![]() |
ক্রিয়াপদ |
সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছো। আজ আমরা শিখবো এবং জানবো ক্রিয়াপদ( kriya pod) সম্পর্কে। ক্রিয়া পদকে সহজতরভাবে শিখতে হলে আমাদের অবশ্যই ক্রিয়ার বেসিক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই আমরা প্রত্যেক ক্রিয়ার উদাহরণসহ শ্রেণীবিভাগ করে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছি ক্রিয়ার ক্লাস। চলো তবে শুরু করি ক্রিয়ার বেসিক থেকে সম্পূর্ণ আলোচনা।
{tocify} $title={Table of contents}
ক্রিয়া কী?
সংস্কৃতে কাজকেই বলে ক্রিয়া। ক্রিয়া পদের মূল অংশকে বলা হয় ধাতু। বাক্যে কর্তার গুরুত্ব বা ক্রিয়ার কাল অনুযায়ী ক্রিয়াপদের রূপের পরিবর্তন ঘটলেও ক্রিয়ার মূল যে ধাতু তার অর্থের পরিবর্তন ঘটে না।
উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টা দেখা যাক-
চাঁদ উঠেছে।
মেয়েটি গান করল।
বাচ্চাটি পড়ছে।
উঠেছে, করল, পড়েছে এই তিনটি পদই কিছু কাজ করা বোঝাচ্ছে। তাই এদের ক্রিয়াপদ বলা হয়।
$ads={1}
অতএব বলা যেতে পারে যে পদের দ্বারা কোন
কিছু করা, হওয়া বা থাকা বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ
বলে, অর্থাৎ ক্রিয়ামূলকে
ধাতু বলে ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যোগ করে ক্রিয়াপদ করা হয়।
যেমন-
ক্রিয়াপদ কী?
যে পদের দ্বারা কোন কিছু হওয়া বা করা বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
যেমন-
আমি ভাত খাচ্ছি।
ঘোড়া দ্রুত দৌড়ায়।
মেয়েটা নাচ করছে।
এখানে- খাচ্ছি, দৌড়ায়, করছে------ ক্রিয়াপদ।
এরূপ- যাওয়া, দেখা, শোনা, লেখা, পড়া, করা, চলা, বলা ইত্যাদি।
ক্রিয়ার প্রকারভেদ-
১) সমাপিকা ক্রিয়া
২) অসমাপিকা ক্রিয়া
সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়া বাক্যে ব্যবহার করলে বাক্যটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় আর কিছু জিজ্ঞাসা করার থাকে না
তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।
$ads={2}
যেমন-
রামচন্দ্র বনে গিয়েছিলেন।
রমা গান করছে।
রমেশ ছবি আঁকে।
মাস্টারমশাই ক্লাসে পড়াচ্ছেন।
এখানে – গিয়েছিলেন, করছে, আঁকে, পড়াচ্ছেন-------- সমাপিকা ক্রিয়া।
এরূপ- লিখছে, পড়ছি, যাব ইত্যাদি
অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়াপদের দ্বারা বাক্যের গঠন ও অর্থ সম্পূর্ণ
হয় না, তাকে অসমাপিকা
ক্রিয়া বলে।
যেমন-
ডাক্তারবাবু রোগী দেখতে
ব্যস্ত।
ক্রিকেট খেলতে সে মাঠে
গেল।
শুধু বই পড়িয়া সময়
কাটাইলে চলবে না।
এই গল্পের বইটা পড়লে ভালো লাগবে।
এখানে – দেখতে, খেলতে, পরিয়া কাটাইলে, পড়লে----- অসমাপিকা ক্রিয়া।
এরূপ- যাইয়া, খাইয়া, জন্মিলে, কোরিয়া, ভেবে, বলতে ইত্যাদি।
সমাপিকা ক্রিয়ার প্রকারভেদ-
সমাপিকা ক্রিয়া সাধারণত তিন
রকম যথা-
১) সকর্মক ক্রিয়া
২) অকর্মক ক্রিয়া
৩) দ্বিকর্মক
ক্রিয়া
সকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে সমাপিকা ক্রিয়ার কর্ম থাকে তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।
$ads={1}
যেমন
শিশুটি ভাত খায়।
শিশুটি বই পড়ে।
প্রীতম এখন চা খাচ্ছে।
এখানে – খায়, পড়ে, খাচ্ছে-------- সকর্মক ক্রিয়া।
এরূপ- কিনছে, শুনিতেছে, দেখতেছেন, বাজাচ্ছে, ডাকছে ইত্যাদি।
অকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়ার কোনো কর্ম থাকেনা তাকে অকর্মক ক্রিয়া
বলে।
যেমন-
শিশুটি ঘুমোচ্ছে।
জ্যোতি বলছে।
সে নিয়মিত খেলে।
এখানে- ঘুমচ্ছে, বলছে, খেলে---------- অকর্মক ক্রিয়া।
এরূপ- দৌড়াচ্ছে, খাইতেছে, যাব, উঠে, বসে বসে ইত্যাদি।
দ্বিকর্মক ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে সকল ক্রিয়ার মুখ্য ও গৌণ দুটি কর্ম থাকে তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া
বলে।
যেমন-
মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
বাবা ছেলেকে বাজার করার
জন্য টাকা দিলেন।
রামবাবু প্রতিমাকে ইংরেজি
পড়াইছেন যান।
এখানে -শিশুকে –দেখাচ্ছেন, ছেলেকে -টাকা দিলেন, প্রতিমাকে
পড়াচ্ছেন ---------দ্বিকর্মক
ক্রিয়া।
সমাপিকা ক্রিয়ার বিভিন্ন উপাদান -
সমাপিকা ক্রিয়া দুটি উপাদান আছে যথা-
১) ক্রিয়ার কাল
২) ক্রিয়ার ভাব
ক্রিয়ার কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
কোন কাজ ঘটার বিভিন্ন সময়
বোঝানোর জন্য,ক্রিয়া যে বিভিন্ন
রূপে ব্যবহৃত হয়, তাকে ক্রিয়ার
কাল বলে।
যেমন-
রমেশ পড়া করছে।
রমেশ পড়া করেছিল।
রমেশ পড়া করবে।
এখানে- করছে,করেছিল,করবে---ক্রিয়াপদ।
ক্রিয়া
পদগুলির দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে, করছে মানে কাজটা
এখন চলছে, করছিল অর্থাৎ কাজটা হয়ে গেছে, করবে হল কাজটা পরে হবে। তাহলে কনো ক্রিয়া ঘটবার সময়কে
কাল বলে।
$ads={2}
ক্রিয়ার ভাব কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে বিশেষ ভঙ্গিতে অসমাপিকা ক্রিয়ার কাজটি কীভাবে ঘটছে তা বোঝা যায়
সেই বিশেষ ভঙ্গি কে ক্রিয়ার ভাব বলে।
যেমন-
আমি নাচ করছি।
তারা বাড়ি যাচ্ছে।
মন দিয়ে পড়াশোনা করো
আগামীকাল তুমি অবশ্যই আসবে
ভগবান তোমার মঙ্গল করুক।
যদি ক্রিয়া পদের সম্পর্কে তোমাদের কোনো অসুবিধা থাকে, তাহলে তোমরা নিচে Comment Box এ গিয়ে Comment করতে পারো। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার।
আমাদের Article ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও Subscribe করতে পারো। যাতে তোমাদের অনুপ্রেরনাকে পাথেয় করে আরো নিত্যনতুন বিষয়ের উপর সহজতর, বোধগম্য ও চিত্তাকর্ষক লেখনী নিয়ে হাজির হতে পারি। ততক্ষন তোমরা সুস্থ থাকো, ভালো থেকো এবং এভাবেই পড়তে থাকো।
ধন্যবাদ