিষ্ট স্বচ্ছ কাচের সমদ্বিবাহু
সমকোণী প্রিজমের মধ্যে দিয়ে আলোর পূর্ণ প্রতিফলনকে দর্পণের মতো ব্যবহার করা হয়। এই
ধরনের প্রিজমকে পূর্ণ প্রতিফলক প্রিজম বলা হয়।
আলোর প্রতিফলন এবং আলোর প্রতিসরণের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
আলোর প্রতিফলন |
আলোর প্রতিসরণ |
কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে
যেতে যেতে আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে আবার আগের মাধ্যমে ফিরে আসে। |
আলোকরশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে
প্রবেশ করলে আলোর প্রতিসরণ লক্ষ্য করা যায়। |
এক্ষেত্রে আলোকরশ্মির বেগের কোনো পরিবর্তন
হয় না। |
এক্ষেত্রে আলোকরশ্মির বেগের পরিবর্তন
হয়। |
এক্ষেত্রে আপতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণের
মান সমান হয়। |
এক্ষেত্রে আপতিত রশ্মি শুধুমাত্র লম্বভাবেই
আপতিত হলে আপতন কোণ এবং প্রতিসরণ কোণের মান সমান হয়। |
এক্ষেত্রে আলোকরশ্মির তরঙ্গদের্ঘ্য
অপরিবর্তিত থাকে। |
এক্ষেত্রে আলোকরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্যের
পরিবর্তন হয়। |
উত্তল লেন্স (Convex Lens) এবং অবতল লেন্সের (Concave Lens) মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তল লেন্স |
অবতল লেন্স |
উত্তল লেন্সের মাঝের অংশটি মোটা এবং
প্রান্তের দিক ক্রমশ সরু। |
অবতল লেন্সের মাঝের অংশটি সরু ও প্রান্তের
দিক ক্রমশ মোটা। |
উত্তল লেন্স দ্বারা কোনো বস্তুর সদবিম্ব,
অসদবিম্ব দুই-ই তৈরি করা যেতে পারে। |
অবতল লেঙ্গে সর্বদা বস্তুর অসদবিম্ব
গঠিত হয়। |
এটি অভিসারী লেন্স (Converging
Lens)। |
এটি অপসারী লেন্স (Diverging Lens)। |
এই প্রকার লেন্সে বস্তুর বিবর্ধিত,
সমান আকৃতির এবং বস্তুর থেকে ছোটো আকৃতির প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। |
এই প্রকার লেন্সে সর্বদা বস্তুর আকারের
থেকে ছোটো আকারের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। |
হ্রস্ব দৃষ্টি বা মায়োপিয়া কী?
উত্তর- এক্ষেত্রে কোনো বস্তুর প্রতিবিম্ব চোখের
রেটিনার উপর গঠিত না হয়ে, রেটিনার সামনে কোনো বিন্দুতে গঠিত হয়। এর ফলে হ্রস্ব দৃষ্টি
সম্পন্ন লোকেরা কাছের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পায়, কিন্তু দূরের বস্তুকে অস্পষ্ট দেখে।
হ্রস্ব দৃষ্টি দূর করতে হলে উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের অবতল লেন্স (Concave Lens) ব্যবহার
করতে হবে।
দীর্ঘ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া কী?
উত্তর- এক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রতিবিম্ব রেটিনাতে
গঠিত না হয়ে, রেটিনার পেছনে গঠিত হয়। এই জাতীয় ত্রুটিযুক্ত ব্যক্তি দূরের জিনিস
স্পষ্ট দেখতে পায়, কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না। দীর্ঘ দৃষ্টি দূর করতে
হলে উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্স (Convex Lens) ব্যবহার করতে হবে।
রেটিনার সবচেয়ে কার্যকর অংশ কোনটি? সুস্থ ব্যক্তির দৃষ্টিপাল্লা কত?
উত্তর- রেটিনার সবচেয়ে কার্যকর অংশ ফোর্ডিয়া
সেন্ট্রালিস। এখানে গঠিত প্রতিবিম্ব সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
সুস্থ ব্যক্তির
দৃষ্টিপাল্লা 25cm থেকে অসীম হয়।
উপাক্ষীয় রশ্মি বলতে কী বোঝো?
উত্তর- যে সকল রশ্মি প্রধান অক্ষের অত্যন্ত কাছাকাছি
থাকে তাদের উপাক্ষীয় রশ্মি বলে।
চোখের উপযোজন কী?
উত্তর- সিলিয়ারি মাংসপেশীর সাসপেন্সর লিগামেন্টের
সঙ্কোচন ও প্রসারণের দ্বারা চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি বা হ্রাসের মাধ্যমে,
দূরের ও কাছের বস্তুর প্রতিবিম্বকে রেটিনায় গঠন করার যে ক্ষমতা, তাকে চোখের উপযোজন
ক্ষমতা বলে।
চোখের নিকট বিন্দু ও দূর বিন্দু বলতে কী বোঝো?
উত্তর-
নিকট বিন্দু- কোনোরকম উপযোজন ছাড়াই সবচেয়ে নিকটতম
যে বিন্দু পর্যন্ত কোনো বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাকে চোখের নিকট বিন্দু বলে।
দুর বিন্দু- কোনোরকম উপযোজন ছাড়াই সবচেয়ে দূরের
যে বিন্দু পর্যন্ত কোনো বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাকে চোখের দুর বিন্দু বলে।
একানেত্র দৃষ্টি বলতে কী বোঝো?
উত্তর- যখন দুটি চোখে দুটি আলাদা আলাদা বস্তুর
পৃথক প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তখন সেই প্রকার দৃষ্টিকে একনেত্র দৃষ্টি বলা হয়।
সদবিম্ব ও অসদবিম্ব মধ্যে পার্থক্য লেখো।
সদবিম্ব |
অসদবিম্ব |
প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর যদি আলোকবিন্দু
কোনো বিন্দুতে মিলিত হয়, তবে ওই বিন্দুতে সদবিম্ব গঠিত হয়। |
প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর যদি আলোকরশ্মি
কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তবে ওই বিন্দুতে অসদবিম্ব গঠিত হয়। |
সদবিম্বকে পর্দায় ফেলা যায়। |
অসদবিম্ব পর্দায় ফেলা যায় না। |
সদবিম্ব সাধারণত অবশীর্ষ হয়ে থাকে। |
অসদবিম্ব সাধারণত সমশীর্ষ হয়ে থাকে। |
দৃশ্যমান বর্ণালি কী?
উত্তর- যে সকল তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য
4000A° - 8000A° এর মধ্যে, সেই সকল তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ আমাদের চোখে দর্শনের অনুভূতি
তৈরি করে। এই তরঙ্গদৈর্ঘ্য মাত্রার মধ্যে উপস্থিত তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গগুলিকে দৃশ্যমান
বর্ণালি বলা হয়।
সাদা জামা-কাপড় কাচার পর তাতে নীল রং দেওয়া হয় কেন?
উত্তর- জলে উপস্থিত আয়রণের জন্য জলে আমা-কাপড়
ধোয়ার পর সেটি কিছুটা হলদু হয়ে যায়। যেহেতু হলুদ এবং নীল রং পরস্পরের পরিপূরক রং,
তাই ওই জামা-কাপড় একটু বেশি পরিমাণে নীল রং মেশানো হলে সেগুলি অপেক্ষাকৃত বেশি সাদা
দেখায়।
রামধনু সৃষ্টি হয় কীভাবে?
উত্তর- সূর্যের আলো বাতাসে উপস্থিত জলকণার উপর
পড়লে, তা বিচ্ছুরিত হয়। এই বিচ্ছুরণের ফলে সাদা আলো ভেঙে গিয়ে এর মধ্যে উপস্থিত
রংগুলি ছড়িয়ে পড়ে। এটিকেই রামধনু বলা হয়। রামধনুর ওপরের দিকে লাল বর্ণ এবং ভেতরের
দিকে বেগুনি বর্ণ থাকে।
UV রশ্মির কয়েকটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর- (1) জীবাণুনাশক হিসেবে, (ii) ভিটামিন-ডি
উৎপাদনে, (iii) প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট মূল্যবান রত্ন, ঘি প্রভৃতির বিশুদ্ধতা নির্ণয়
করতে, (iv) ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসায়।
আলোর বিক্ষেপণ কী?
উত্তর- বায়ুতে উপস্থিত ছোটো সূক্ষ্ম ধূলিকণা
ও গ্যাসের অণু প্রথম সূর্যলোক থেকে শক্তি শোষণ করে, তারপর ওই শক্তিকে তরঙ্গের আকারে
চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনাকে আলোর বিক্ষেপণ বলা হয়।
বিপদ সংকেত হিসেবে সর্বদা লাল বর্ণের আলো ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর- দৃশ্যমান আলোকরশ্মিগুলির মধ্যে লাল বর্ণের
আলোকরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। এর ফলে লাল বর্ণের আলোকরশ্মির বিক্ষেপণ সবচেয়ে
কম হয়। এরফলে এটি সহজেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই বিপদ সংকেত হিসেবে লাল বর্ণের
আলো ব্যবহার করা হয়।
X রশ্মির কয়েকটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর- নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে X রশ্মি ব্যবহৃত
হয় (1) হাড়ের গঠন জানতে, (ii) কেলাসিত পদার্থের কেলাস গঠন জানতে ব্যবহার করা হয়,
(iii) ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃ হয়, (iv) রেলস্টেশন, এয়ারপোর্টে আসবাব সামগ্রী
স্ক্যান করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
g রশ্মির ব্যবহার লেখো। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে?
উত্তর- রশ্মি ব্যবহৃত হয় –
(i) ক্যানসারের
চিকিৎসায়, (ii) সাবান, ডিটারজেন্ট শিল্পে ঘনত্ব পরিমাপের কাজে, (iii) কাগজশিল্পে কাগজের
বেধ পরিমাপের কাজে, (iv) স্পেস টেলিস্কোপে ফার্মি g রশ্মি কাজে লাগে।
উত্তল দর্পণ (Convex Mirror) এবং অবতল দর্পণের (Concave Mirror) মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তল দর্পণ |
অবতল দর্পণ |
যে গোলীয় দর্পণের বাইরের উত্তল তল
প্রতিফলকের কাজ করে, তাকে উত্তল দর্পণ বলে। |
এই প্রকার দর্পণের ভিতরের অবতল তল প্রতিফলক
হিসেবে কাজ করে। |
উত্তল দর্পণ সর্বদা সামনে থাকা কোনো
বস্তুর অসদবিম্ব গঠন করে। |
অবতল দর্পণে সদবিম্ব এবং অসদবিম্ব দুই-ই
গঠিত হতে পারে। |
উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র ও মুখ্য
ফোকাস প্রতিফলক তলের পিছনে অবস্থিত। |
অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র ও মুখ্য
ফোকাস প্রতিফলক তলের সামনে অবস্থিত। |
উত্তল দর্পণে সর্বদা বস্তুর থেকে ছোটো
আকারের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। |
অবতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্বের আকৃতি
বস্তুর থেকে বেশি, সমান ও ছোটোও হতে পারে। |
লেন্সের রৈখিক বিবর্ধন কাকে বলে? রৈখিক বিবর্ধন পরিমাপ করা হয় কীভাবে?
উত্তর- লেন্সের প্রধান অক্ষের উপর লম্বভাবে অবস্থিত
কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের উচ্চতা ও বস্তুর উচ্চতার অনুপাতকে ওই লেন্সের রৈখিক বিবর্ধন
বলে।
অর্থাৎ, রৈখিক
বিবর্ধন (m) = প্রতিবিম্বের উচ্চতা / বস্তুর উচ্চতা = প্রতিবিম্বের দুরত্ব / বস্তুর
দুরত্ব
প্রতিবিম্বের
দূরত্ব ও বস্তুর দূরত্বকে সহজে পরিমাপ করে এদের অনুপাত নির্ণয়ের মাধ্যমে রৈখিক বিবর্ধন
(m) নির্ণয় করা যায়।
সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় আকাশ লাল দেখায় কেন?
উত্তর- সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় সূর্য
যেহেতু দিগন্তে থাকে, তাই সূর্যরশ্মিকে পৃথিবীতে পৌঁছানোর জন্য বায়ুমণ্ডলের মধ্যে
দিয়ে অনেকটা বেশি পথ অতিক্রম করতে হয়। সূর্যের আলোর মধ্যে যে সাতটি রং মিশে থাকে,
তার মধ্যে লালরঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ার কারণে বিক্ষেপণ সবথেকে কম হয়।
যেহেতু অন্যান্য বর্ণের আলোগুলির বিক্ষেপণ তুলনামূলক বেশি, তাই লাল বর্ণ বাদে অন্যান্য
বর্ণের আলোগুলি পৃথিবীতে পৌঁছতে পারে না। যেহেতু লাল বর্ণের আলো শুধুমাত্র ভূপৃষ্ঠ
পর্যন্ত পৌঁছতে পারে, তাই ওই সময় সূর্যকে দেখলে লাল বর্ণের দেখতে লাগে।
শুদ্ধ বর্ণালি ও অশুদ্ধ বর্ণালি কাকে বলে?
উত্তর-
শুদ্ধ বর্ণালি- যে বর্ণালিতে উপস্থিত সমস্ত বর্ণগুলি
পৃথক ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান এবং বর্ণগুলি নিজস্ব জায়গা দখল করে অবস্থান করে, তাকে
শুদ্ধ বর্ণালি বলে
অশুদ্ধ বর্ণালি- যে বর্ণালিতে উপস্থিত সমস্ত বর্ণগুলি
পৃথক ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় না এবং বর্ণগুলি নিজস্ব জায়গা দখল করে থাকে না, তাকে
অশুদ্ধ বর্ণালি বলে।
গাড়ির Fog Light হলুদ বর্ণের করা হয় কেন?
উত্তর- কুয়াশার মধ্যে সাধারণ দৃশ্যমান আলো
ফেলা হলে, তা কুয়াশা কর্তৃক চারিদিকে বিক্ষিপ্ত হয়। ফলে, দূরের জিনিস দেখা যায় না।
হলুদ বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সাধারণ দৃশ্যমান আলোর তুলনায় বেশি হয় বলে, হলুদ আলোর
বিক্ষেপণ কম হয়। ফলে হলুদ আলোতে কুয়াশার মধ্যে দিয়ে দেখতে সুবিধা হয়। এক্ষেত্রে,
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সর্বাধিক অর্থাৎ বিক্ষেপণ সর্বনিম্ন। কিন্তু আমাদের চোখ লাল
আলো অপেক্ষা হলুদ বর্ণের আলোতে বেশি সংবেদনশীল হওয়ায় গাড়ির Fog Light গুলি হলুদ রঙের
হয়।
বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ)
১। সমতল দর্পণের
বক্রতা ব্যাসার্ধের মান
ক) অসীম
খ) শূন্য
গ) যে কোনো
দৈর্ঘ্যের হয়ে
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর- ক)
অসীম।
২। উত্তল দর্পণ
(Convex Mirror) কোন প্রকার প্রতিবিম্ব গঠন করে?
ক) সদ্ সমশীর্ষ
খ) সদ্ অবশীর্ষ
গ) অসদ্ সমশীর্ষ
ঘ) অসদ্ অবশীর্ষ
উত্তর- গ)
অসদ্ সমশীর্ষ।
৩। অবতল দর্পণ
(Concave Mirror) কোন প্রকার প্রতিবিম্ব গঠন করে?
ক) সর্বদা অসদ্
খ) সর্বদা সদ্
গ) সদ্ ও অসদ্
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- গ)
সদ্ ও অসদ্।
৪। অবতল দর্পণের
মেরু ও মূখ্য ফোকাসের মাঝে কোনো বস্তু থাকলে বস্তুটির প্রতিবিম্ব কেমন হবে?
ক) অসদ্ ও খর্বাকার
খ) অসদ্ ও বিবর্ধিত
গ) সদ্ ও খর্বাকার
ঘ) সদ্ ও বিবর্ধিত
উত্তর- খ)
অসদ্ ও বিবর্ধিত।
৫। উত্তল দর্পণের
সামনে কোনো বস্তুকে রাখা হলে, তার প্রতিবিম্ব কেমন হয়?
ক) অসদ্ ও খর্বকার
খ) অসদ্ ও বিবর্ধিত
গ) সদ্ ও খর্বকার
ঘ) সদ্ ও বিবর্ধিত
উত্তর- ক)
অসদ্ ও খর্বকার।
৬। অবতল দর্পণের
বক্রতা কেন্দ্রে কোনো বস্তুকে রাখা হলে, তার প্রতিবিম্ব কেমন হয়?
ক) অসদ্ ও খর্বকার
খ) অসদ্ ও বিবর্ধিত
গ) সদ্ ও একই
আকারের
ঘ) সদ্ ও খর্বকার
উত্তর- গ)
সদ্ ও একই আকারের।
৭। অবতল দর্পণের ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মাঝে কোনো বস্তু থাকলে,
তার প্রতিবিদ্ধ কেমন হয়?
ক) অসদ ও খর্বকার
খ) অসদ ও বিবর্ধিত
গ) সদ ও খর্বকার
ঘ) সদ ও বিবর্ধিত
উত্তর- ক)
অসদ ও খর্বকার।
৮। গাড়ির ভিউফাইন্ডার
হিসেবে কোন প্রকার দর্পণ ব্যবহার করা হয় ?
ক) উত্তল দর্পণ
খ) অবতল দর্পণ
গ) সমতল দর্পণ
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- ক)
উত্তল দর্পণ।
৯। গোলীয় দর্পণের
ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উম্মে বলতে কী বোঝানো হয়?
ক) 5° অপেক্ষা
কম
খ) 10° অপেক্ষা
কম
গ) 15° অপেক্ষা
কম
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ)
10° অপেক্ষা কম।
১০। অবতল দর্পণের
প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরাল আপতিত রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলকের পরে কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
ক) মুখ্য ফোকাসের
মধ্যে দিয়ে যায়
খ) বক্রতা কেন্দ্রের
মধ্যে দিয়ে যায়
গ) বক্রতা কেন্দ্র
থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
ঘ) মুখ্য ফোকাস
থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
উত্তর- ক)
মুখ্য ফোকাসের মধ্যে দিয়ে যায়।
১১। উত্তল দর্পণের
মূখ্য ফোকাসের দিকে আগত রশ্মিগুচ্ছ দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের দ্বারা কীভাবে পরিচালিত
হয়?
ক) বক্রতা কেন্দ্রের
মধ্যে দিয়ে যায়
খ) প্রধান আক্ষের
সমান্তরালভাবে যায়
গ) একই পথে
ফিরে আসে
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ)
প্রধান আক্ষের সমান্তরালভাবে যায়।
১২। চকচকে স্টিলের
বাটির ভিতরের পৃষ্ঠ নিম্নলিখিত কোনোপ্রকার দর্পণের মতো আচরণ করে?
ক) উত্তল দর্পণের
মতো
খ) অবতল দর্পণের
মতো
গ) উত্তল লেন্সের
মতো
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ)
অবতল দর্পণের মতো।
১৩। অবতল দর্পণের
মুখ্য লোকাস থেকে অপসৃত রশ্মিগুচ্ছ দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর কোন পথে পরিচালিত হয়?
ক) প্রধান অক্ষের
সমান্তরালভাবে যাবে
খ) বক্রতা কেন্দ্রের
মধ্যে দিয়ে যায়
গ) বক্রতা কেন্দ্র
থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- ক)
প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে যাবে।
১৪। গোলীয়
দর্পণে মূখ্য ফোকাসের সংখ্যা কটি?
ক) ১টি
খ) ২টি
গ) ৫টি
ঘ) ৪টি
উত্তর- ক)
১টি।
১৫। উত্তল দর্পণের
বক্রতা কেন্দ্রের দিকে পরিচালিত রশ্মি দর্পণ কর্তৃক প্রতিফলনের পর কোন পথে পরিচালিত
হয়?
ক) প্রধান অক্ষের
সমান্তরালভাবে যায়
খ) মুখ্য ফোকাসের
মধ্যে দিয়ে যায়।
গ) একই পথে
ফিরে যায়
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- গ)
একই পথে ফিরে যায়।
১৬। অবতল দর্পণের
বক্রতা কেন্দ্রগামী রশ্মি দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর কোন পথে পরিচালিত হয়?
ক) প্রধান অক্ষের
সমান্তরালভাবে যায়
খ) মুখ্য ফোকাস
থেকে অপসৃত হচ্ছে
গ) একই পথে
ফিরে আসে
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- গ)
একই পথে ফিরে যায়।
১৭। দাঁতের
চিকিৎসক কোন প্রকার দর্পণ ব্যবহার করেন?
ক) উত্তল দর্পণ
খ) অবতল দর্পণ
গ) অধিবৃত্তীয়
দর্পণ
ঘ) সমতল দর্পণ
উত্তর- খ)
অবতল দর্পণ।
১৮। কোন প্রকার
দর্পণ মোটরগাড়ির হেডলাইটে থাকে?
ক) উত্তল দর্পণ
খ) অবতল দর্পণ
গ) সমতল দর্পণ
ঘ) অধিবৃত্তীয়
দর্পণ
উত্তর- ক)
উত্তল দর্পণ।
১৯। স্ট্রিট
লাইটের প্রতিফলক হিসেবে কোন প্রকার দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
ক) উত্তল দর্পণ
খ) অবতল দর্পণ
গ) সমতল দর্পণ
ঘ) অধিবৃত্তীয়
দর্পণ
উত্তর- ক)
উত্তল দর্পণ।
২০। দাড়ি কামানোর
সময় কোন প্রকার দর্পণ ব্যবহার বেশি সুবিধাজনক?
ক) উত্তল দর্পণ
খ) অবতল দর্পণ
গ) সমতল দর্পণ
ঘ) অধিবৃত্তীয়
দর্পণ
উত্তর- খ)
অবতল দর্পণ।
২১। একটি বিন্দু
উৎস থেকে সমান্তরাল রশ্মি পেতে হলে নিম্নলিখিত কোনটির ব্যবহার করা হয়?
ক) উত্তল দর্পণ
খ) অবতল দর্পণ
গ) সমতল দর্পণ
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ)
অবতল দর্পণ।
২২। একটি অবতল
দর্পণকে জলে নিমজ্জিত করা হলে, তার ফোকাস দৈর্ঘ্যের কীরূপ পরিবর্তন হয়?
ক) হ্রাস পাবে
খ) বৃদ্ধি পাবে
গ) অপরিবর্তিত
থাকবে
ঘ) হ্রাস বা
বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা তরলটির উপর নির্ভরশীল
উত্তর- গ)
অপরিবর্তিত থাকবে।
২৩। আলোর প্রতিসরণে
নিম্নলিখিত কোনটি অপরিবর্তিত থাকে
ক) তরঙ্গদৈর্ঘ্য
খ) কম্পাঙ্ক
গ) আলোর গতিবেগ
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ)
কম্পাঙ্ক।
২৪। প্লিজমে
আপতন কোণের মান বাড়াতে থাকলে চ্যুতিকোণের মানের কীরূপ পরিবর্তন হয়?
ক) হ্রাস পায়
খ) বৃদ্ধি পায়
গ) প্রথমে বৃদ্ধি
পায়, পরে হ্রাস পায়
ঘ) প্রথমে হ্রাস
পায়, পরে বৃদ্ধি পায়
উত্তর- ঘ)
প্রথমে হ্রাস পায়, পরে বৃদ্ধি পায়।
২৫। ঘন মাধ্যম
থেকে লঘু মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণের সময় আপতন কোণ 30° ও প্রতিসরণ কোণের মান 45° হলে
চ্যুতি কোণের মান কত হবে?
ক) 30°
খ) 15°
গ) 90°
ঘ) 45°
উত্তর- খ)
15°
26. একটি রশ্মি
জল থেকে কাচে প্রতিসৃত হচ্ছে। প্রতিসরণের পর রশ্মিটির অবস্থান কোন দিকে হবে?
ক) অভিলম্ব
থেকে দূরে সরে যাবে
খ) কোনো বিচ্যুতি
ঘটবে না
গ) অভিলম্বের
দিকে সরে যাবে
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- গ)
অভিলম্বের দিকে সরে যাবে।
২৭। আলোর প্রতিসরণের
জন্য নিম্নলিখিত কোনটি দায়ী?
ক) আলোর প্রকৃতি
খ) আলোর বর্ণ
গ) বস্তুর স্বচ্ছতা
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- গ)
বস্তুর স্বচ্ছতা।
২৮। দুটি মাধ্যমে
প্রতিসরণের সময়, লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে কোনো আলোকরশ্মির কৌণিক চ্যুতির মান কত?
ক) 0°
খ) 60°
গ) 30°
ঘ) 90°
উত্তর- ক)
0°
২৯। যে কোনো
প্রিজমের প্রতিসারক কোণের মান সর্বদা কি হয়?
ক) পরিবর্তনশীল
খ) ধ্রুবক
গ) ধ্রুবক নয়
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ)
ধ্রুবক।
৩০। লঘু মাধ্যম
থেকে ঘন মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে কোন আপতন কোণের জন্য চ্যুতির মান সর্বনিম্ন
হয়?
ক) 90°
খ) 45°
গ) 0°
ঘ) 60°
উত্তর- গ)
0°
৩১। প্রিজমের
প্রতিসারক তলের সংখ্যা কটি ?
ক) ২ টি
খ) ৩ টি
গ) ৫ টি
ঘ) ৬ টি
উত্তর- ক)
২ টি।
৩২। আলোর কোন
ধর্মের জন্য সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের পরে কিছু সময় সূর্যকে দেখা যায়?
ক) প্রতিফলন
খ) প্রতিসরণ
গ) বিক্ষেপণ
ঘ) অভ্যন্তরীণ
পূর্ণ প্রতিফলন
উত্তর- খ)
প্রতিসরণ।
৩৩। আলোর প্রতিসরণের
সময় আপতিত রশ্মি কত ডিগ্রি কোণে আপতিত হলে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য হয় না?
ক) 45°
খ) 60°
গ) 0°
ঘ) 30°
উত্তর- গ)
0°
৩৪। প্রিজম
পেরিস্কোপ-এর সাহায্যে গঠিত কোনো বস্তুর প্রতিবিম্ব কীরূপ হয়?
ক) অস্পষ্ট
খ) খুব উজ্জ্বল
গ) খুব অনুজ্জ্বল
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ)
খুব উজ্জ্বল।
৩৫। একটি কাচের
স্ল্যাবে আলোকরশ্মি লম্বভাবে আপতিত হলে, আপতন কোণের মান কত?
ক) 90°
খ) 60°
গ) 0°
ঘ) 45°
উত্তর- গ)
0°
৩৬। লেন্সের
মুখ্য ফোকাসের সংখ্যা কটি?
ক) ১ টি
খ) ২ টি
গ) ৩ টি
ঘ) ৪ টি
উত্তর- খ)
২ টি।
৩৭। সুস্থ চোখের
ক্ষেত্রে নিকট বিন্দু দুরত্ব কত?
ক) 15 cm
খ) 10 cm
গ) 25 cm
ঘ) 30 cm
উত্তর- গ)
25 cm
৩৮। রেটিনার
কোন অংশে প্রতিবিম্ব গঠিত হলে দৃশ্যমান হয় না?
ক) আলোক অক্ষে
খ) দৃষ্টি অক্ষে
গ) অন্ধবিন্দুতে
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- গ)
অন্ধবিন্দুতে।
৩৯। চোখের কোন
অংশে সর্বাধিক স্পষ্ট দর্শনের অনুভূতি জাগায়?
ক) অন্ধবিন্দু
খ) আইরিস
গ) ভিট্রিয়াস
হিউমার
ঘ) ফোভিয়া
সেন্ট্রালিস
উত্তর- ঘ)
ফোভিয়া সেন্ট্রালিস।
৪০। লেন্সের
কোন বিন্দু থেকে দূরত্ব মাপা হয় ?
ক) মেরু
খ) আলোককেন্দ্র
গ) বক্রতা কেন্দ্র
ঘ) ফোকাস
উত্তর- খ)
আলোককেন্দ্র।
৪১। সমতলোত্তল
লেন্সের আলোকন্দ্রে কোথায় অবস্থিত?
ক) প্রধান অক্ষের
উপর
খ) প্রধান অক্ষ
ও উত্তলপৃষ্ঠের ছেদবিন্দুতে
গ) সমতল পৃষ্ঠের
ছেদবিন্দুতে
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ)
প্রধান অক্ষ ও উত্তলপৃষ্ঠের ছেদবিন্দুতে।
৪২। মানব চক্ষুর
কোন অংশে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
ক) কর্নিয়ায়
খ) অক্ষিগোলক
গ) রেটিনায়
ঘ) অক্ষিলেন্সে
উত্তর- গ)
রেটিনায়।
৪৩। অবতল লেন্সের
সামনে কোনো বস্তু থাকলে প্রতিবিম্বের দূরত্ব কেমন হবে?
ক) সর্বদা বস্তু
দূরত্বের চেয়ে কম হবে
খ) বস্তু দূরত্বের
বেশি বা সমান হবে
গ) বস্তু দূরত্বের
সমান বা কম হবে
ঘ) সর্বদা বস্তু
দূরত্বের চেয়ে বেশি হবে
উত্তর- ক)
সর্বদা বস্তু দূরত্বের চেয়ে কম হবে।
৪৪। সিনেমার
পর্দায় উৎপন্ন প্রতিবিম্বটি কীরূপ হয়?
ক) অসদবিম্ব
ও অবশীর্ষ
খ) সদবিম্ব
ও অবশীর্ষ
গ) সদবিম্ব
ও সমশীর্ষ
ঘ) অসদবিম্ব
ও সমশীর্ষ
উত্তর- খ)
সদবিম্ব ও অবশীর্ষ।
৪৫। উত্তল লেন্স
কখন কোনো বস্তুর বিবর্ধিত অসদবিম্ব গঠন করে?
ক) যখন বস্তুদূরত্ব
2f এর সমান
খ) যখন বস্তুদূরত্ব
2f এর বেশি
গ) যখন বস্তুদূরত্ব
f এর সমান
ঘ) যখন বস্তুদূরত্ব
f এর কম
উত্তর- ঘ) যখন বস্তুদূরত্ব f এর কম।
৪৬। উত্তল লেন্স
কখন কোনো বস্তুর খর্বকার সদবিম্ব গঠন করে?
ক) যখন বস্তুদূরত্ব
2f এর সমান
খ) যখন বস্তুদূরত্ব
2f এর বেশি
গ) যখন বস্তুদূরত্ব
f এর কম
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ) যখন বস্তুদূরত্ব 2f এর বেশি।
৪৭। দীর্ঘ দৃষ্টি
ত্রুটিসম্পন্ন ব্যক্তি ব্যবহার করেন কোন প্রকার চশমা?
ক) উপযুক্ত
ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা
খ) টরিক লেন্স
গ) অবতল লেন্সযুক্ত
চশমা
ঘ) বেলনাকার
চশমা
উত্তর- ক) উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল
লেন্সযুক্ত চশমা।
৪৮। হ্রস্ব
দৃষ্টি ত্রুটিসম্পন্ন লোক কোন প্রকার চশমা ব্যবহার করেন?
ক) উপযুক্ত
ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা
খ) বেলনাকার
চশমা
গ) টরিক লেন্স
ঘ) অবতল লেন্সযুক্ত
চশমা
উত্তর- ঘ) অবতল লেন্সযুক্ত চশমা।
৪৯। অ্যাকুয়াস
হিউমার ও ভিট্রিয়াস হিউমারের প্রতিসরাঙ্ক কত?
ক) 1.336
খ) 1.63
গ) 1.45
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- ক) 1.336
৫০। ফোটোগ্রাফিক
ক্যামেরাতে গঠিত প্রতিবিম্বের প্রকৃতি কীরূপ হয়?
ক) অসদ্ ও সমশীর্ষ
খ) অসদ্ ও অবশীর্ষ
গ) সদ্ ও সমর্শীর্ষ
ঘ) সদ্ ও অবশীর্ষ
উত্তর- ঘ) সদ্ ও অবশীর্ষ।
৫১। কোন প্রকার
লেন্সে বস্তু অপেক্ষা বড়ো অসদবিম্ব গঠিত হয়?
ক) অবতল লেন্সে
খ) উত্তল লেন্সে
গ) উত্তল দর্পণে
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ) উত্তল লেন্সে।
৫২। একটি আয়তাকার
কাচফলকের ফোকাস দৈর্ঘ্য হল-
ক) শূন্য
খ) অসীম
গ) ক্ষুদ্র
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- খ) অসীম।
৫৩। উত্তল লেন্সের
সামনে বস্তুকে এবং f ও 2f-এর মধ্যে রাখা হলে প্রতিবিম্বের প্রকৃতি কীরূপ হয়?
ক) সোজা ও ছোটো
খ) অবশীর্ষ
ও সমান
গ) সদ ও অবশীর্ষ
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- গ) সদ ও অবশীর্ষ।
৫৪। জলের মধ্যে
উপস্থিত বায়ুর বুদ্বুদ কীসের মতো আচরণ করে?
ক) অবতল দর্পণ
(Concave Mirror)
খ) উত্তল দর্পণ
(Convex Mirror)
গ) অপসারী লেন্স
(Diverging Lens)
ঘ) অভিসারী
লেন্স (Converging Lens)
উত্তর- গ) অপসারী লেন্স বা অবতল লেন্স।
৫৫। সকল ক্যামেরায়
আলোকনিরুদ্ধ বাক্সটির ভিতরের রং হয়-
ক) সাদা
খ) কালো
গ) লাল
ঘ) সবুজ
উত্তর- খ) কালো।
৫৬। কোনো উত্তল
লেন্সের ক্ষেত্রে বস্তুকে যদি অসীমে রাখা হয়, তাহলে তার প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?
ক) অসীমে
খ) আলোককেন্দ্রে
গ) দ্বিগুণ
ফোকাস দূরত্বে
ঘ) ফোকাসে
উত্তর- ঘ) ফোকাসে।
৫৭। প্রিজমের
মধ্যে দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণ হলে কোন বর্ণের আলোর চ্যুতি সর্বনিম্ন হয়?
ক) লাল
খ) সবুজ
গ) হলুদ
ঘ) নীল
উত্তর- ক)
লাল।
৫৮। প্রিজমের
মধ্যে দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হলে কোন বর্ণটিকে সবচেয়ে নীচে দেখা যায়?
ক) লাল
খ) হলুদ
গ) বেগুনি
ঘ) নীল
উত্তর- গ)
বেগুনি।
৫৯। প্রিজমের
মধ্যে দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে কোন বর্ণের আলোর বিচ্যুতি সর্বাধিক হয়?
ক) বেগুনি
খ) লাল
গ) হলুদ
ঘ) নীল
উত্তর- ক)
বেগুনি।
৬০। নিম্নলিখিত
কোন কারণে বর্ণালি সৃষ্টি হয়?
ক) প্রতিসরণ
খ) প্রতিফলন
গ) বিচ্ছুরণ
ঘ) কোনোটিই
নয়
উত্তর- গ)
বিচ্ছুরণ।
৬১। সাদা আলো
পর্দার মধ্যে দিয়ে বিচ্ছুরণ হলে পর্দায় সবার উপরে কোন বর্ণ থাকে?
ক) বেগুনি
খ) লাল
গ) হলুদ
ঘ) সবুজ
উত্তর- লাল।
৬২। নিম্নলিখিত
তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গগুলির মধ্যে কোন তরঙ্গটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি?
ক) UV রশ্মি
খ) মাইক্রোতরঙ্গ
গ) X রশ্মি
ঘ) দৃশ্যমান
আলো
উত্তর- খ)
মাইক্রোতরঙ্গ।
৬৩। নিম্নলিখিত
তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গগুলির মধ্যে কোনটির কম্পাঙ্ক সর্বাধিক?
ক) X রশ্মি
খ) বেতার তরঙ্গ
গ) g রশ্মি
ঘ) UV রশ্মি
উত্তর- গ)
g রশ্মি।
৬৪। দিনেরবেলা
আকাশকে নীল দেখায়, কারণ-
ক) আলোর প্রতিসরণের
জন্য
খ) আলোর প্রতিফলনের
জন্য
গ) আলোর বিচ্ছুরণের
জন্য
ঘ) আলোর বিক্ষেপণের
জন্য
উত্তর- ঘ)
আলোর বিক্ষেপণের জন্য।
৬৫। নিম্নলিখিত
কোন রশ্মি জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়?
ক) g রশ্মি
খ) মাইক্রোতরাস
গ) UV রশ্মি
ঘ) X রশ্মি
উত্তর- গ)
UV রশ্মি।
মনে রাখতে হবে
·
চকচকে
চামচের উত্তল পৃষ্ঠ উত্তল দর্পণের ন্যায় আচরণ করে।
·
গোলীয়
দর্পণের মুখ্য ফোকাস একটি স্থির বিন্দু।
·
গোলীয়
দর্পণের সামনে থাকা কোনো বস্তুর অসদবিম্ব সমশীর্ষ হয়।
·
গোলীয়
দর্পণের সামনে থাকা কোনো বস্তুর সদবিম্ব অবশীর্ষ হয়।
·
সমতল
দর্পণের ফোকাস দূরত্ব অসীম।
·
গোলীয়
দর্পণের মেরু ও ফোকাস বিন্দুগামী সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ বলে।
·
গোলীয়
দর্পণের মেরু থেকে ফোকাস বিন্দুর দূরত্ব হল দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য।
·
সার্চলাইটে
অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
·
কোনো
মাধ্যমের উষ্ণতা বাড়লে ওই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক হ্রাস পায়।
·
শূন্য
মাধ্যমে আলোর বেগ সর্বাধিক।
·
আপতন
কোণ 0° হলে প্রতিসরণে চ্যুতি সর্বনিম্ন হয়।
·
একমাত্র
লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে স্নেলের সূত্রটি প্রযোজ্য নয়।
·
প্রিজমের
তলের সংখ্যা ৫ টি।
·
প্রতিসরাঙ্ক
একটি একক বিহীন রাশি।
·
পাতলা
প্লিজমের ক্ষেত্রে রশ্মির চ্যুতিকোণ তার আপতন কোণের উপর নির্ভর করে না।
·
দীর্ঘ
দৃষ্টি ত্রুটি সংশোধনের জন্য উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।
·
স্বল্প
দৃষ্টি ত্রুটি সংশোধনের জন্য অবতল লেন্স ব্যবহার করা হয়।
·
জলে
ডোবালে উত্তল লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।
·
পাতলা
লেন্সের আলোককেন্দ্রের মধ্যে নিয়ে আলোকরশ্মি গেলে তার চ্যুতি হয় না।
·
নিকট
বিন্দু থেকে দূর বিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে দৃষ্টিপাল্লা বলা হয়।
·
চোখে
আলো প্রবেশের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আইরিশ।
·
লেন্সের
ক্ষমতা তার ফোকাস দৈর্ঘ্যের অন্যোন্যক।
·
সবুজ
রশ্মিকে মধ্যবর্ণ বলে।
·
সাদা
আলো হল বহুবর্ণী আলোকরশ্মি।
·
আলোর
প্রতিসরণ ধর্মের জন্য আলোর বিচ্ছুরণ দেখা যায়।
·
লাল,
নীল ও সবুজ এই তিনটিকে প্রাথমিক বর্ণ বলা হয়।
·
লাল
বর্ণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সর্বাধিক
·
X
রশ্মি আসলে ইলেকট্রন কণার স্রোত।
·
বিজ্ঞানী
ক্লার্ক, ম্যাক্সওয়েলের মতানুসারে আলোকতরঙ্গ হল তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
·
বায়ুমণ্ডলে
সূর্যালোকের বিক্ষেপণের ফলে আকাশ নীল দেখায়।
· তেজষ্ক্রিয় পদার্থ থেকে g রশ্মি নির্গত হয়।
·
কম
তরঙ্গদের্ঘ্যের আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয়।
·
বেশি
তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর বিক্ষেপণ কম হয়।
·
রেডিও
তরঙ্গের তুলনায় মাইক্রেতরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১। গোলীয় দর্পণ
বলতে কী বোঝো?
উত্তর- কোনো গোলীয় তল যখন মসৃণ ও চকচকে হয়,
তখন তাকে গোলীয় দর্পণ বলা হয়।
২। সমতল দর্পণের
ফোকাস দৈর্ঘ্যের মান কত?
উত্তর- অসীম।
৩। অবতল দর্পণে
কখন একটি বস্তুর সদবিম্ব গঠিত হয়?
উত্তর- বস্তু দূরত্ব ফোকাস দূরত্বের থেকে বেশি
হলে সবিশ্ব গঠিত হয়।
৪। অবতল দর্পণে
কখন একটি বস্তুর অসদবিদ গঠিত হয়?
উত্তর- যখন বস্তুটির অবস্থান দর্পণের মেরু ও
ফোকাসের মাঝে হয়।
৫। উত্তল দর্পণে
বস্তুর কী ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
উত্তর- অসদবিম্ব।
৬। গোলীয় দর্পণে
কয়টি মুখ্য ফোকাস বিন্দু থাকে?
উত্তর- একটি।
৭। সোলার কুকারে
কোন প্রকার দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর- অবতল দর্পণ।
৮। গোলীয় দর্পণ
কয় প্রকারের ও কী কী?
উত্তর- গোলীয় দর্পণ দুই প্রকার, যথা- (১) অবতল
দর্পণ (২) উত্তল দর্পণ।
৯। গোলীয় দর্পণে
কয়টি গৌণ ফোকাস বিন্দু আছে?
উত্তর- অসংখ্য।
১০। একটি সমতল
দর্পণের বক্ততা ব্যাসার্ধ কত?
উত্তর- অসীম।
১১। অবতল দর্পণে
সৃষ্ট অসদবিম্বের আকৃতি কীরূপ?
উত্তর- বিবর্ধিত হয়।
১২। প্ৰতিফলক
টেলিস্কোপে কোন প্রকার দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর- অবতল দর্পণ।
১৩। কোন প্রকার
দর্পণে বস্তুর তুলনায় ছোটো আকারের অসদবিম্ব গঠিত হয়?
উত্তর- উত্তল দর্পণে।
১৪। একটি সমতল
দর্পণের ক্ষমতা কত?
উত্তর- শূন্য।
১৫। গোলীয়
দর্পণের ফোকাস দূরত্ব বলতে কী বোঝো?
উত্তর- গোলীয় দর্পণের মেরু থেকে মুখ্য ফোকাসের
দুরত্বকে ফোকাস দূরত্ব বলে।
১৬। গাড়ির
হেডলাইটে কোন প্রকার দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর- অবতল দর্পণ।
১৭। গোলীয়
দর্পণের রৈখিক উন্মেষ বলতে কী বোঝো?
উত্তর- কোনো গোলীয় দর্পণের বৃত্তাকার পরিসীমার
ব্যাসকে ওই গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ বলা হয়।
১৮। দন্ত চিকিৎসকেরা
কোন প্রকৃতির দর্পণ ব্যবহার করেন?
উত্তর- অবতল দর্পণ।
১৯। কাচ ও হীরকের
মধ্যে কার প্রতিসরাত কম?
উত্তর- কাচের।
২০। প্রতিসরাঙ্কের
একক কী?
উত্তর- প্রতিসরাধ এককবিহীন ভৌতরাশি।
২১। প্রিজমের
প্রান্তরেখা কী?
উত্তর- প্রতিসারক হল দুটি যে সরলরেখা বরাবর
মিলিত হয়, তাকে প্রিজনের প্রান্তরেখা বলা হয়।
২২। প্রিজমের
ভূমি কী?
উত্তর- প্রিজমের প্রান্তরেখার বিপরীত দিকের
আয়তাকার তলকে প্রিজমের ভূমি বলা হয়।
২৩। পরম প্রতিসরাঙ্ক
কী?
উত্তর- শূন্যস্থানের সাপেক্ষে কোনো মাধ্যমের
প্রতিসরাঙ্ককে এই মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।
২৪। পাতলা প্রিজম
বলতে কী বোঝো?
উত্তর- যে প্রিজমের প্রতিসারক কোণটি খুব ছোটো
হয়, তাকে পাতলা প্রিজম বলা হয়।
২৫। দৃশ্যমান
কোন বর্ণের আলোর জন্য কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সর্বাধিক?
উত্তর- বেগুনি।
২৬। কোন লেন্সকে
অভিসারী লেন্স (Converging Lens) বলা হয়?
উত্তর- উত্তল লেন্সকে।
২৭। অপসারী
লেন্স (Diverging Lens) কোন প্রকার লেন্সকে বলা হয়?
উত্তর- অবতল লেন্সকে।
২৮। লেন্সের
ক্ষমতা পরিমাপের একক কী?
উত্তর- ডায়পটার।
২৯। স্বাভাবিক
দৃষ্টিসম্পন্ন লোকের দূর বিন্দু কোথায় অবস্থিত?
উত্তর- অসীমে।
৩০। আমাদের
চোখের কোথায় প্রতিবিম্ব তৈরি হয়?
উত্তর- রেটিনায়।
৩১। দৃষ্টিপাল্লা
কী?
উত্তর- চোখের নিকট বিন্দু থেকে দূর বিন্দু পর্যন্ত
দূরত্বকে দৃষ্টিপাল্লা বলে।
৩২। আতসকাচে
কোন প্রকার লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তর- উত্তল লেন্স।
৩৩। সিনেমার
পর্দায় সৃষ্ট প্রতিবিম্বের প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর- সদ ও বিবর্ধিত।
৩৪। ক্যামেরায়
কোন লেন্স থাকে?
উত্তর- উত্তল লেন্স।
৩৫। ভিট্রিয়াস
হিউমারের অবস্থান কোথায়?
উত্তর- চোখের লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী অংশে।
৩৬। রেটিনার
প্রধান কাজ কী?
উত্তর- বস্তুর প্রতিবিম্ব তৈরি করা।
৩৭। রেটিনাতে
উপস্থিত আলোক সুবেদী স্নায়ুতন্তুর নাম কী?
উত্তর- রড কোশ এবং কোণ কোশ।
৩৮। একটি প্রিজমে
আলোকরশ্মির ক্ষেত্রে কখন চ্যুতিকোণের মান ন্যূনতম
উত্তর- যখন আপতন কোণের মান নির্গমন কোণের সমান
হয়।
৩৯। কোনো মাধ্যমে
একটি উত্তল লেন্সকে রাখা হলে, লেন্সটি কখন সমান্তরাল কাচ ফলকের মতো আচরণ করবে?
উত্তর- যখন উত্তল লেন্সের প্রতিসরাঙ্ক ও মাধ্যমের
প্রতিসরাঙ্ক সমান হবে।
৪০। রেটিনার
কোন অংশে আলোক সংবেদনশীল কোনো কোশ নেই?
উত্তর- অন্ধবিন্দুতে।
৪১। কোন ধরনের
লেন্সের সাহায্যে হ্রস্ব দৃষ্টিজনিত ত্রুটি দূর করা যায়?
উত্তর- উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের অবতল লেন্স
দ্বারা।
৪২। কোনো বস্তুর
প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন ২ বলতে কী বোঝো?
উত্তর- কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন
২ বলতে বোঝায় যে ওই প্রতিবিম্বটির উচ্চতা বস্তুর উচ্চতার ২ গুণ।
৪৩। একজন স্বাভাবিক
দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন লোকের দৃষ্টিপাল্লা কত?
উত্তর- 25cm থেকে অসীম পর্যন্ত।
৪৪। লেন্সের
ফোকাস তল বলতে কী বোঝো?
উত্তর- লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে লম্বভাবে
অবস্থানকারী এবং মুখ্য ফোকাসগামী কাল্পনিক সমতলকে লেন্সের ফোকাস হল বলা হয়।
৪৫। আমাদের
চোখের লেন্স কোন প্রকৃতির হয়?
উত্তর- উত্তল লেন্স।
৪৬। আমাদের
চোখে যে সকল প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, তাদের প্রকৃতি কী?
উত্তর- সদবিম্ব।
৪৭। দ্বিনেত্র
দৃষ্টি কী?
উত্তর- দুটি চোখ দিয়ে লক্ষ্যবস্তুর ত্রিমাত্রিক
প্রতিবিম্ব দেখার ঘটনাকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলা হয়।
৪৮। দীর্ঘ দৃষ্টিসম্পন্ন
লোককে কী ধরনের লেন্স ব্যবহার করতে দেওয়া হয়?
উত্তর- উত্তল লেন্স।
৪৯। সমতলাবতল
লেন্স কী?
উত্তর- যে প্রকার অবতল লেন্সের একটি প্রতিসারক
তল অবতল এবং অপর প্রতিসারক তলটি সমতল, তাকে সমতলাবতল লেন্স বলে।
৫০। দূরের বস্তু
ও কাছের বস্তু দেখার সময় সিলিয়ারি পেশীর কীরূপ পরিবর্তন হয়?
উত্তর- দূরের বস্তু দেখার সময় পেশী প্রসারিত
হয় এবং কাছের বস্তু দেখার সময় পেশী সঙ্কুচিত হয়।
৫১। বর্ণালি
কয় প্রকারের হয় ও কী কী?
উত্তর- বর্ণালি দুই প্রকারের হয়। যথা- নিঃসরণ
বর্ণালি এবং শোষণ বর্ণালি।
৫২। শূন্যস্থানে
আলোর বেগ কত?
উত্তর- 3x108 মিটার/সেকেন্ড।
৫৩। শূন্য মাধ্যমে
আলোর বিচ্ছুরণ সম্ভব কি?
উত্তর- শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ সম্ভব নয়।
৫৪। কোন বর্ণগুলিকে
প্রাথমিক বর্ণ বলে?
উত্তর- লাল, সবুজ ও নীল বর্ণকে।
৫৫। কোন বর্ণের
আলোর বিক্ষেপণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম?
উত্তর- লাল।
৫৬। একবর্ণী
আলোকরশ্মি কী?
উত্তর- একটিমাত্র বর্ণ দ্বারা গঠিত আলোকরশ্মিকে
একবর্ণী আলোকরশ্মি বলে।
৫৭। আলোর বিচ্ছুরণের
একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও।
উত্তর- রামধনু।
৫৮। লাল বর্ণ
ও বেগুনি বর্ণের মধ্যে কোনটির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত কম?
উত্তর- বেগুনি।
৫৯। অন্ধকার
ঘরে লাল ফুলের উপর নীল আলো ফেললে ফুলটির বর্ণ হবে?
উত্তর- কালো।
৬০। আলো কোন
প্রকারের তরঙ্গ?
উত্তর- আলো তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ।
৬১। বিপদ সংকেতে
লাল বর্ণ ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর- কারণ, দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর
বিক্ষেপণ সবথেকে কম হওয়ায় লালবর্ণ ব্যবহার করা হয়।
৬২। আলোর কোন
ধর্মের জন্য দিনের বেলা আকাশ নীল দেখায়?
উত্তর- আলোর বিক্ষেপণ ধর্মের জন্য।
৬৩। তড়িৎচুম্বকীয়
বর্ণালীগুলির মধ্যে কোনটির কম্পাঙ্ক সর্বাধিক?
উত্তর- g রশ্মির।
৬৪। g রশ্মি ও X রশ্মির মধ্যে কার তরঙ্গদৈর্ঘ্য
বেশি?
উত্তর- X রশ্মি।
৬৫। কোন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের
আলো চোখে দর্শনের অনুভূতি জাগায় ?
উত্তর- 4000A°-8000A°
৬৬। ভিটামিন
প্রস্তুতিতে কোন রশ্মি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর- UV রশ্মি।
৬৭। X রশ্মির
কম্পাঙ্ক কত?
উত্তর- 400nm-700nm
৬৮। অতিবেগুনি
রশ্মি কোন স্তরে শোষিত হয়?
উত্তর- ওজোন স্তরে।
৬৯। কোন প্রকার
তরঙ্গ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তর- রেডিয়ো তরঙ্গ।
৭০। X রশ্মির
তরঙ্গদৈর্ঘ্য কত?
উত্তর- 10-8m-10-12m