Model Activity Task History Class 7 Part 7 |
Model Activity Task History Class 7 Part 7
Class 7 Part 7 History
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইতিহাস সপ্তম শ্রেণি পার্ট ৭
১. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাওঃ
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
উত্তর:
(খ) ১৫২৬ | |
(ক) ১৫২৯ | |
২. শূন্যস্থান পূরণ করোঃ
২.১ আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী হিমু________ দখল করেছিলেন।
উত্তর: আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী হিমু-দিল্লি- দখল করেছিলেন।২.২ আকবর__________ যুদ্ধে আফগানিস্তানে হারিয়ে দেন।
উত্তর: আকবর- পানিপথের দ্বিতীয়-যুদ্ধে আফগানিস্তানে হারিয়ে দেন ।২.৩ মুঘলরা কান্দাহার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়________ আমলে।
উত্তর: মুঘলরা কান্দাহার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়_ শাহ জাহান এর আমলে।২.৪ মুঘলরা বিজাপুর গোলকুণ্ডা দখল করে_______ রাজত্বকালে।
উত্তর: মুঘলরা বিজাপুর গোলকুণ্ডা দখল করে ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে।
৩. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
৩.১ 'জাবতি' কি?
উত্তর: নদীমাতৃক এবং কৃষি প্রধান দেশ ভারত বর্ষ এখানে প্রথম থেকেই কৃষকের ওপর নির্ভর করে দিয়ে সামনের দিকে অর্থাৎ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে।বিভিন্ন জাতি ভারতবর্ষকে আক্রমণ ও বিভিন্ন রাজ্য জয় করে তারা রাজত্ব করেছে আর কৃষকদের উপর বিভিন্ন অত্যাচারও করেছেকরেছে, আলাউদ্দিন খলজির রাজত্বকাল থেকে কৃষি ঋণ নেওয়া হতো জমি পরিমাপ করে এরপর শেরশাহ এবং আকবর সেই জমি পরিমাপ করে পদ্ধতিকে বজায় রেখে কৃষকদের জমির রাজস্ব কর এই পদ্ধতিকে বলা হয় জিবতি।
৩.২ 'মানসব' কী?
উত্তর: মানসব এই শব্দটি প্রচলন হয়েছিল আকবরের রাজত্বকাল এর সময় থেকে। মান সব এটি একটি আরবি শব্দ এর অর্থ হলো উঁচু স্থান বা উঁচু পদ। আকবরের রাজত্বকালে বিভিন্ন কর্মচারীদের বিভিন্ন পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল তাদের দক্ষতা অনুসারে এবং সেই সময় এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তার শাসন ব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদ গুলি খেয়ে মানসব বলা হত আর এই পদের কর্তাদের বা কর্মচারীদের বলা হত এই ব্যবস্থাকে বলা হতো ব্যবস্থা।৩.৩ "বারো ভূঁইয়া" নামে কারা পরিচিত ছিলেন?
উত্তর: মুঘগল সম্রাট আকবর এবং জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে কৃষি জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে তারা মোগলদের বিরোধিতা করতো। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় বারো টি জমিদার বা ভূস্বামী একত্রিত হয়ে বিদ্রোহের ঘোষণা করে ইতিহাসে এই বিদ্রোহ বারো ভূঁইয়া নামে পরিচিত।
৪.চার- পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও:
৪.১ আবুল ফজল ও আব্দুল কাদির বদরুদ্দীন কারা ছিলেন ?
উত্তর: মোগল সম্রাট আকবরের আমলে অন্যান্য লেখকদের মধ্যে আবুল ফজল ছিলেন এক অন্যতম তিনি একাধিক এ যেমন ঐতিহাসিক ঘটনাবলী কথা উল্লেখ করেছেন তিনি (১৫৫১-১৬০২খ্রিঃ), তিনি যে সমস্ত গ্রন্থ লিখেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আকবরনামা এবং আইনি-ই- আকবরী নবরত্নের মধ্যে একটা রত্ন।
আবুল কাদের বদরুদ্দীন ১৫৪০ থেকে ১৬১৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তিনি এক প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন।
আবুল কাদের বদরুদ্দীন এর লেখা গ্রন্থ গুলির মধ্যে উল্লেখ রয়েছে কোন দেশের বা কোন বিষয় সম্পর্কে অথবা অতি জানতে হলে ইতিহাস অবশ্যই জানতে হবে এই সমস্ত কথা উল্লেখ রয়েছে।
উভয় ছিলেন মোঘল যুগের আগত ঐতিহাসিক লেখক।
৪.২ তুমি কি মনে করো যে রাজপুত নীতির দ্বারা মুঘলরা ভারতীয় শাসকদের মুঘল শাসনের অঙ্গীভূত করেছিল ?
তোমার উত্তরের সাপেক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: সম্রাট হুমায়ুন ভারতে আগমনের পর ভারতের রাজপুতদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পর্ক সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু করেছিলেন কারণ সেই সময় স্বামীর অধিকারি ছিল রাজপুতরাই।
পরবর্তীতে সম্রাট আকবর যুদ্ধ ও সন্ধির মাধ্যমে শান্তির বার্তা বজায় রাখতে মনসবদারী প্রথার প্রচলন করে আর এর ফলে রাজপুতদের সঙ্গে মুঘল শাসকদের একটি সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তবে পরবর্তীতে ওরঙ্গজেব এর সময় ভারতের রাজপুত্ররা অধিক সংখ্যায় মনসবদারি প্রথা অন্তর্ভুক্ত হয় তবে সেই সময় যেমন তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে অপরদিকে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হতে থাকে। তবে মোগল সম্রাট এর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম যশোবন্ত সিং বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিরোধিতা করে। মোগল রাজাদের সেরকম কিছু উপকার হয় নি তবে বরঞ্চ ক্ষতি হয় আকবরের প্রবর্তিত জিজিয়া কর তুলে নিতে হয় কিন্তু পরবর্তীতে ওরঙ্গজেব আবার তাকে পুনরায় স্থাপন করে এবং শুরু করে, এভাবে রাজপুত নীতি এবং ভারতীয় শাসক দের সঙ্গে সম্পর্ক কখনো মেলবন্ধন ও কখনো বিদ্রোহ বিরোধিতা দেখা যেত।
Link For All Subject