Model Activity Task Bangla Prothom Vasha Part 3 Class 10 |
Model Activity Task Bangla Prothom Vasha Part 3 Class 10
Class 10 Model Activity Task Bangla Prothom Vasha Part 3
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা দশম শ্রেণি তৃতীয় পর্ব
Model Activity Task Class 10
Bengla / বাংলা
Part 3
1. তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।- 'বহরুপী গল্পের আলােকে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি সুবোধ ঘোষের বহুরূপী গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
বহুরূপী গল্পের কেন্দ্রীয় তথা প্রধান চরিত্র হরিদা বহুরূপী সেজে শহরে বের হয়। কখনো পুলিশ, কাপালিক, পাগল সন্ন্যাসী, বাইজি সেজে যা উপার্জন করে তা দিয়ে তার সংসার চলে এর মাধ্যমে সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ হরিদার চরিত্রে ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদার পরিস্ফুটন ঘটিয়েছেন । তাই অভাব-অনটনে তার দিন গুজরান হলেও নিজের বহুরূপী পেশা কে ত্যাগ করেননি।
একদিন হরিদা তার বন্ধু ভবতোষ কে জানায় সে জগদীশ বাবুর বাড়িতে গিয়ে তিনি কিছু টাকা আদায় করবেন। তিনি বন্ধুদের জগদীশ বাবুর বাড়িতে উপস্থিত থাকতে বলে।
জগদীশ বাবুর বাড়িতে হরিদা উপস্থিত হন সন্ন্যাসীর সাজে। তার আদর আপ্যায়নের জন্য জগদীশবাবু বারান্দা থেকে নেমে না আসায় হরিদা তাকে তিরস্কার করে বলেন আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড় ? তারপর জগদীশবাবু নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেবা করতে চাইলে হরিদা শুধুমাত্র নিজের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ঠান্ডা জল চেয়ে নেন। জগদীশবাবু হরিদা কে নিজের বাড়িতে থাকার অনুরোধ করলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। বিরাগীর কাছে জগদীশবাবু কিছু উপদেশ শুনতে চাইলে বিরাগী রুপি হরিদা দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দেন ধন জন যৌবন সবই অস্থায়ী।
ঈশ্বরের উপাসক হলে সৃষ্টির সব ঐশ্বর্য সহজেই মেলে। বিদায় বেলায় জগদীশবাবু বিরাগী কে একশো টাকা দিতে চাইলে বিরাগী তা প্রত্যাখ্যান করে চলে যায়।
বিরাগী হরিদাকে তার বন্ধুরা চিনতে না পারলেও ঘরে ফিরে মাদুরের ওপর পড়ে থাকা উত্তরীয় দেখে তাদের ভুল ভাঙ্গে। তখন তার বন্ধুরা হরিদা কে জিজ্ঞেস করে জগদীশবাবু তোমাকে টাকা দিতে চেয়েছিল কিন্তু তুমি নাওনি কেন? হরিদা তখন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আমি বিরাগী সেজে গিয়েছিলাম। বিরাগীদের টাকা পয়সা ধন সম্পত্তির ওপর কোনো লোভ থাকে না। তাই আমি টাকা দিতে পারিনি যদি টাকা নিয়ে নিতাম তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যেত।
2. 'ঘুচাব এ অপবাদ, বধি রিপুকুলে।- বক্তা কে? কোন অপবাদের কথা তিনি বলেছেন? উক্ত অপবাদ ঘােচানাের জন্য তিনি কীভাবে প্রস্তুত হলেন ?
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মেঘনাথবধ কাব্যের অভিষেক পাঠ্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। নিজের আচরণকে ধিক্কার জানিয়ে ইন্দ্রজিৎ এই উক্তি করেছেন ।
লঙ্কার চরম দুর্দিনে প্রমোদ কাননে নিজের বিলাস বাসনে ডুবে থাকাকে মেঘনাথ অপবাদ বলে মনে করেছেন।
অপবাদ ঘোচানোর জন্য মেঘনাথ বীর আবরণে যুদ্ধ সাজে সেজে ওঠেন। যেমনভাবে উমার পুত্র কার্তিক তারকাসুর বধকালে সেজেছিলেন ঠিক তেমনভাবে মেঘনাদও যুদ্ধের সাজে সেজে ওঠে। তিনি শীঘ্রই রথ আনার নির্দেশ দেন। স্ত্রী প্রমীলাকে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। মেঘনাদের লঙ্কা যাত্রার সময় আকাশ-বাতাস কম্পমান হয়ে ওঠে।
লঙ্কায় পৌঁছে পিতাকে যুদ্ধযাত্রা থেকে বিরত করে রাঘব বধের অনুমতি নেন তিনি। নিজপুত্র মেঘনাদকে গঙ্গা জল দ্বারা অভিষেক করে সেনাপতি পদে নিযুক্ত করেন রাবন ।
3. 'তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত।'— বক্তা কাদের কাছে কেন লজ্জিত তা সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে।
উত্তরঃ আলোচ্য নাট্যাংশটি শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সিরাজউদ্দৌলা নাট্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। নাট্যাংশ এর প্রধান চরিত্র সিরাজ-উদ-দৌলা ফরাসি প্রতিনিধি মসিয়ে লা সহ ফরাসিদের কাছে স্বয়ং লজ্জিত বলেছেন।
ফরাসিরা খুবই শান্ত, নিরীহ মানুষ । তারা নবাব সিরাজউদ্দৌলার অনুমতি নিয়ে বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে। কিন্তু ইংরেজরা নবাবের অনুমতি না নিয়েই চন্দননগরে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। ফলে ফরাসিদের এবং ইংরেজদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়। ইংরেজরা জোরপূর্বক ফরাসিদের ঘাঁটি দখল করে নেয়। ফরাসি প্রতিনিধি মসিয়ে লা এই আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে নবাবের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কয়েকদিন আগে সিরাজউদ্দৌলা যুদ্ধ করার ফলে নবাবের লোকবল এবং অর্থবল উভয়ই এতটাই কমে গিয়েছে যে ফরাসিদের ইংরেজদের প্রতিহত করার ক্ষমতা আর ছিল না । তাই তিনি ফরাসিদের কাছে লজ্জিত বলে জানিয়েছেন।
4. ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার কিসের তবে ডর?- কবির এই মন্তব্যটি কোন ইঙ্গিতবাহী ?
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রলয়োল্লাস কবিতা থেকে গৃহীত।
কবি জগতের সৃষ্টি ও বিনাসকে ভাঙ্গা গড়ার খেলা বলে উল্লেখ করেছেন। মহাকাল রুদ্র একধারে পালক ও সংহারক। তিনি নতুন সৃষ্টির আগে প্রলয় নেশায় মেতে ওঠে বিনাশ করেন। মহাকালের তাণ্ডবের পরই নতুনের সৃষ্টি হয়
তেমনি ভাবে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর জন্য কবি প্রলয় দেবের আগমনের কামনা করেছেন। তিনি দেখেছেন ইংরেজ সরকার কিভাবে সাধারণ মানুষদের ওপর অন্যায় অত্যাচার করে। তাই কবি দেশকে মুক্ত করার জন্য তরুণ সমাজকে আহ্বান করেছেন। তরুণ সমাজ মহাকালের বেশে এসে যাতে ভারতবর্ষকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করে কবির এই আশা। কবি সত্য,শিব ও সুন্দরের পূজারী।তিনি ভারতবর্ষের তরুণ বিপ্লবীদের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা এই অন্ধকার নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতে চায়। তাই তারা মেতে ওঠে প্রলয়ের আনন্দে। কারন তাদের বিশ্বাস এই যে ধ্বংসের পরে আসবে নতুন সৃষ্টি। সৃষ্টির আশায়, প্রলয়ের নেশায় তরুণ দল মেতে ওঠে বলে তাদের ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় ভয় নেই।
5. 'বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলআনাই বজায় আছে। বাবুটি কে? তার স্বাস্থ্য এবং যােলােআনা শখের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। বাবুটি হল পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে পুলিশ স্টেশনে আটকে থাকা গিরীশ মহাপাত্র।
গিরিশ মহাপাত্রের বয়স তিরিশ বত্রিশ বছরের বেশি নয়। কিন্তু রোগা। রং তামাটে। তাকে নিমাই বাবুর সামনে আনা হলে তিনি কাঁপতে কাঁপতে প্রবেশ করেন। দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত লোকটির অদ্ভুত চোখের চাহনি । মনে হয় কাশতে কাশতে তিনি তার শরীর ত্যাগ করবেন।
গিরীশ মহাপাত্রের মাথার সামনের বড় বড় চুল থাকলেও ঘাড় ও কানের কাছে চুল নেই বললেই চলে। চেরা সিঁথি কাটা চুলগুলি উগ্র নেবুর গন্ধে ভরপুর । গিরীশ মহাপাত্রের গায়ে জাপানি সিল্ক এর রামধনু রংয়ের পাঞ্জাবি , পরনে কালো পাড়ের ধুতি , বুকপকেটে বাঘ আঁকা রুমাল, পায়ের সবুজ মোজাটি লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা। লোহার নাল দিয়ে বাঁধানো পাম্প সু, হাতে একটি হরিণের শিং এর হাতল দেওয়া বেতের ছুরি। নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষা পরিপাটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেই আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
Link For All Subject