![]() |
বিদ্যাসাগরের কথা |
বিদ্যাসাগরের কথা পড়াঃ
বাবার সঙ্গে হেঁটে কলকাতায় আসছে ছেলেটি। রাস্তার ধারে মাইলফলক দেখিয়ে বাবা চেনালেন ইংরেজি সংখ্যা। চটপট শিখে নিল সে। ইংরেজিতে লেখা ছিল ১৯। তারপর ১৮,১৭... এভাবে ১০। তারপর যতবার এল মাইলফলক, প্রতিবার সেই বালক নির্ভুল উত্তর দিল। বাবা তো অবাক। সত্যিই এত তাড়াতাড়ি শিখেছে? তাহলে ছেলের স্মৃতিশক্তি তো অসাধারণ! পরীক্ষা করার জন্য একটা মাইলফলক পেরিয়ে যাবার সময় ছেলের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখলেন তিনি। কথায় কথায় তাকে ভুলিয়ে রেখে নিয়ে চললেন পরের মাইলফলকের দিকে। তাঁর সন্দেহ হয়েছিল, ছেলে হয়তো আন্দাজে সংখ্যা চেনাচ্ছে। পরের মাইলফলক ছেলেকে দেখাতেই সে বলল, এখানে ভুল লেখা আছে। হবে ৬, কিন্তু লেখা আছে ৫। বাবা বুঝলেন যে, ছেলের মেধার কোনো তুলনা হয় না।
পরবর্তীকালে এই বালকের পাণ্ডিত্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল বাংলার শিক্ষাজগৎ আর সাহিত্যক্ষেত্র । তাঁর অবদান আজও আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। এই দিক্পাল মানুষটির নাম ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাঁর বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ছোট্ট ঈশ্বর-কে নিয়ে মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় আসার সময় মাইল ফলকের ঘটনাটি ঘটে।
বিদ্যাসাগরের কথা গল্পের শব্দার্থ ঃ
$ads={1}
মাইলফলক - পথের পাশে কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে মাইলের সংখ্যা লেখা পাথরের ফলক। - নির্ভুল – ঠিক। স্মৃতিশক্তি – মনে রাখার ক্ষমতা। নজর দৃষ্টি। দিক্পাল – বিখ্যাত।
বিদ্যাসাগরের কথা গল্পের অনুশীলনীর প্রশ্ন হাতেকলমেঃ
১. ‘বাবার সঙ্গে হেঁটে কলকাতায় আসছে ছেলেটি।'
– 'বাবা' ও 'ছেলে'-র পরিচয় দাও।
উত্তরঃ আলোচ্য পাঠে বাবা হলেন ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় আর ছেলে হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
২. বাবা কিভাবে ছেলেকে ইংরেজি সংখ্যা চেনালেন?
উত্তরঃ রাস্তার ধারে মাইল ফলক দেখিয়ে বাবা ছেলেকে ইংরেজি সংখ্যা চেনালেন।
৩. বাবা কীভাবে তাঁর ছেলের মেধার পরিচয় পেলেন?
উত্তরঃ মাইল ফলকের দ্বারা বাবা পরপর ছেলেকে ইংরেজি সংখ্যা চেনালেন কিন্তু তার বুদ্ধির পরিচয় নেওয়ার জন্য তিনি একটি মাইল ফলক এড়িয়ে ছেলেকে প্রশ্ন করে সঠিক উত্তর পেলেন, এর মাধ্যমে তিনি ছেলের মেধার পরিচয় পেলেন।
দ্বিতীয় শ্রেণী বাংলা আমার বই বিদ্যাসাগরের কথা
৪. নীচের ঘটনাগুলি সাজিয়ে লিখি :
৪.১ পরীক্ষা করার জন্য একটা মাইলফলক পেরিয়ে যাবার সময় ছেলের নজর অন্যদিকে
ঘুরিয়ে রাখলেন তিনি। (২)
৪.২ রাস্তার ধারে মাইলফলক দেখিয়ে বাবা চেনালেন ইংরেজি সংখ্যা। (১)
৪.৩ তাঁর সন্দেহ হয়েছিল, ছেলে হয়তো আন্দাজে সংখ্যা চেনাচ্ছে। (৩)
8.8 বাবা বুঝলেন যে, ছেলের মেধার কোনো তুলনা হয় না (৫)
৪.৫ পরের মাইলফলক ছেলেকে দেখাতেই সে বলল, এখানে ভুল লেখা আছে। (৪)
৫. অর্থ লিখিঃ
চটপট= তাড়াতাড়ি।
অবাক= বিস্ময়।
উজ্জ্বল= আলোকিত।
নজর= দৃষ্টি।
$ads={2}
বিদ্যাসাগরের কথা
৬. বাক্য রচনা করিঃ
স্মরন= নেতাজি কে স্মরন করো।
অসাধরন= গ্রামের ধান ক্ষেতের দৃশ্য সত্যিই অসাধরন।
তুলনা= মায়ের তুলনা হয় না।
অবদান= শিশুর শিক্ষায় মায়ের অবদান বেশি।