Bornomala | বর্ণমালা

বর্ণমালা
বর্ণমালা
সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছো। আজ আমরা শিখবো এবং জানবো বর্ণমালা( Bornomala) সম্পর্কে। বর্ণমালাকে সহজতরভাবে শিখতে হলে আমাদের অবশ্যই বর্ণের বেসিক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই আমরা প্রত্যেক বর্ণের উদাহরণসহ শ্রেণীবিভাগ করে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছি বর্ণমালার ক্লাস। চলো তবে শুরু করি বর্ণের বেসিক থেকে সম্পূর্ণ আলোচনা।
{tocify} $title={Table of contents}

Bornomala 

বর্ণ-

$ads={1}

যে বিশেষ চিহ্নের দ্বারা উচ্চারিত ধ্বনিকে লেখা হয়, তাকে বর্ণ বলা হয়।

যেমন- অ, আ, ই, ঈ, ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি।

বর্ণমালা-

বাংলা ভাষায় যত রকম ধ্বনির লিখিত চিহ্ন আছে, তাদেরকে একত্রে বলে বর্ণমালা।

বর্ণমালাকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?

বর্ণমালা কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

১) স্বরবর্ণ (11টি ) (অ,আ,ই,ঈ,উ,ঊ,ঋ,এ,ঐ,ও,ঔ)

২) ব্যঞ্জনবর্ণ(35টি) (ক,খ,গ,ঘ,ঙ,চ,ছ,জ,ঝ,ঞ,ট,ঠ,ড,ঢ,ণ,ত,থ,দ,ধ,ন,প,ফ,ব,ভ,ম,য,র,ল,ব,শ,ষ,স,হ,ং,ঃ)

স্বরবর্ণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে বর্ণ কে অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়াই উচ্চারিত করা যায়, তাকে বলা হয় স্বরবর্ণ।

বাংলা ভাষায় মোট 12টি স্বরবর্ণ আছে।

স্বরবর্ণকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?

উচ্চারণ এর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্বরবর্ণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

১) হ্রস্বস্বর

২)দীর্ঘস্বর

হ্রস্বস্বর

যে স্বরবর্ণ গুলি উচ্চারণ করতে অল্প সময়ের প্রয়োজন হয়, তাদের হ্রস্বস্বর বলে।

যেমন-অ,ই,উ,ঋ,।

দীর্ঘস্বর-

যে স্বরবর্ণ গুলি উচ্চারণ করতে একটু বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়, তাদের দীর্ঘস্বর বলে।

যেমন- আ,ঈ,ঊ,এ,ঐ,ও,ঔ।

স্বরধ্বনি ভেদে স্বরবর্ণ কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

১) মৌলিক স্বর

২) যৌগিক স্বর

মৌলিক স্বর-

একটিমাত্র স্বর যোগে যেসব স্বরবর্ণ গঠিত হয়, সেই স্বরবর্ণগুলিকে বলে মৌলিক স্বর।

যেমন-অ,আ,ই,উ,এ,ও।

যৌগিক স্বর-

একাধিক স্বর যোগে যে সব স্বরবর্ণ গঠিত হয়, সেই স্বরবর্ণগুলিকে বলে যৌগিক স্বর।

যেমন-ঐ, ঔ। ও+ই যোগে ঐ।

অ+উ যোগে ঔ গঠিত হয়।

ব্যঞ্জনবর্ণ-

যেসব বর্ণ স্বরবর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে না, তাকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে।

যেমন-ক,খ,গ,ঘ,ঙ,চ,ছ,জ,ঝ,ঞ,ট,ঠ,ড,ঢ,ণ,ত,থ,দ,ধ,ন,প,ফ,ব,ভ,ম,য,র,ল,ব,শ,ষ,স,হ,ং,ঃ

ব্যঞ্জনবর্ণ কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?

ব্যঞ্জনবর্ণকে সাধারণত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়-

$ads={2}

১) স্পর্শ বর্ণ

২) অন্তঃস্থ বর্ণ

৩) উষ্ম বর্ণ

৪) অযোগবাহ বর্ণ

৫) অনুনাসিক বর্ণ

স্পর্শ বর্ণ-

ক থেকে ম পর্যন্ত পঁচিশটি বর্ণ কে স্পর্শ বর্ণ বলে। এই বর্ণগুলি উচ্চারণ এর সময় জীভের কোন না কোন অংশের সঙ্গে কণ্ঠ, তালু, মূর্ধা,দন্ত, ওষ্ঠ স্পর্শ ঘটে।

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী 25 টি বর্ণকে আবার পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায় প্রতিটি ভাগকে বলা হয় বর্গ।

ক বর্গ, চ বর্গ, ট বর্গ, ত বর্গ, প বর্গ।

অন্তঃস্থ বর্ণ-

‘অন্তঃস্থ’ শব্দটির অর্থঃ মাঝে অবস্থিত। চারটি বর্ণ স্পর্শ বর্ণ ও উষ্ণ বর্ণের মাঝখানে অবস্থিত, তাই এদের অন্তঃস্থ বর্ণ বলে।

উষ্ম বর্ণ-

‘উষ্ম’ শব্দের অর্থ গরম। এদের উচ্চারণকালে উষ্মা অর্থাৎ গরম শ্বাসবায়ু বের হয়। তাই এদের উষ্ম বর্ণ বলে।

অযোগবাহ বর্ণ-

ং ও ঃ বর্ণ দুটি অন্য কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে ব্যবহৃত হতে পারে না। তাই এদের অযোগবাহ বর্ণ বলে।

অনুনাসিক বর্ণ-

প্রতিটি বর্গের পঞ্চম বা শেষ বর্ণের উচ্চারণ নাসিকার সাহায্যে বের হয়। তাই এদের অনুনাসিক বা নাসিক্য বর্ণ বলে।

যেমন-ঙ,ঞ,ণ্‌,ন্‌,ম

উচ্চারণ রীতির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যঞ্জনবর্ণগুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কি কি?

উচ্চারণ রীতির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যঞ্জনবর্ণগুলিকে 5 ভাগে ভাগ করা যায়।

১) মহাপ্রাণ বর্ণ

২)অল্পপ্রাণ বর্ণ

৩) ঘোষ বর্ণ

৪) অঘোষ বর্ণ

৫) অনুনাসিক বর্ণ

মহাপ্রাণ বর্ণ-

বর্গের যে বর্ণগুলি উচ্চারণ করতে বেশি শ্বাসবায়ুর দরকার হয় তাদের মহাপ্রাণ বর্ণ বলে, অর্থাৎ প্রতি বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ গুলি মহাপ্রাণ বর্ণ।

যেমন-খ,ঘ,ছ,ঝ,ঠ,ঢ প্রভৃতি।

অল্পপ্রাণ বর্ণ-

প্রাণ বা নিঃশ্বাসের অল্পতার জন্য বর্গের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণকে অল্পপ্রাণ বর্ণ বলে।

যেমন-ক,গ,চ,জ প্রভৃতি।

$ads={1}

ঘোষ বর্ণ-

‘ঘোষ’ শব্দের অর্থ গাম্ভীর্য।

বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম বর্ণের উচ্চারণ গাম্ভীর্যপূর্ণ বলে এদের ঘোষ বর্ণ বলে।

যেমন-গ,ঘ,জ,ঙ্‌ ঝ,ঞ।

অঘোষ বর্ণ-

বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ এবং শ স ষ- এদের উচ্চারণ মৃদু ও গাম্ভীর্যহীন, তাই তাদের বলা হয় অঘোষ বর্ণ।

যেমন- ক খ; চ ছ; ট ঠ; ত থ; প ফ; শ স ষ।

অনুনাসিক বর্ণ-

প্রতি বর্গের শেষ বর্ণ এবং ং এর উচ্চারণের সময় নিঃশ্বাস বায়ু আংশিকভাবে নাসিকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং এর ফলে নাকে  লাগানো ধ্বনির সৃষ্টি হয়। তাই এদের বলা হয় অনুনাসিক বা নাসিক্য বর্ণ।

Mehemud Ali

Mehemud Ali, an expert faculty of Bengali Grammar and Geography, love to teach.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post