![]() |
Model Activity Task Part 6 Bangla Class 10 | September 2021 |
তাই তোমরাও আর না দাঁড়িয়ে থেকে প্রশ্নের উত্তর গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে লিখে ফেলো।
Model Activity Task Part 6 Bangla Class 10 | September 2021 । মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৬ বাংলা দশম শ্রেণি ২০২১
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৬ বাংলা দশম শ্রেণি ২০২১
Bangla Class 10 Model Activity Task Part 6 September 2021
Class 10 Model Activity Task Part 6 Bangla September 2021
September 2021 Model Activity Task Part 6 Bangla
পার্ট ৬, ২০২১
বাংলা
দশম শ্রেণি
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় দাওঃ
১.১ ‘জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা?” – জগদীশবাবু কে? কাণ্ডটি কী?
উত্তরঃ সুবোধ ঘোষ রচিত “বহুরূপী” গল্পের এক অন্যতম চরিত্র তথা ধর্মপ্রাণ, বিত্তশালী ও কৃপণ ব্যক্তি হলেন জগদীশবাবু।
জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয় থেকে এক সন্ন্যাসী এসে সাতদিন ছিলেন। সেই সন্ন্যাসী কাউকে নিজের পদধুলি দিতেন না। কিন্তু ধর্মভীরু জগদীশবাবু সন্ন্যাসীকে সোনার বোল লাগানো খড়ম পরিয়ে দেবার সময় সুকৌশলে পদধূলি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় একশো টাকা প্রণামি দিয়েছিলেন। উক্ত অংশে জগদীশবাবুর এই ‘কান্ড’ এর কথা বলা হয়েছে।
১.২ খুবই গরিব মানুষ হরিদা। হরিদার পরিচয় দাও। তাঁর দারিদ্র্যের ছবি ‘বহুরূপী‘ গল্পে কীভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে?
উত্তরঃ সুবোধ ঘোষ রচিত “বহুরূপী” গল্পের মূল তথা কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন হরিদা – তিনি বহুরূপী পেশা অবলম্বন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
হরিদা ছিলেন অতি সামান্য এক দরিদ্র বহুরূপী । ঘড়ির কাটা ধরে একঘেয়েমি কোন কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই গোটা গল্পের পরিসরে আমরা তার দরিদ্র জীবনের দৃশ্য দেখতে পাই। শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে একটি ছোট্ট ঘরই তার একমাত্র সম্বল। বন্ধুদের চা খাওয়ানোর সামর্থ্য টুকুও তার ছিল না। বহুরূপী সেজে তিনি যেটুকু উপার্জন করেন তা দিয়ে তার সব সময় পেটের ভাত জোটে না। অনেক সময় তাই তার ভাতের হাড়িতে চালের বদলে শুধু জল ফোটে।
১.৩ ‘কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজ – বক্তা কাকে ‘মাতঃ‘ সম্বোধন করেছেন? তিনি এই প্রশ্নের কী উত্তর দিয়েছেন?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের বিভীষণের প্রতি ইন্দ্রজিৎ রচনা ইন্দ্রজিৎ মাত বলে সম্বোধন করেছেন ছদ্দবেশীনী ধাত্রীমাতা লক্ষ্মী কে।
ছদ্দবেশী লক্ষী ইন্দ্রজিৎ কে লঙ্কার দুর্দশারসংবাদ জানিয়েছিলেন। তাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য তিনি বলেন যে রামচন্দ্র কোন এক মায়া বলে পুনর্জীবন লাভ করে, ইন্দ্রজিতের ভ্রাতা বীরবাহুকে হত্যা করেছেন। তিনি আরো জানান শোকাগ্রস্ত রাবণ পুত্র হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
১.৪ ‘এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি! বক্তা কে? কোন্ মায়া তার বোধের অগম্য ?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বিভীষণের প্রতি ইন্দ্রজিৎ কবিতায় উক্ত অংশটির বক্তা হলেন ইন্দ্রজিৎ।
নিশারণে ইন্দ্রজিৎ তাঁর তীক্ষ্ণ তীর দ্বারা রামচন্দ্রের দেহ খন্ড খন্ড করেছিলেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন রামচন্দ্র সম্পূর্ণরূপে নিহত । কিন্তু সেই রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুকে হত্যা করেছেন। একজন তুচ্ছ মানুষ কোন মায়া বলে পুনর্জীবন লাভ করতে পারে – তা ইন্দ্রজিতের বোধগম্য নয়।
১.৫” ..ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা” – কার প্রতি এরূপ মন্তব্য? বা কোন পরিস্থিতিতে মন্তব্যটি করেছেন?
উত্তরঃ নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের “সিরাজদ্দৌলা” নাটকে বাংলার নবাব সিরাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে উদ্দেশ্য করে উক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
সিরাজ ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করে কলকাতা জয় করেন এবং ইংরেজদের সঙ্গে আলিনগরের সন্ধিতে আবদ্ধ হন। কিন্তু ইংরেজরা আলিনগরের শর্ত রক্ষার পরিবর্তে নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের করতে থাকেন। এমতাবস্থায় ওয়াটসনের একটি পত্র সিরাজের করায়ত্ত হয়। সেই পত্রের দ্বারা সিরাজ জানতে পারেন যে, ওয়াটসের নেতৃত্নে তার বিরুদ্ধে ইংরেজ কোম্পানি সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে। নবাবের রাজসভায় আশ্রিত ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসন এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার। ইংরেজ কোম্পানির এই ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতায় ক্রোধান্বিত হয়ে সিরাজ প্রকাশ্য রাজসভায় ওয়াটসকে বলেছেন যে “ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা”।
১.৬ মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, এর অঙ্গ–সঞ্চালনে ভূমিকম্প। – উধৃতিটির আলোকে ঘসেটি বেগমের চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
উত্তরঃ নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশের একজন কূটনৈতিক, দেশদ্রোহীনি, হৃদয়হীনা নারী চরিত্র হলেন ঘষেটি বেগম।
সিরাজ বিরোধী চক্রান্তের অন্যতম কুচক্রী ছিলেন ঘসেটি বেগম। তিনি সিরাজের দুঃখ-যন্ত্রণায় কাতর নন বরং আনন্দিত। বাংলার স্বাধীনতা রক্ষার পথে অন্তরায় হয়েও তিনি গর্বিত।পালিত পুত্রকে সিংহাসনে বসিয়ে ক্ষমতা দখল করার যে স্বপ্ন ঘসেটি দেখেছিলেন,সিরাজের সিংহাসন আরোহণে তা ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। নবাব ঘসেটিকে নজর বন্দি করে রাখেন। ঘসেটির হৃদয়ে জ্বলতে থাকে প্রতিহিংসার লেলিহান শিখা । কুচক্রী এই নারীর প্রধান অস্ত্র হল তার ভৎর্সনা এবং অভিশাপ। তার হৃদয়ে মায়া-মমতার লেশমাত্র নেই। ক্ষমতার লোভ আর প্রতিহিংসা তাকে করে বর্বর ও হৃদয়হীনা। এক কথায় বলতে গেলে এই নারী ছিলেন মুখরা এবং কূটনৈতিকতার প্রতিকী নারী।
১.৭ ‘আলো তার ভরবে এবার ঘর! – কোন্ আলোয় ঘর ভরে উঠবে?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “প্রলয়োল্লাস” কবিতা থেকে উক্তিটি গৃহীত হয়েছে।কালবৈশাখীর দাপটে গোটা আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছে দিগম্বরের জটার ন্যায় কালো মেঘ। কিন্তু সেই জটার ফাঁকেই দেখা দিচ্ছে এক চিলতে চাঁদের আলো – যা পরাধীনতার কালো অন্ধকারের মধ্যেও স্বাধীনতার সংকেত। আলোচ্য উক্তির মাধ্যমে কবি দিগম্বরের মাথায় থাকা শিশু চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় ঘর ভোরে ওঠার কথা বলেছেন।
১.৮ ‘…আসছে ভয়ংকর। – ভয়ংকরের আগমন–পরিস্থিতিটি ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসরণে আলোচনা কর।
উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত “ প্রলয়োল্লাস” কবিতা থেকে আলোচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে।চৈত্রের শেষে কালবৈশাখী ধুলো উড়িয়ে যে ধ্বংসলীলায় মাতোয়ারা হয় – এটা নব সৃষ্টির পূর্বাভাস। ঠিক তেমনই পরাধীন ভারতবর্ষের বুকে স্বাধীনতার লক্ষ্যে যে আন্দোলনের প্রসার কালবৈশাখীর ন্যায় উঠেছে, তা যেন প্রলয় নেশায় নৃত্য পাগল হয়ে মহাকালের ভন্ড রূপ ধারণ করে সিন্ধুপারের ব্রিটিশরাজের সিংহদ্বারে আঘাত হানছে। সেই রূপে ধ্বংসের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি নিয়ে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পরাধীনতাকে সরিয়ে স্বাধীনতাকে আনার লক্ষ্যেই, ভয়ঙ্কর রূপে তার আগমন।
১.৯ ‘অপূর্ব কহিল, বেলা হয়ে গেল, আমি এখন তবে চললুম কাকাবাবু। – বেলা কীভাবে গড়িয়ে গেল?
উত্তরঃ কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “পথের দাবী” গদ্যাংশ থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে ।অপূর্ব গতরাতে ঘটে যাওয়া চুরির খবর জানাতে পুলিশ স্টেশনে হাজির হয়েছিল।থানায় প্রবেশ করে অপূর্ব দেখে যে জনা ছয়েক বাঙালির তল্লাশি হচ্ছে। তারপর বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে গিরিশ মহাপাত্র নামে এক অদ্ভুত ব্যক্তিকে বড়বাবুর সামনে হাজির করা হয়। এরপর গিরিশকে বড়বাবুর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় এবং গিরীশের পকেট ও ট্যাক তল্লাশির সময় একটি গাঁজার কল্কে পাওয়া যায়। যদিও গিরিশ গাঁজা খাবার কথা অস্বীকার করে। দীর্ঘক্ষন ধরে গিরিশকে নিয়ে পুলিশ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুনতে শুনতে অপূর্বর বেলা গড়িয়ে গিয়েছিল।১.১০ ‘কৈ এ ঘটনা তো আমাকে বলেন নি?” – বক্তা কাকে একথা বলেছেন? কোন্ ঘটনার কথা বক্তা আগে শোনেননি?
উত্তরঃশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “পথের দাবী” গদ্যাংশে আলোচ্য অংশটির বক্তা রামদাস তার সহকর্মী বন্ধু অপূর্বর উদ্দেশ্যে বলেছেন।একবার কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক বিনা দোষে অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে, অপূর্ব ইউরোপীয় না হওয়ার দরুন স্টেশনমাস্টার অভিযোগ শোনার পূর্বেই তাকে তাড়িয়ে দেয়।-অপূর্বর এই নিগ্রহের কথা’ রামদাস আগে শোনেননি।
২. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর : (প্রতিটির মান – ১)
ভোজ্যবস্তু, পোশাক–পরিচ্ছদ, সন্ধ্যাহ্নিক, সৃজন–বেদন, প্রলয়োল্লাস, রথঘর্ঘর, জয়ধ্বনি, সিংহদ্বার, শিশু–চাদ, প্রলয়–নেশা।উত্তরঃ ভোজ্যবস্তু = ভোজ্যের বস্তু – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
পোশাক–পরিচ্ছদ = পোশাক ও পরিচ্ছদ – দ্বন্দ্ব সমাস।
সন্ধ্যাহ্নিক = সন্ধ্যায় পালনীয় আহ্নিক – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
সৃজন–বেদন = সৃজনের নিমিত্ত বেদন – নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস।
প্রলয়োল্লাস = প্রলয়ের নিমিত্ত উল্লাস – নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস।
রথঘর্ঘর = রথের ঘর্ঘর – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
জয়ধ্বনি = জয় সূচক ধ্বনি – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
সিংহদ্বার = সিংহ চিহ্নিত দ্বার – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
শিশু–চাঁদ = শিশু যে চাঁদ (উপমান কর্মধারয় সমাস)।
প্রলয়নেশা = প্রলয়ের নেশা – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস ।
৩. কমবেশি ১৫০ শব্দে প্রতিবেদন রচনা কর :
নিজস্ব সংবাদদাতা,১৭ই আগস্ট : লর্ডন্সলর্ডম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়লাভ ভারতীয় দলের। ম্যাচের পঞ্চম দিন ব্যাটে বলে দাপট দেখাল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। প্রথমে মুহূর্তে ৮৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে ২৯৮ রানে পৌছে দেয় মহম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরা। ৫০ রান করেন মহম্মদ শামি। ইংল্যন্ডের ২৭ রানের লিড দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭২ রানের টার্গেট দেয় টিম ইন্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই লাগাতার ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে। জো রুট ও জয়বাটলার কিছুটা লড়াই করলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। ১২০ রানে শেষ হয় ইংল্যন্ডের ইনিংস৷ ১৬১ রানে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া ।
link for other Subjects
Model Activity Task Part 6 Geography and Paribesh Class 10 । মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৬ পরিবেশ ও ভূগোল দশম শ্রেণি
September Model Activity Task History | Part 6 History Class 10 । মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৬ ইতিহাস দশম শ্রেণি
New Model Activity Task Part 6 Life Science Class 10 । নতুন মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৬ জীবন বিজ্ঞান দশম শ্রেণি
তোমরা তোমাদের সেপ্টেম্বর মাসের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর প্রশ্নপত্রের উত্তর পেয়ে আশা করি খুশি হয়েছো আর তোমার বন্ধুদেরকেও এই প্রশ্নের উত্তর গুলি লেখার সুযোগ করে দাও তাই তাদেরকে শেয়ার করে দাও এই প্রশ্নের উত্তরের লিংকটি।
Thank you
ReplyDelete