Model Activity Task Bangla Class 10 Part 7 |
Model Activity Task Bangla Class 10 Part 7
Class 10 Model Activity Task Bangla
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা দশম শ্রেণি পার্ট ৭
Model activity task
class 10
bengali
Part 7
class 10
bengali
Part 7
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
তার আগমনের কারণ হেতু , দেবী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিৎকে লঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানান। রামচন্দ্রের সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ইন্দ্রজিতের ভ্রাতা বীরবাহু। রাবণ প্রিয় পুত্রের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। পুত্রের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে তিনি স্বয়ং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই ‘মায়াবী মানব’ রামের ছলনার কথা বলে লক্ষ্মী তাঁকে শীঘ্রই যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদে বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে ইন্দ্রজিৎ রাবণের কাছে আসেন এবং রামচন্দ্রকে ‘সমূলে বিনাশ’ করার জন্য অনুমতি চান। পুত্রশোকে কাতর রাবণ নতুন করে পুত্রশোকে পতিত হতে চান না বলেই এ বিষয়ে নিজের অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি নিয়তির বিরূপতাকেই লক্ষ করেন কারণ ইন্দ্রজিতের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত রামচন্দ্রের পুনর্জীবন তাঁকে বিচলিত করে। তাই বক্তার এরূপ মন্তব্য।
অসুন্দরের বিনাশ করে সমাজে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করতে শিব বিধ্বংসী রূপ ধরে আগত। মহাকালের ঝামর চুলের আঘাতে সমগ্র আকাশ কেঁপে ওঠে। জ্বলন্ত ধুমকেতু যেমন আকাশের বুক চিরে পূর্ণশক্তি নিয়ে হাজির হয়, মহাকাল তেমনই পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগত। তাঁর শক্তিশালী দেহ থেকে ঝংকার হচ্ছে রক্তমাখা তরবারি। মহাকালের বিধ্বংসী চেহারা থেকে ঝরে পড়ছে ভয়ঙ্কর অট্টরোল। তাই মহাকালের এই ভয়ঙ্কর আগমনে সমগ্র চরাচর স্তব্ধ।
তার ট্যাকে এক টাকা ও গন্ডা ছয়েক পয়সা পাওয়া যায় এবং পকেট থেকে একটা লোহার কম্পাস, কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাই ও একটা গাঁজার কল্কে পাওয়া যায়।
২. নিম্নরেখ পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো :
১.১ “হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে।’- হরিদার জীবনের বৈচিত্র্যকে ‘নাটকীয়’ বলা হয়েছে কেন ?
উত্তরঃ - সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা ছিলেন খুবই গরিব মানুষ। কিন্তু ধরাবাঁধা ছকে জীবন কাটানো তার পছন্দের নয় । তাই অভাবের মধ্যেই জীবনের বৈচিত্র্য খুঁজতেন। হঠাৎ করে বিচিত্র ছদ্মবেশে পথে নেমে পড়েন হরিদা। কখনও বাসস্ট্যান্ডের কাছে উন্মাদের বেশে, আবার কখনও শহরের রাজপথ ধরে বাইজির ছদ্মবেশে ঘুঙুর বাজিয়ে চলে যেতেন, কখনও বোঁচকা কাঁধে কাবুলিওয়ালা, কখনও টুপি, কোট, প্যান্টালুন পরা ফিরিঙ্গি সাহেব—এরকম অজস্র রূপেই হরিদাকে দেখা যেত। বহুরূপীর বৈচিত্র্যময় পেশাক সঙ্গী করেই তিনি অন্ন জোগাড়ের চেষ্টা চালাতেন। তাই হরিদার জীবনকে ‘নাটকীয় বৈচিত্র্য ’ বলা হয়েছে।১.২ ‘কি হেতু মাতঃ, গতি তব আজি / এ ভবনে!’ – বক্তা কাকে ‘মাত: ‘ সম্বোধন করেছেন ? তার আগমনের কারণ কী ?
উত্তরঃ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ কবিতায় বক্তা ইন্দ্রজিৎ, রাক্ষসীর ছদ্মবেশে আসা দেবী লক্ষ্মীকে উদ্দেশ্য করে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।তার আগমনের কারণ হেতু , দেবী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিৎকে লঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানান। রামচন্দ্রের সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ইন্দ্রজিতের ভ্রাতা বীরবাহু। রাবণ প্রিয় পুত্রের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। পুত্রের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে তিনি স্বয়ং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই ‘মায়াবী মানব’ রামের ছলনার কথা বলে লক্ষ্মী তাঁকে শীঘ্রই যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
১.৩ হায়, বিধি বাম মম প্রতি।” – বক্তা কে ? তার এমন মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো। ১ + ২
উত্তরঃ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ কবিতায় আলোচ্য উক্তির বক্তা হলেন লঙ্কেশ রাবণ।ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদে বিচলিত ও মর্মাহত হয়ে ইন্দ্রজিৎ রাবণের কাছে আসেন এবং রামচন্দ্রকে ‘সমূলে বিনাশ’ করার জন্য অনুমতি চান। পুত্রশোকে কাতর রাবণ নতুন করে পুত্রশোকে পতিত হতে চান না বলেই এ বিষয়ে নিজের অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি নিয়তির বিরূপতাকেই লক্ষ করেন কারণ ইন্দ্রজিতের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত রামচন্দ্রের পুনর্জীবন তাঁকে বিচলিত করে। তাই বক্তার এরূপ মন্তব্য।
১.৪ ‘ওরে ওই স্তদ্ধ চরাচর। ‘চরাচর’ শব্দের অর্থ কী ? সেখানে স্বল্পতা বিরাজমান কেন ? ১ + ২
উত্তরঃ - কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘চরাচর’ শব্দেটির অর্থ হল বিশ্ব সংসার।অসুন্দরের বিনাশ করে সমাজে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করতে শিব বিধ্বংসী রূপ ধরে আগত। মহাকালের ঝামর চুলের আঘাতে সমগ্র আকাশ কেঁপে ওঠে। জ্বলন্ত ধুমকেতু যেমন আকাশের বুক চিরে পূর্ণশক্তি নিয়ে হাজির হয়, মহাকাল তেমনই পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগত। তাঁর শক্তিশালী দেহ থেকে ঝংকার হচ্ছে রক্তমাখা তরবারি। মহাকালের বিধ্বংসী চেহারা থেকে ঝরে পড়ছে ভয়ঙ্কর অট্টরোল। তাই মহাকালের এই ভয়ঙ্কর আগমনে সমগ্র চরাচর স্তব্ধ।
১.৫ দেখি তোমার ট্যাকে এবং পকেটে কী আছে ? – উদ্দিষ্ট ব্যক্তির ট্যাক এবং পকেট থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল।
উত্তরঃ - আলোচ্য অংশটি কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশ থেকে গৃহীত। পলিটিকাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকে ধরার জন্য পুলিশ অত্যন্ত সন্দেহবশত গিরিশ মহাপাত্রকে আটক করে। পুলিশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং খানা-তল্লাশির সময় তার ট্যাঁক এবং পকেট থেকে নানান ধরনের জিনিস পাওয়া পাই।তার ট্যাকে এক টাকা ও গন্ডা ছয়েক পয়সা পাওয়া যায় এবং পকেট থেকে একটা লোহার কম্পাস, কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাই ও একটা গাঁজার কল্কে পাওয়া যায়।
২. নিম্নরেখ পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো :
২.১. তোরা সব জয়ধ্বনি কর!
উত্তরঃ - ব্যাসবাক্য – জয় সূচক ধ্বনি (মধ্যপদলোপী কর্মধারায় সমাস)২.২. দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যুপে পাষাণ-স্তূপে।
উত্তরঃ - ব্যাসবাক্য – যজ্ঞের নিমিত্ত যুপ, (নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস)২.৩. আমি এখন তবে চললুম কাকাবাবু।
উত্তরঃ - ব্যাসবাক্য – যিনি কাকা তিনি বাবু (সাধারণ কর্মধারায় সমাস)২.৪ হিন্দু-মুসলমানের মাতৃভূমি গুলবাগ এই বাংলা।
উত্তরঃ - ব্যাসবাক্য – হিন্দু ও মুসলমান (দ্বন্দ্ব সমাস)২.৫ তার শোকে মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি।
উত্তরঃ - ব্যাসবাক্য – রাক্ষস দের অধিপতি (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)