![]() |
ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা |
Class 11 Sanskrit Brahmanchauro Pisach Kotha
একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা
ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা গল্পের বঙ্গানুবাদ
ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা প্রশ্নোত্তর
ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা
||ब्राह्मणचौरपिशाचकथा ॥
(ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা)
शत्रवोऽपि हितायैव विवदन्तः परस्परम्।
चौराण जीवितं दत्तं राक्षसेन तु गोयुगम् ॥
শত্ৰুবোঽপি হিতায়ৈব বিবদন্তঃ পরস্পরম্
চৌরাণ জীবিতং দত্তং রাক্ষসেন তু গোযুগম্।।
বঙ্গানুবাদ
পরস্পর বিবাদরত শত্রুরাও সাধারণের উপকারই করে থাকে। যেমন চোরের দ্বারা ব্রাহ্মণের জীবন এবং রাক্ষসের দ্বারা গোরু দুটির জীবন প্রদত্ত হয়েছিল (রক্ষা করা হয়েছিল)।
अस्ति कस्मिंश्चिदधिष्ठाने दरिद्रो द्रोणर्नामा ब्राह्मणः प्रतिग्रहधनः,
$ads={1}
অন্তি কস্মিংশ্চিদধিষ্ঠানে দরিদ্রো দ্রোণনামা ব্রাহ্মণঃ প্রতিগ্রহধনঃ,
কোনো এক স্থানে দ্রোণ নামে এক দরিদ্র ব্রাক্ষ্মণ ছিল,
सततं विशिष्टवस्त्रानुलेपनगन्धमाल्यालङ्कारताम्बुलादिभोगपरिवर्जितः,
সততং বিশিষ্টবস্ত্রানুলেপনগন্ধমাল্য লাঙ্কারতাম্বুলাদিভোগপরিবর্জিতঃ,
সে সর্বদা বিশেষ বস্ত্র, অনুলেপন, গন্ধদ্রব্য, মালা, অলংকার, পান ইত্যাদি ভোগে বর্জিত ছিল,
प्ररूढ़केशश्मश्रुनखरोमोपचितः,
প্রবৃঢ়কেশশ্মশ্রুনখরোমোপচিতঃ,
তার মাথায় চুল, দাড়ি, নখ, লোম অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল,
शीतोष्णवातवर्षादिभिः परिशोभितर्शरीरः।
শীতোয়বাতবর্ষাদিভিঃ পরিশোভিতশরীরঃ।
ঠান্ডা, গরম, ঝড়বৃষ্টিতে তার শরীর শীর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
तस्य च केनापि यजमानेनानुकम्पया शिशुगोयुगं दत्तम्।
তত্স্য চ কেনাপি যজমানেনানুকম্পয়া শিশুগোযুগম্ দত্তম্।
তার কোনো একজন যজমান দয়াবশত তাকে একজোড়া বাছুর দান করেছিল।
ब्राह्मणेन च बालभावादारभ्य याचितघृततैलयवसादिभिः सम्बर्ध्य सुपुष्टं कृतम् ।
ব্রাহ্মণেন চ বালভাবাদারভ্য যাচিতঘৃততৈলযবসাদিভিঃ সম্বৰ্ধ সুপুষ্টং কৃতম্।
সে বাল্য অবস্থা থেকেই লোকের কাছে চেয়েচিন্তে ঘি, তেল, যব ইত্যাদির দ্বারা বাছুর দুটিকে হৃষ্টপুষ্ট করে তুলেছিল।
तच्च दृष्ट्वा सहसैव कश्चिच्चौरश्चिन्तितवान्-
তচ্চ দৃষ্ট্বা সহসেব কশ্চিষ্টৌরশ্চিন্তিতবান্ –
তা দেখে হঠাৎ একদিন এক চোর চিন্তা করল –
"अहमस्य ब्राह्मणस्य गोयुगमिदमपहरिष्यामि"
“অহমস্য ব্রাহ্মণস্য গোযুগমিদমপহরিষ্যামি”
“আমি এই ব্রাহ্মণের গোরু দুটিকে চুরি করব।”
इति निश्चित्य निशायां बन्धनपाशं गृहीत्वा यावत्प्रस्थितस्तावदर्धमार्गे प्रविरलतीक्ष्णदन्तपङ्क्तिः,
ইতি নিশ্চিত্য নিশায়াং বন্ধনপাশং গৃহীত্বা যাবৎপ্রস্থিতস্তাবদর্ধমার্গে প্রবিরলতীক্ষ্ণদন্তপক্তিঃ,
এইরূপ স্থির করে রাত্রিতে বাঁধার জন্য দড়ি নিয়ে যখন অর্ধেক রাস্তা গিয়েছে, এমন সময় ধারালো দাঁতের সারিযুক্ত,
$ads={2}
उन्नतनासावंशः, प्रकटरक्तान्तनयनः उपचितस्नायुसंततिर्नतगात्रः, शुष्ककपोलः, सुहुतहुतवहपिङ्गलश्मश्रुकेशशरीरः कश्चिदृष्टः ।
উন্নতনাসাবংশঃ, প্রকটরক্তাত্তনয়নঃ, উপচিতস্নায়ুসন্ততিনতগাত্রঃ, শুষ্ককপোলঃ, সুহুতহুবহপিঙ্গলশ্মশ্রুকেশশরীরঃ কশ্চিদ্ দৃষ্টঃ।
উঁচু নাক, টকটকে লাল চোখ, শুকনো গাল, শিরাগুলি ফুলে ওঠা, নুয়ে পড়া শরীর, ভালোভাবে আহুতি দেওয়া আগুনের মতো পিঙ্গল বর্ণ ধারণ করেছে দাড়ি, চুল ও শরীর এরকম ভয়ংকর একজনকে দেখল।
दृष्ट्वा च तं तीव्रभयत्रस्तोऽपि चौरोऽब्रवीत् - "को भवान् " ?
দৃষ্ট্বা চ তং তীব্রভয়ত্রস্তোঽপি চৌরোহব্রবীৎ – “কো ভবান্?”
দেখে ভীত হয়ে কাঁপতে কাঁপতে চোর বলল, “আপনি কে?”
इति । स आह- "सत्यवचनोऽहं ब्रह्मराक्षसः ।
ইতি।স আহ – “সত্যবচনোহহং ব্রহ্মরাক্ষসঃ।
এই যে আমি সত্যবচন নামক ব্রষ্মরাক্ষস।
भवानप्यात्मानं निवेदयतु" ।
ভবানপ্যাত্মানং নিবেদয়তু।”
আপনি নিজে কে জানান।”
सोऽब्रवीत्-"अहं क्रूरकर्मा चौरः,
সোহব্রবীৎ – “অহংক্রূরকর্মা চৌরঃ,
সে বলল -“আমি কুরকর্মা নামক চোর,
दरिद्रब्राह्मणस्य गोयुगं हर्तुं प्रस्थितोऽस्मि |
দরিদ্রব্রাত্মণস্য গোযুগং হতুং প্ৰস্থিতোঽস্মি।”
গরিব ব্রাহ্মণের গোরু দুটিকে চুরি করতে চলেছি।”
अथ जातप्रत्ययो राक्षसोऽब्रवीत्---"भद्र!
অথ জাতপ্রত্যয়ো রাক্ষসোহব্রবীৎ “ভদ্র!
তারপর বিশ্বাস করে রাক্ষস বলল "ভদ্র!
षष्ठानकालिकोऽहम्। अतस्तमेव ब्राह्मणमद्य भक्षयिष्यामि ।
ষষ্ঠাহুকালিকোহহম্। অতস্তমেব ব্রাহ্মণমদ্য ভক্ষয়িষ্যামি।
আমি রাত্রি বেলা আহার করি। অতএব আজ ব্রাম্ভনকে আমি ভক্ষন করব।
तत्सुन्दरमिदम्।
তৎসুন্দরমিদম্।
এটাই ভালো (সুন্দর) হবে।
एककार्यावेवायाम्" |
এককার্যাবেবায়াম্।”
এক কাজেই আমরা দুজন এসেছি।
$ads={1}
अथ तौ तत्र गत्वैकान्ते कालमन्वेषयन्तौ स्थितौ ।
অথ তৌ তত্র গত্বৈকান্তে কালমন্বেষয়ন্তৌ স্থিতৌ।
তারপর তারা দুজন সেখানে গিয়ে একপাশে উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় রইল।
प्रसुप्ते च ब्राह्मणे तद्भक्षणार्थं प्रस्थितं राक्षसं दृष्ट्वा चौरोऽब्रवीत् "भद्र!
প্রসুপ্তে চ ব্রাহ্মণে তদ্ভক্ষণার্থং প্রস্থিতং রাক্ষসং দৃষ্ট্বা চৌরোহব্রবীৎ –“ভদ্র!
ব্রাহ্মণ ঘুমালে তাকে ভক্ষণের জন্য রাক্ষস গমন করলে চোর বলল – “ভদ্র!
नैष न्यायः ।
নৈষ ন্যায়ঃ।
না এটি ঠিক নয়।
यतो गोयुगे मयाऽपहृते पशात्त्वमेनं ब्राह्मणं भक्षय " ।
যতো গোযুগে ময়াহপহূতে পশ্চাত্ত্বমেনং ব্রাহ্মণং ভক্ষয়।”
গোরু দুটি আমার দ্বারা চুরি করা হলে তারপর তুমি এই ব্রাহ্মণকে ভক্ষন কোরো।”
सोऽब्रवीत्---"कदाचिदयं ब्राह्मणो गोशब्देन वुध्येत तदानर्थकोऽयं ममारम्भः स्यात्"।
সোহব্রবীৎ “কদাচিদয়ং ব্রাহ্মণো গোশব্দেন বুধ্যেত তদানৰ্থকোহয়ং মমারম্ভঃ স্যাৎ।”
সে বলল – “কোনোভাবে এই ব্রাহ্মণ গোরুর শব্দে জেগে উঠলে আমার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
चौरोऽप्यब्रवीत्---"तवापि यदि भक्षणायोपस्थितस्यान्तरे एकोऽप्यन्तरायः स्यात्, तदाहमपि न शक्नोमि गोयुगमपहर्तुम् ।
চৌরোঽপ্যব্রবীৎ – “তবাপি যদি ভক্ষণায়োপস্থিতস্যান্তরে একোঽপ্যন্তরায়ঃ স্যাৎ, তদাহমপি ন শক্লোমি গোযুগমপহতুম্।
চোর বলল – – “যদি তোমার ভক্ষণের সময় কোনো বাধা আসে তবে আমিও গোরু দুটি চুরি করতে পারবনা।
अतः प्रथमं मयापहृते गोयुगे पश्चात्त्वया ब्राह्मणो भक्षयितव्यः"।
অতঃ প্রথমং ময়াপহূতে গোযুগে পশ্চাত্ত্বয়া ব্রাহ্মণো ভক্ষয়িতব্যঃ।”
অতএব প্রথমে আমার দ্বারা গোরু দুটি চুরি করার পর ব্রাহ্মণকে তোমার ভক্ষণ করা উচিত।”
इत्थं चाहमहमिकया तयोर्विवदतोः समुत्पन्ने द्वैधे प्रतिरववशाद्ब्राह्मणो जजागर ।
ইত্হং চাহমহমিকয়া তয়োবিদতোঃ সমুৎপন্নে দ্বৈধে প্রতিরববশাদ্ ব্রাহ্মণো জজাগর।
এইভাবে ‘আমি আগে, আমি আগে’ করে পরস্পর বিবাদ ও বিরোধের শব্দে ব্রাহ্মণ জেগে উঠল।
अथ तं चौरोऽब्रवीत् -"ब्राह्मण ! त्वामेवायं राक्षसो भक्षयितुमिच्छति " इति ।
অথ তং চৌরোহব্রবীৎ – “ব্রাক্ষ্মণ! ত্বামেবায়ং রাক্ষসো ভক্ষয়িতুমিচ্ছতি” ইতি।
$ads={2}
তারপর তাকে চোর বলল, “হে ব্রাহ্মণ! এই রাক্ষস আপনাকে খেতে চাইছে ।
राक्षसोऽप्याह---"ब्राह्मण ! चौरोऽयं गोयुगं तेऽपहर्तुमिच्छति " !
রাক্ষসোঽপ্যাহ “ব্রাহ্মণ! চৌরোহয়ং গোযুগং তেহপহতুমিচ্ছতি।”
রাক্ষস বলল, “হে ব্রাহ্মণ। এই চোর আপনার গোরু দুটিকে চুরি করতে চাইছে।”
एवं श्रुत्वोत्थाय ब्राह्मणः सावधानो भूत्वेष्टदेवतामन्त्रध्यानेनात्मानं राक्षसादुद्गूर्णलगुडेन च चौराद्गोयुगं ररक्ष ।
এবং শ্রুত্বোখায় ব্রাহ্মণঃ সাবধানো ভূত্বেষ্টদেবতামন্ত্রধ্যানেনাত্মানং রাক্ষসাদুদগূর্ণলগুড়েন চ চৌরাদ্ গোযুগং ররক্ষ।
”এইরূপ শুনে ব্রাক্ষ্মণ সাবধান হয়ে ইষ্টদেবতার মন্ত্র ধ্যানের দ্বারা নিজেকে রাক্ষসের হাত থেকে এবং উত্তোলিত লাঠি দিয়ে চোরের কাছ থেকে গোরু দুটিকে রক্ষা করল।
ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
১)ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা গল্পটির উৎস কি?
উত্তরঃ- ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা গল্পের উৎস হল পঞ্চতন্ত্র এর তৃতীয় তন্ত্র কাকোলূকীয়ম্ ।
২) পঞ্চতন্ত্রের রচয়িতা কে?
উত্তরঃ- পঞ্চতন্ত্রের রচয়িতা বিষ্ণুশর্মা।
৩) পঞ্চতন্ত্রের পাঁচটি তন্ত্র কি কি?
উত্তরঃ- পঞ্চতন্ত্রের পাঁচটি তন্ত্র হল- মিত্রভেদ, মিত্রপ্রাপ্তি, কাকোলূকীয়ম্, লব্ধপ্রণাশম্, অপরীক্ষিতকারকম্।
৪) এই গল্পের নীতিকথা কি?
উত্তরঃ-ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা গল্পের নীতিকথা হল-
শত্রবোহপি হিতায়ৈব বিবদন্তঃ পরস্পরম্।
চৌরাণ জীবিতং দত্তং রাক্ষসেন তু গোযুগম্।।
অর্থাৎ,শত্রুরা যখন পরস্পরের মধ্যে বিবাদ করে তখন তা সাধারন মানুষের উপকার সাধন করে।
৫) ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা গল্পে ব্রাহ্মণের নাম কী ছিল?
উত্তরঃ- ব্রাহ্মণের নাম ছিল দ্রোণ।
৭) ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-গল্পে দরিদ্র ব্রাহ্মণটি কীভাবে জীবন নির্বাহ করত?
উত্তরঃ- অন্যের দান গ্রহণ করে দরিদ্র ব্রাহ্মণটি জীবন নির্বাহ করত।
৮) ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-গল্পে চোরটির নাম কি ছিল?
উত্তরঃ- ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-গল্পে চোরটির নাম ছিল- ক্রূরকর্মা।
৯) ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-গল্পে ব্রহ্মরাক্ষসটির নাম কি ছিল?
উত্তরঃ- ব্রহ্মরাক্ষসটির নাম ছিল সত্যবচন।
১০) ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-গল্পে ব্রাহ্মণের শরীরের বিবরন দাও।
উত্তরঃ- ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা-গল্পে ব্রাহ্মণের শরীরের নখ,চুল,লোম,দাড়ি বড়ো হয়ে গিয়েছিল এবং শীত -গ্রীষ্ম- বর্ষায় তাঁর শরীর শীর্ণকায় হয়ে উঠেছিল।
১১) প্রতিগ্রহধন শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ- অন্যের প্রদত্ত দানে জীবন নির্বাহ করা।
১২) হুতবহ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ- হুতবহ শব্দের অর্থ হল- অগ্নি।
১৩) লগুড় শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ- লাঠি।
$ads={1}
১৪) জজাগর শব্দের সংস্কৃত প্রতিশব্দ কি?
উত্তরঃ- অজাগ।
১৫) চোর হাতে কি নিয়ে চুরি করতে গিয়েছিল?
উত্তরঃ- চোর হাতে বন্ধনরজ্জু বা দড়ি নিয়ে চুরি করতে গিয়েছিল।
১৬) চোর কোথায় ব্রহ্মরাক্ষসকে দেখেছিল?
উত্তরঃ- অর্ধেক পথে।