![]() |
Model Activity Task Part 5 Bengla Class 9 |
সুস্নেহের ছাত্রছাত্রীরা, আশা করি তোমরা সকলে ভালো ও সুস্থ আছো। তোমরা অবশ্য জানো যে, তোমাদের পড়াশোনাকে ধারাবাহিক রাখতে West Bengal Education Board আবার পূর্বের ন্যায় প্রত্যেক বিষয়ের Model Activity Task Part 5 সকল বিষয়ের প্রশ্নপত্র তোমাদের দিয়েছেন। এই প্রশ্নপত্র উত্তর লিখে তোমাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পূর্বের মতো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা করতে হবে।
Model Activity Task Part 5 Bengla Class 9 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৫ বাংলা নবম শ্রেণি-র সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে তোমাদের সম্মুক্ষে হাজির হলাম। তোমরা আর সময় অপচয় না করে, এবার তোমরা তোমাদের Model Activity Task Part 5 Bengla Class 9 সমস্ত উত্তর গুলো ঝটপট লিখে নাও।
তোমরা আমাদের Website Digital Porasona পাবে সমস্ত All English Text Book এর Word by Word Meaning বা অর্থ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর, সমস্ত পাঠ্যপুস্তকের অধ্যায় ভিত্তিক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর সহজ-সরল ভাষায়।
Model Activity Task Part 5 Bengla Class 9 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৫ বাংলা নবম শ্রেণি
Model Activity Task Part 5 Bengla Class 9
Class 9 Model Activity Task Part 5 Bengla
১. কম-বেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
১.১ 'হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন' - কোন্ চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন ?
উত্তরঃ সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত 'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধ থেকে আলোচ্য অংশটি গৃহীত। ভাষার নিজস্বতা হল আত্মনির্ভরশীলতা। কিন্তু লেখক দেখেছে ভাষার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথাই প্রবন্ধিক বলেছেন।
১.২ 'এরই মাঝে বাংলার প্রাণ' - কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন?
উত্তরঃ 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ ধানের গন্ধ, কলমি শাকের ঘ্রাণ , হাঁসের পালক, বন, চাঁদা সরপুঁটি মাছ এদের মৃদু ঘ্রাণ, কিশোরের পায়ে মাড়া মুথা ঘাস, লাল বট ফলের গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা-এই সব কিছুর মাঝে কবি বাংলা প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন।
১.৩ 'এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে' - পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী?
উত্তরঃ স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস যে, ভারতের কাজে মিস মার্গারেট নোবেল এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ বা ভূমিকা রয়েছে।
১.৪ 'যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া' - সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?
উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী'আবহমান' কবিতায় জানিয়েছেন, উঠানের লাউ মাচাটার পাশে দাঁড়ালে দেখা যাবে-ছোট একটা ফুল সন্ধ্যার বাতাসে দুলছে।
১.৫ 'তোমার বাড়ি কোথায় ?' - রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল?
উত্তরঃ রাধারানী বলেছিল আমার বাড়ি শ্রীরামপুর।
২. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
২.১ 'সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।' - প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন ?
উত্তরঃ সৈয়দ মুস্তাফা আলী রচিত 'নব নব সৃষ্টি' নামক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত।
ভাষাবিদরা প্রবন্ধে বিভিন্ন ভাষা নিয়ে চর্চার মাধ্যমে লক্ষ্য করেছিলেন-নতুন কোনো চিন্তা, অনুভূতি বোঝানোর জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করে না। সংস্কৃত ভাষায় একমাত্র নিজস্ব ধাতু, শব্দ একটু অদলবদল করে সংস্কৃত ভাষা নতুন করে শব্দ তৈরি করতে পারে। এই বিশেষ ক্ষমতার জন্য প্রাবন্ধিকের মতে, সংস্কৃত স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল ভাষা।
২.২ 'পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নিকো' - কোন্ কন্যার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ কেশবতী কন্যা অর্থাৎ বাংলার সন্ধ্যাকালীন সৌন্দর্য্যকে দেখার কথা বলেছেন ।
২.৩ 'মরদ কি বাত কা দাঁত' - স্বামী বিবেকানন্দ কেন এই প্রবাদটি ব্যবহার করেছেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি স্বামী বিবেকানন্দ রচিত 'চিঠি' প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।
"মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত" কথাটির অর্থ হলো-খাঁটি মানুষের কথা আর হাতির দাঁত একবার বের হলে আর তা ভিতরে যায় না। অর্থাৎ, যে ব্যাক্তি যোগ্য তার কথার নড়চড় হয় না।
প্রবাদ বাক্যটি ব্যবহার এর কারণ মিস নোবেল ভারতে এসে মানুষের সহযোগিতার অভাব যেন অনুভব করতে না পারেন, সেজন্য বিবেকানন্দ তাকে ভরসা প্রদান করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সংস্কারমূলক কাজ, নিয়োজিত হওয়ার আদর্শ, পরিনাম, ভালো মন্দ যাই হোক তিনি যে-কোন পরিস্থিতিতেই মিস নোবেল এর পাশে থাকবেন । স্বামীজি খাঁটি মানুষ, তাই তিনি মিস নোবেল এর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তাঁর কথা "মরদ কা বাত হাতি কা দাঁত" তার কথার নড়চড় হবে না।
২.৪ 'ফুরয় না সেই একগুঁইয়েটার দুরন্ত পিপাসা।' - কোন্ পিপাসাকে, কেন দুরন্ত বলা হয়েছে?
উত্তরঃ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'আবহমান' কবিতা থেকে উক্তিটি নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় পিপাসা বলতে সেই সব প্রবাসী বাঙালি কে বোঝানো হয়েছে, যারা ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় এই বাংলার প্রাকৃতিক ও গ্রাম্য জীবনের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগের আসায় বারে বারে ফিরে আসে। জন্মভূমি ছেড়ে যাকে চলে যেতে হয়েছে বিদেশে সে মাতৃভূমির প্রতি নির্যাতন ভোগ করে অনবরত। তাই পিপাসাকে দুরন্ত বলা হয়েছে ।
৩.১ 'বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।' - 'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন?
এই কারণেই, (১ )কলকাতার ভাষাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে হুতোম প্যাঁচার নকশা।
(২ ) কখনো ধর্মকে আশ্রয় করে বাঙালি গড়ে তুলেছ 'পদাবলী কীর্তন'।
(৩) আবার কখনও বাঙালি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে রচনা করেছে আরবি-ফারসি মিশ্রিত ভাষার ধরন।
(৪) কখনো আবার লোক সাহিত্য, গানে, বাঙালি গ্রহণ করেছে লৌকিক ভাষাকে।
এই ভাবেই, প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই বাঙালি কখনো নতুনত্বকে অগ্রাহ্য করেনি। প্রাচীন ও গতানুগতিক প্রথার সাথে বাঙালি বিদ্রোহ করেছে বারংবার। এই বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই বাঙালি সমাজে, সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা করেছে নতুনত্ব। প্রাবন্ধিক এর মতে এভাবেই বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ চিরকাল বিদ্যমান।
৩.২ 'আসিয়াছে শান্ত অনুগত/বাংলার নীল সন্ধ্যা' - 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন ?
উত্তরঃ প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ আকাশে সাতটি তারা কবিতায় হৃদয় থেকে বাংলাদেশের এক সন্ধ্যাকে কেন্দ্রবিন্দু করে কবিতাটি রচনা করেছেন। কবি জীবনানন্দ লক্ষ্য করেছেন বাংলার পল্লী প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত পৃথিবী। কবি আর কোথাও দেখেনি সন্ধ্যায় মোহময় রূপবতী কন্যা অজস্র চুলের মত আবেশে আচ্ছন্ন করেছেন হিজল-কাঁঠাল জামগাছ কে। কবি অনুভব করেছেন সন্ধ্যার স্নিগ্ধ সৌরভ। কখনো নরম ধানে, কলমির ঘ্রাণে, পুকুরের চাঁদা সরপুঁটির মৃদুল ঘ্রাণে বাংলার সন্ধ্যা আনন্দিত করে কবিকে। এসবের মাঝে কিশোরী স্নেহের পরশ, অথবা কিশোরের পায়ে দলা মুথা ঘাস, লাল বট ফলের গন্ধের ক্লান্ত নিরবতায়, কবি স্পর্শ পান বাংলার সন্ধ্যাকালীন রূপের। প্রাকৃতির এই সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয়েছে 'আকাশে সাতটি তারা কবিতায়, সেখানে অনাড়ম্বর আয়োজনে রয়েছে শুধুই শান্তি যা অতুলনীয় ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ করেছে।
৩.৩ 'চিঠি' অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ স্বামী বিবেকানন্দ চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশী, বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন তাঁর শিষ্যা মিস নোবেল । তাকে তিনি চিঠিটি লিখেছেন। মিস মার্গরেট নোবেল স্বামী বিবেকানন্দের কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শের ভারতের নারী সমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ব্রতী হন । কলকাতায় একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম দেওয়া হয়েছিল নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়। মিস হেনরিয়েট মুলার বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলার এর বাড়িতে স্বামীজী কিছুদিন আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। মিস মুলার আজন্ম বন্ধু ভাবাপন্ন। স্বামীজি এটাও বলেছেন যে, তবে তিনি সাময়িকভাবে রুক্ষ ও মেজাজি আবার সহৃদয় অমায়িক। মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার স্নেহময়ী। তার স্বামী ছিলেন ক্যাপ্টেন জে.এইচ.সেভিয়ার। তারাই একমাত্র ইংরেজ দম্পতি যারা ভারতীয়দের ঘৃণা করেন না। স্বামীজীর দুজন বন্ধু হলেন মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুল। তারা খুবই উপকারী ও কর্তব্যশীল। স্বামীজীকে নানান কাজে সাহায্য করেছেন। মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনের জন্য প্রচুর অর্থ সাহায্য করেছেন। স্বামীজি একজন ইংরেজ ভক্ত মিঃ স্টার্ডির কথা বলেছেন, তিনি স্বামীজীকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে সাহায্য করেছিলেন।
৩.৪ 'নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না'-পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রচিত 'আবহমান' কবিতার অংশবিশেষ। লোককথা বা গল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নটে গাছ মুড়িয়ে যায়। তবে কবিতায় নটে গাছটি মুড়িয়ে যায় না, কিন্তু বুড়িয়ে যায়। অর্থাৎ একটা চিরন্তন প্রবাহমানতা ও ধারাবাহিকতার কথা এখানে ফুটে উঠেছে। কালের নিয়মে মানুষ শৈশব থেকে বার্ধক্যে উপনীত হলেও তার প্রকৃতিললিত আজন্ম-চেনা উঠান-লাউ মাচা-কুন্দ ফুল শান্ত নদীর হওয়ায় পরিপূর্ণ মাতৃভূমির স্মৃতি স্মৃতিপট থেকে মুছে যায়না। তাই ব্যক্তির বার্ধক্য যে শৈশব স্মৃতিকে নষ্ট করতে পারে না এই কথা বোঝাতে আলোচ্য উক্তিটি ব্যবহার করেছেন।
৩.৫ 'তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে' - কাদের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যাংশ অনুসরণে তাদের দারিদ্র্য এবং নির্লোভতার প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারানী উপন্যাস থেকে গৃহীত এখানে রাধারানীর কথা বলা হয়েছে। পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে রাধারানী ও তার মা সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় পরাজিত ও সর্বস্বান্ত হয় এবং ভিটেমাটি ছেড়ে এক নিতান্ত কুটিরে দিনযাপন করতে থাকে। রথের পূর্বে রাধারানীর মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পথ্যের সংস্থানে রাধারানী বনফুলের মালা গেঁথে মহেশের রথে বিক্রি করতে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে হাট ভেঙে যায়। মালা বিক্রি করতে না পেরে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে রাধারানী অশ্রুসজল চোখে বাড়ির দিকে আসছিল তখন তার সঙ্গে সাক্ষাত হয় এক আগন্তকের। অচেনা আগন্তুক রাধারানীর সঙ্গে কথা বলে তার অসহায় অবস্থার কথা জানতে পারেন এবং মালা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, সে ব্যক্তি দয়া করে মালার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করেন। রাধারানীর জন্য শাড়ি কিনে পাঠিয়ে দেয় এমনকি একটা নোট ফেলে যান তাদের বাড়ির দরজায় কিন্তু ফেলে যাওয়া নোট তারা খরচা করে নাই। অর্থের প্রয়োজন তাদের ছিল কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। তারা বর্তমানে দরিদ্র, অসহায় কিন্তু লোভী নয়। অতিরিক্ত অর্থের প্রতি তাদের কোন লোভ ছিল না বলেই সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তারা তার সন্ধান করছিল।