![]() |
New Model Activity Task Class 7 Part 6 Bangla First Language September 2021 |
Bangla First Language Model Activity Task Class 7 Part 6
Model Activity Task Class 7 Part 6 Bangla First Language September 2021
New Model Activity Task Class 7 Part 6 Bangla First Language September 2021
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণি বাংলা (প্রথম ভাষা)
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
সপ্তম শ্রেণি
বাংলা (প্রথম ভাষা)
সপ্তম শ্রেণি
বাংলা (প্রথম ভাষা)
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ ‘বাইরের চলাটা আসল নয়।‘ – প্রকৃত চলা কোন্টি?
উত্তর-শিবতোষ মুখোপাধ্যায় এর ‘কার দৌড় কতদূর’ রচনায় বাইরের সব চলার মাঝে যা সত্যিকারের চলা তা হল মানুষের মনের দ্রুত ছুটে চলা। মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিবেগের সমান । একমুহূর্তেই বিশ্বময় চরাচর করতে পারে। সেই মনের অবাধ চলাকেই লেখক আসল চলা বলেছেন।
১.২ ‘জবাবটা জেনে নেব মেজদাকে খুঁচিয়ে।‘ – কোন্ প্রশ্নের জবাব মেজদার কাছে মিলবে?
উত্তর-নোট বই’ কবিতায় বক্তা তার মেজদার কাছ থেকে জেনে নেবেন ঝোলাগুড় সাবানে না পটকায় দেয়।
১.৩ ‘আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন।‘ – কোন্ কথার অবতারণালে বক্তার ‘ঠাট্টা‘ মনে হয়েছে?
উত্তর- বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী অসীমাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি লেক শ্রেভারের জল শুকিয়ে ফেলে মেঘ তৈরি করবেন, সেই মেঘ থেকে যদি বৃষ্টি হয় তবে হয়তো সাইবেরিয়াই এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমতে পারে । তার এই অবাস্তব কথা শুনে অসীমা মনে করেছিলেন তিনি বুঝি ঠাট্টা করছেন।
১.৪ জেমস এইচ, কাজিন্স কে ছিলেন?
উত্তর- ১৯১৯ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দক্ষিণ ভারত পরিক্রমায় বেরিয়েছিলেন। সেখানে “থিয়সফিক্যাল কলেজ” এর অধ্যক্ষ ছিলেন জেমস এইচ, কাজিনস।
১.৫ ‘এ ছবি আমি পরেও দেখেছি।‘ – কোন্ দৃশ্যবর্ণনা প্রসঙ্গে একথা এসেছে?
উত্তর-লেখক রামকুমার চট্টপাধ্যায় এক স্বদেশী সভায় প্রথমবার দেখেছিলেন মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল ইসলাম গান গাইছেন । এখানে এই দৃশ্যপটের কথাই বলা হয়েছে, কবি নজরুল এর এই একই ভঙ্গিতে গান গাওয়ার লেখক পরেও দেখেছেন।
১.৬ ‘তাদের রাজত্ব হের অক্ষুণ্ণ কেমন‘ – কাদের রাজস্ব কেন অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর- মহিলা কবি কামিনী রায় এর স্মৃতিচিহ্ন নামাঙ্কিত কবিতায় কবি ব্যক্ত করেছেন যে, যারা মহান কার্য দ্বারা মানব সমাজের কল্যান করেছেন, সমাজ ও সংস্কৃতিকে করেছেন সমৃদ্ধ। যুগের সীমানা পেরিয়েও তারা মানুষের মনে অমর হয়ে আছেন । তাই কালস্রোতেও তাদের সাম্রাজ্য বজায় রয়েছে।
১.৭ ‘নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া।‘ – কিষাণপাড়াকে ‘অমর‘ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর-আলোচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত “চিরদিনের’ কবিতা থেকে। কৃষকেরা নিরন্তর কঠোর কাজ করে চলে।দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণ মানুষেরা কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিরবে তারা নিজ কাজ করে চলে। দুর্ভিক্ষের হতাশা এখানে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। তাই কিষাণপাড়াকে কবি অমর বলেছেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ ‘জীবনের ৪৪০তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপনা করেছে।‘ – মানুষের সেই কীর্তির কথা ‘কার দৌড় কদ্দুর‘ রচনায় কীভাবে বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর- শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কার দৌড় কদ্দূর’ রচনায় লেখক বলেছেন- মানুষ এখন নিজের পায়ে চলেই ক্ষান্ত নয়। জল, স্থল ও আকাশকেও তার বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। তাই জাহাজ, প্লেন, রেল চালিয়ে সে সর্বক্ষেত্রকেই আয়ত্ত্বে নিয়ে এসেছে। কোন দুর্গম স্থান তার গতিকে থামাতে পারে না।তাই জীবনের ৪৪০ তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপন করেছে।
২.২ ‘তুমি একটা স্পাই।‘ – কোন্ পরিস্তিতিতে বক্তার একথা মনে হয়েছে?
উত্তর- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত মেঘ-চোর গল্পে -স্পাই’ শব্দের অর্থ হল চর’ অর্থাৎ যে গুপ্ত সংবাদ আদানপ্রদান করে। এককথায় গুপ্তচর।
বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি অসীমাকে একথা বলেছেন । পুরন্দর চৌধুরিকে অসীমা পরিচয় হিসেবে বলেছিল যে সে তার হারিয়ে যাওয়া ভাইজি। কিন্তু পুরন্দরের লেক শ্রেভারের সব জল বাষ্প করে তা দিয়ে মেঘ তৈরি করে সাইবেরিয়াতে পাঠানোর মতো বিপদজনক পরিকল্পনা শুনে অসীমা নিজের পরিচয় দেয়।জানায় সে কারপভের মেয়ে এবং সে প্রকৃতিকে আসন্ন ধ্বংসের থেকে বাঁচাতে রিভলবার বার করে পুরন্দর কে থামায়। এই সব কাণ্ড দেখে ও অসীমার আসল পরিচয় পেয়ে বক্তা পুরন্দর অসীমাকে স্পাই বা গুপ্তচর বলেছিলেন।
২.৩ সরলা দেবী তাঁর ‘জীবনের ঝরাপাতা‘ গ্রন্থে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে কোন্ তথ্য পরিবেশন করেছেন?
উত্তর- আমার সোনার বাংলা’ গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে। এই গানটির সুরের বিষয়ে সরলাদেবী 'জীবনের ঝরা পাতা’ গ্রন্থে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কর্তা দাদামহাশয় চুঁচুড়ায় থাকার সময় বোটের মাঝিদের কাছ থেকে অনেকগুলি বাউল গান সংগ্রহ করেন সরলা দেবী। রবীন্দ্রনাথ সেই গানগুলিকে মন দিয়ে শুনতেন এবং সেই সুরে নিজের গান রচনা করতেন। আমার সোনার বাংলা তেমনই একটা গান যা সরলা দেবীর সুরে বসানো।
২.৪ ‘এই ছিল তখনকার কোনো স্বদেশিং মিটিং–এর রীতি।‘ – রীতিটি কী?
উত্তর- রামকুমার চট্টোপাধ্যায় 'কাজী নজরুলের গান’ শীর্ষক গদ্যাংশে যে সময়ের কথা বলেছেন, সেই সময়ে যে কোন স্বদেশি মিটিং -এর রীতিই ছিল যে, নেতাজির বক্তৃতার আগে নজরুল ইসলামের সংগীত পরিবেশন হতো । কবি মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে গান করতেন এবং শ্রোতারা তন্ময় হয়ে তা শুনতেন। তারপরেই নেতাজি তার দৃঢ় কণ্ঠের ভাষনের মাধ্যমে দেশবাসীকে সংগ্রামের জন্য উৎসাহিত করতেন।
২.৫ ‘সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে।‘ – উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর-আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত 'চিরদিনের কবিতা' থেকে ৷
১৩৫০ সালে দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের কি অসহায় ও হাহাকার অবস্থা হয়েছিল সেই গল্পের কথা বলা হয়েছে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পর নতুন করে বাঁচার প্রচেষ্টা শুরু হয়। চারিদিকে দেখা যায় প্রাণের স্পন্দন। পরিশ্রমি কৃষক, তাঁতি, জেলে দিনমজুর দুর্ভিক্ষের কারালাঘাতকে অগ্রাহ্য করে নিত্য নৈমত্তিক কাজে মেতে ওঠে। তারা পাখির ডাকে ঘুম থেকে উঠে। সারা দুপুর কাজ করে। পরিশ্রমের ফল ও দেখা দেয়।কৃষক-বধূ জল আনতে গিয়ে অবাক ভাবে থমকে পড়ে পথে৷ তার চোখে পড়ে মাঠ ভরে গেছে সবুজ ধানে, ভবিষ্যতের সুদিনের স্বপ্ন দেখতে থাকে সে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ ‘ঋ, র, ষ এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে ন>ণ হয়।‘ – প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর- ঋণ , বর্ণ , স্মরণ, বরণ, তৃণ, শীর্ণ , ঘৃণা প্রভৃতি।
৩.২ ‘পিতৃ ও মাতৃ শব্দের যোগ হলে স্বসৃ শব্দের প্রথম স্ হয় ষ।‘ – উদাহরণ দাও।
উত্তর- মাতৃম্বাসা বা মাতুঃষাসা। এর বাংলা অর্থ হল-
মায়ের ভগিনি , মাসি।
পিতৃম্বাসা( পিতৃ + স্ব)- এর বাংলা অর্থ হল – বাবার ভাই- জেঠু, কাকু।
৩.৩ ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়োগে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর-বাগানে টকটকে লাল গোলাপ ফুটেছে। এখানে টকটকে হল ভাবপ্রকাশ ধন্যাত্মক শব্দ।
১.১ ‘বাইরের চলাটা আসল নয়।‘ – প্রকৃত চলা কোন্টি?
উত্তর-শিবতোষ মুখোপাধ্যায় এর ‘কার দৌড় কতদূর’ রচনায় বাইরের সব চলার মাঝে যা সত্যিকারের চলা তা হল মানুষের মনের দ্রুত ছুটে চলা। মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিবেগের সমান । একমুহূর্তেই বিশ্বময় চরাচর করতে পারে। সেই মনের অবাধ চলাকেই লেখক আসল চলা বলেছেন।
১.২ ‘জবাবটা জেনে নেব মেজদাকে খুঁচিয়ে।‘ – কোন্ প্রশ্নের জবাব মেজদার কাছে মিলবে?
উত্তর-নোট বই’ কবিতায় বক্তা তার মেজদার কাছ থেকে জেনে নেবেন ঝোলাগুড় সাবানে না পটকায় দেয়।
১.৩ ‘আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন।‘ – কোন্ কথার অবতারণালে বক্তার ‘ঠাট্টা‘ মনে হয়েছে?
উত্তর- বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী অসীমাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি লেক শ্রেভারের জল শুকিয়ে ফেলে মেঘ তৈরি করবেন, সেই মেঘ থেকে যদি বৃষ্টি হয় তবে হয়তো সাইবেরিয়াই এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমতে পারে । তার এই অবাস্তব কথা শুনে অসীমা মনে করেছিলেন তিনি বুঝি ঠাট্টা করছেন।
১.৪ জেমস এইচ, কাজিন্স কে ছিলেন?
উত্তর- ১৯১৯ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দক্ষিণ ভারত পরিক্রমায় বেরিয়েছিলেন। সেখানে “থিয়সফিক্যাল কলেজ” এর অধ্যক্ষ ছিলেন জেমস এইচ, কাজিনস।
১.৫ ‘এ ছবি আমি পরেও দেখেছি।‘ – কোন্ দৃশ্যবর্ণনা প্রসঙ্গে একথা এসেছে?
উত্তর-লেখক রামকুমার চট্টপাধ্যায় এক স্বদেশী সভায় প্রথমবার দেখেছিলেন মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল ইসলাম গান গাইছেন । এখানে এই দৃশ্যপটের কথাই বলা হয়েছে, কবি নজরুল এর এই একই ভঙ্গিতে গান গাওয়ার লেখক পরেও দেখেছেন।
১.৬ ‘তাদের রাজত্ব হের অক্ষুণ্ণ কেমন‘ – কাদের রাজস্ব কেন অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর- মহিলা কবি কামিনী রায় এর স্মৃতিচিহ্ন নামাঙ্কিত কবিতায় কবি ব্যক্ত করেছেন যে, যারা মহান কার্য দ্বারা মানব সমাজের কল্যান করেছেন, সমাজ ও সংস্কৃতিকে করেছেন সমৃদ্ধ। যুগের সীমানা পেরিয়েও তারা মানুষের মনে অমর হয়ে আছেন । তাই কালস্রোতেও তাদের সাম্রাজ্য বজায় রয়েছে।
১.৭ ‘নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া।‘ – কিষাণপাড়াকে ‘অমর‘ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর-আলোচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত “চিরদিনের’ কবিতা থেকে। কৃষকেরা নিরন্তর কঠোর কাজ করে চলে।দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণ মানুষেরা কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিরবে তারা নিজ কাজ করে চলে। দুর্ভিক্ষের হতাশা এখানে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। তাই কিষাণপাড়াকে কবি অমর বলেছেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ ‘জীবনের ৪৪০তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপনা করেছে।‘ – মানুষের সেই কীর্তির কথা ‘কার দৌড় কদ্দুর‘ রচনায় কীভাবে বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর- শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘কার দৌড় কদ্দূর’ রচনায় লেখক বলেছেন- মানুষ এখন নিজের পায়ে চলেই ক্ষান্ত নয়। জল, স্থল ও আকাশকেও তার বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। তাই জাহাজ, প্লেন, রেল চালিয়ে সে সর্বক্ষেত্রকেই আয়ত্ত্বে নিয়ে এসেছে। কোন দুর্গম স্থান তার গতিকে থামাতে পারে না।তাই জীবনের ৪৪০ তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপন করেছে।
২.২ ‘তুমি একটা স্পাই।‘ – কোন্ পরিস্তিতিতে বক্তার একথা মনে হয়েছে?
উত্তর- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত মেঘ-চোর গল্পে -স্পাই’ শব্দের অর্থ হল চর’ অর্থাৎ যে গুপ্ত সংবাদ আদানপ্রদান করে। এককথায় গুপ্তচর।
বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি অসীমাকে একথা বলেছেন । পুরন্দর চৌধুরিকে অসীমা পরিচয় হিসেবে বলেছিল যে সে তার হারিয়ে যাওয়া ভাইজি। কিন্তু পুরন্দরের লেক শ্রেভারের সব জল বাষ্প করে তা দিয়ে মেঘ তৈরি করে সাইবেরিয়াতে পাঠানোর মতো বিপদজনক পরিকল্পনা শুনে অসীমা নিজের পরিচয় দেয়।জানায় সে কারপভের মেয়ে এবং সে প্রকৃতিকে আসন্ন ধ্বংসের থেকে বাঁচাতে রিভলবার বার করে পুরন্দর কে থামায়। এই সব কাণ্ড দেখে ও অসীমার আসল পরিচয় পেয়ে বক্তা পুরন্দর অসীমাকে স্পাই বা গুপ্তচর বলেছিলেন।
২.৩ সরলা দেবী তাঁর ‘জীবনের ঝরাপাতা‘ গ্রন্থে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে কোন্ তথ্য পরিবেশন করেছেন?
উত্তর- আমার সোনার বাংলা’ গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে। এই গানটির সুরের বিষয়ে সরলাদেবী 'জীবনের ঝরা পাতা’ গ্রন্থে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কর্তা দাদামহাশয় চুঁচুড়ায় থাকার সময় বোটের মাঝিদের কাছ থেকে অনেকগুলি বাউল গান সংগ্রহ করেন সরলা দেবী। রবীন্দ্রনাথ সেই গানগুলিকে মন দিয়ে শুনতেন এবং সেই সুরে নিজের গান রচনা করতেন। আমার সোনার বাংলা তেমনই একটা গান যা সরলা দেবীর সুরে বসানো।
২.৪ ‘এই ছিল তখনকার কোনো স্বদেশিং মিটিং–এর রীতি।‘ – রীতিটি কী?
উত্তর- রামকুমার চট্টোপাধ্যায় 'কাজী নজরুলের গান’ শীর্ষক গদ্যাংশে যে সময়ের কথা বলেছেন, সেই সময়ে যে কোন স্বদেশি মিটিং -এর রীতিই ছিল যে, নেতাজির বক্তৃতার আগে নজরুল ইসলামের সংগীত পরিবেশন হতো । কবি মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে গান করতেন এবং শ্রোতারা তন্ময় হয়ে তা শুনতেন। তারপরেই নেতাজি তার দৃঢ় কণ্ঠের ভাষনের মাধ্যমে দেশবাসীকে সংগ্রামের জন্য উৎসাহিত করতেন।
২.৫ ‘সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে।‘ – উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর-আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত 'চিরদিনের কবিতা' থেকে ৷
১৩৫০ সালে দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের কি অসহায় ও হাহাকার অবস্থা হয়েছিল সেই গল্পের কথা বলা হয়েছে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পর নতুন করে বাঁচার প্রচেষ্টা শুরু হয়। চারিদিকে দেখা যায় প্রাণের স্পন্দন। পরিশ্রমি কৃষক, তাঁতি, জেলে দিনমজুর দুর্ভিক্ষের কারালাঘাতকে অগ্রাহ্য করে নিত্য নৈমত্তিক কাজে মেতে ওঠে। তারা পাখির ডাকে ঘুম থেকে উঠে। সারা দুপুর কাজ করে। পরিশ্রমের ফল ও দেখা দেয়।কৃষক-বধূ জল আনতে গিয়ে অবাক ভাবে থমকে পড়ে পথে৷ তার চোখে পড়ে মাঠ ভরে গেছে সবুজ ধানে, ভবিষ্যতের সুদিনের স্বপ্ন দেখতে থাকে সে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ ‘ঋ, র, ষ এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে ন>ণ হয়।‘ – প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর- ঋণ , বর্ণ , স্মরণ, বরণ, তৃণ, শীর্ণ , ঘৃণা প্রভৃতি।
৩.২ ‘পিতৃ ও মাতৃ শব্দের যোগ হলে স্বসৃ শব্দের প্রথম স্ হয় ষ।‘ – উদাহরণ দাও।
উত্তর- মাতৃম্বাসা বা মাতুঃষাসা। এর বাংলা অর্থ হল-
মায়ের ভগিনি , মাসি।
পিতৃম্বাসা( পিতৃ + স্ব)- এর বাংলা অর্থ হল – বাবার ভাই- জেঠু, কাকু।
৩.৩ ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়োগে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর-বাগানে টকটকে লাল গোলাপ ফুটেছে। এখানে টকটকে হল ভাবপ্রকাশ ধন্যাত্মক শব্দ।
link for other Subjects