ষষ্ঠ শ্রেণির আমাদের পৃথিবী প্রথম অধ্যায় আকাশ ভরা সূর্য তারা | Class Six Amader Prithibi

ষষ্ঠ শ্রেণির আমাদের পৃথিবী প্রথম অধ্যায় আকাশ ভরা সূর্য তারা
ষষ্ঠ শ্রেণির আমাদের পৃথিবী প্রথম অধ্যায় আকাশ ভরা সূর্য তারা 
সুস্নেহের শিক্ষার্থীরা, আশা তোমরা সকলে ভালো ও সুস্থ হয়েছো আর তোমরা যথারীতি পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছো। তাই তোমাদের পড়াশোনার অগ্রগতিকে আরো উন্নততর করতে বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং পার্থ প্রশ্ন উত্তর সহ সম্ভাব্য প্রশ্নাবলী নিয়ে তোমাদের সামনে হাজির হয়েছি। 
আজকে আমি আলোচনা করতে চলেছি ষষ্ঠ শ্রেণীর ভূগোল বিষয়ের, পাঠ্যবইয়ের প্রথম অধ্যায় এর আকাশ ভরা সূর্য তারা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য প্রশ্নাবলী আলোচনা করব। 
তাই আর দেরি না করে চলো আজকের পাঠ ষষ্ঠ শ্রেণির আমাদের পৃথিবী প্রথম অধ্যায় আকাশ ভরা সূর্য তারা আমরা মনোনিবেশ করি আজকের পাঠ। 

$ads={1}

ষষ্ঠ শ্রেণির আমাদের পৃথিবী প্রথম অধ্যায় আকাশ ভরা সূর্য তারা 

মহাবিশ্ব (UNIVERSE) কাকে বলে?

 উত্তর  দিনের বেলায় সূর্য আর রাতের বেলায় আকাশের চাঁদ আমরা দেখতে পাই এ ছাড়াও অসংখ্য আলোকবিন্দু দেখতে পায় যেগুলি জ্যোতিষ্ক নামে পরিচিত কোটি কোটি জ্যোতিষ্ক অর্থাৎ গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র ধূলিকণা গ্যাস রয়েছে ভাসমান অবস্থায় অর্থাৎ শূন্যস্থানে এই সমস্ত কিছুকে এক কথায় বলা হয় মহাবিশ্ব।

নীহারিকা (NEBULA) কাকে বলে?

 উত্তর   মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় যে অসংখ্য ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ তৈরি হয় তাকে নীহারিকা বলে।

ছায়াপথ (GALAXY) কাকে বলে?

 উত্তর   মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র গুলি পেঁচানো ডিম্বাকার আকৃতির একটি পথ তৈরি করে তাকে ছায়াপথ বলা হয়।

আকাশগঙ্গা (MILKY WAY) কাকে বলে?

 উত্তর  ছায়াপথের মত সূর্য পৃথিবী অন্যান্য গ্রহ গুলি আকাশ গঙ্গা নামে পরিচিত, ইহা প্রায় 10 হাজার কোটি ধূলিকণা নিয়ে আকাশ গঙ্গা একটা বিরাট প্যাঁচানো ছায়াপথ তৈরি হয়েছে।

নক্ষত্র (CONSTELLATION) কাকে বলে?

 উত্তর  যে সমস্ত গ্যাসীয় অগ্নিপিন্ড এর নিজস্ব আলো ও উত্তাপ আছে তাদের নক্ষত্র বলা হয়।

 যেমন- তারা, সূর্য।

$ads={2}

তারার রং

 উত্তর  কোন তারা কতটা উত্তপ্ত, রং দেখে বোঝা যায়। ছোটো লাল তারার উন্নতা সবথেকে কম। আকাশে এরকম তারার সংখ্যা সবথেকে বেশি। মাঝারি হলুদ তারার উন্নতা আর একটু বেশি। বিরাট নীল তারার উদ্বুতা প্রচণ্ড বেশি, এবং বেশ উজ্জ্বল। আর প্রকাণ্ড সাদা তারার উন্নতা এবং উজ্জ্বলতা দুটোই সবথেকে বেশি। খালিচোখে আমরা এই তারাগুলোকেই দেখতে পাই।

তারারা আছে 'আলোকবর্ষ দূরে --
 উত্তর  তারারা কোটি কোটি কিলোমিটার দূরে রয়েছে। সূর্যের পরেই আমাদের সবথেকে কাছের তারা প্রক্সিমা সেনটাউরি রয়েছে প্রায় ৪১ লক্ষ কোটি কিমি দূরে। সে তুলনায় সূর্য অনেক কাছে আছে, দুরত্ব মাত্র ১৫ কোটি কিমি। তাই সূর্যকে বড়ো আগুনের থালার মতো দেখায়। সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছোতে সময় লাগে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড। অর্থাৎ বায়ুশূণ্য অবস্থায় আলোর গতিবেগ ১ সেকেন্ডে প্রায় ৩০০,০০০ কিমি। এই গতিবেগে ১ বছরে আলো যতটা দুরত্ব পার হয়, তা হলো এক আলোকবর্ষ (Light year)। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বিভিন্ন নক্ষত্র, ছায়াপথের দূরত্ব এই ‘আলোকবর্ষ” এককে পরিমাপ করেন। এই এককে প্রক্সিমা সেনটাউরির দূরত্ব পৃথিবী থেকে ৪.২ আলোকবর্ষ।

Class 6 Amader Prithibi Akas Vora Surjotara

নক্ষত্রমন্ডল কাকে বলে?

  উত্তর  পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা তারাগুলোকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে বিভিন্ন আকৃতির তৈরি হয় এরকম এক একটা তারার যাকে বলে নক্ষত্র মন্ডল।

সপ্তর্ষিমণ্ডল কাকে বলে?

 উত্তর  নক্ষত্র মন্ডল কে একটি কাল্পনিক রুপ কথা ভেবে মানুষ অনেক গল্প তৈরি করে উত্তর আকাশে সাতটি উজ্জ্বল তারা আমরা দেখতে পাই আর তারা গুলোকে একসঙ্গে সপ্তর্ষি মন্ডল বলা হয়। নক্ষত্রপুঞ্জ ও কে কালপুরুষ বলে কল্পনা করা হয়ে থাকে কালপুরুষ হল এক সাহসী শিকারি।

তারা রা কেন মিট মিট করে?

  উত্তর  আমাদের পৃথিবীর চারিদিকে বায়ুমণ্ডল আছে পৃথিবী থেকে বহু দূরে রয়েছে আর তাদের আলো যখন এই বায়ুস্তর বেরিয়ে আসে-তখন কেঁপে কেঁপে আছে পৃথিবীর স্তর এর বাইরের আকাশ বা মহাকাশ থেকে তারাদের দেখলে অস্থির আলোর বিন্দু মত মনে হয় আর সেটি মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়।

$ads={1}

ধ্রুবতারা কাকে বলে?

  উত্তর  উত্তর আকাশে উজ্জ্বল মিটমিটিয়ে যে সন্ধের সময় তারা দেখতে পাওয়া যায় তাকে ধ্রুবতারা বলা হয়।
রাতের কালো আকাশে হাজার হাজার তারাকে শুধুই কতকগুলো আলোর বিন্দু মনে হয়।
টেলিস্কোপ কী?
প্রতিটা টেলিস্কোপের জন্য তৈরি করতে হয় বিরাট গোলাকার গম্বুজ, যাকে 'মানমন্দির' (Observatory) বলে। শক্তিশালী টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে দুশো কোটি আলোকবর্ষ দুরের তারাও দেখা যায়।

Class 6 Amader Prithibi Akas Vora Surjotara

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তরঃ

1) কোথায় আমরা অসংখ্য তারা(Star) দেখতে পায়?

 উত্তর:  রাত্রে বেলায় আকাশের দিকে তাকালে আমরা অসংখ্য তারা দেখতে পায়। 

2) তারার আলো মিটমিট করে কেন?

 উত্তর:  তারা গুলি আমাদের থেকে অর্থাৎ পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত তাই সেগুলি মিটমিট করে জ্বলতে থাকে বলে আমাদের মনে হয়। 
3) শূন্যস্থানে কি কি রয়েছে?
 উত্তর: গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র গ্রহ ধূলিকণা গ্যাস রয়েছে অসীম শূন্যস্থানে।

4) আমরা কোথায় বসবাস করি?

 উত্তর:  আমরা পৃথিবীতে বসবাস করি। 

5) জ্যোতি বিজ্ঞান কি?

 উত্তর:  আগেকার মানুষ এবং বর্তমান মানুষ চন্দ্র সূর্য নক্ষত্র অর্থাৎ মহাবিশ্বের সম্পর্কে জানা যায় কৌতূহল তা চালিয়ে যাচ্ছে আর বিজ্ঞানের সবচেয়ে পুরনো চর্চা হলো জ্যোতির্বিজ্ঞান।

6) কম্পাস ঘড়ি দিন মাছ বছর সময় কি দেখে গননা করা হতো?

 উত্তর:  আকাশ দেখে মাস দিন বছর ক্যালেন্ডার ঘড়ি গণনা করা হতো ও পরবর্তীতে মাপক যন্ত্র ঘড়ির ও ক্যালেন্ডার তৈরি হয়।

7) তারা(Star) জন্ম কিভাবে হয়?

 উত্তর:  নীহারিকা থেকে নক্ষত্র বা তারার(Star) জন্ম হয়? 

$ads={2}

8) সূর্য কি?

 উত্তর:  সূর্য একটি জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড। 

9) কোথায় কৃত্তিম মহাকাশ, গ্রহ, তারা(Star) দেখতে পাওয়া যায়?

 উত্তর:  প্লানেটরিয়াম। 

10) আমাদের সব থেকে কাছের তারা (Star) নাম কি?

 উত্তর:  প্রক্সিমা সেনটাউরি ইহা প্রায় ৪১ লক্ষ কোটি কিমি দূরে রয়েছে পৃথিবীতে।

Class 6,Geography Lesson 1

সত্য মিথ্যা যাচাই করাঃ

1) চাঁদের নিজস্ব আলো?
 উত্তর:  মিথ্যা, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই।  
2) তারার মতো পৃথিবীর নিজস্ব আলো রয়েছে?  
 উত্তর:  মিথ্যা, তার নিজস্ব আলো রয়েছে পৃথিবীর নিজস্ব আলো নেই। 
3) প্লানেটরিয়াম এখানে কৃত্রিম গ্রহ উপগ্রহ দেখতে পাওয়া যায়? 
 উত্তর: সত্য, প্লানেটরিয়াম এর কৃত্তিম মহাবিশ্ব কৃত্রিম উপগ্রহ কৃত্তিম তারা সবকিছু দেখতে পাওয়া যায়।
4) হলুদ রঙের তারার(Star) উষ্ণতা সবথেকে কম?
 উত্তর:  মিথ্যা, ছোট লাল তারার(Star) উষ্ণতা সবথেকে কম। 
5) এক একটা তারার(Star) ঝাটকে বলে গ্রহ মন্ডল?  
 উত্তর: মিথ্যা, এক একটা তারার(Star) যাকে বলে নক্ষত্র মন্ডল। 
6) ধ্রুবতারা সবসময় মাঝরাত্রে দেখতে পাওয়া যায়?
 উত্তর:  মিথ্যা, ধ্রুবতারা সবসময় সন্ধ্যাবেলায় পশ্চিম আকাশে দেখতে পাওয়া যায়।  
7) মানুষ কেবলমাত্র পৃথিবীতে বসবাস করে?
 উত্তর:  সত্য, মানুষ কেবলমাত্র পৃথিবীতে বসবাস করে কারণ পৃথিবীতে জীবের উপযুক্ত আবহাওয়া অক্সিজেন রয়েছে।  
8) সূর্যকে নিয়ে অনেক কাল্পনিক গল্প তৈরি হয়েছে?
 উত্তর:  মিথ্যা, নক্ষত্র মন্ডল কে নিয়ে রূপকথা কল্পকাহিনী ভেবেছে মানুষ।  
9) ক্রুশ চিহ্নের মতো তারা(Star) গুলিকে বলে কালপুরুষ?
 উত্তর: মিথ্যা, চিহ্নের মতো বা তারা(Star) গুলিকে বলে বক মণ্ডল। 
10) কাল পুরুষ কে কল্পনা করা হয়েছে এক শিকারী রূপে?
 উত্তর:  সত্য, কাল পুরুষ কে কল্পনা করা হয়েছে পৌরাণিক কাহিনীর 1 সাহসী শিকারি রূপে।
$ads={1} 

শূন্যস্থান পূরণ করো ঃ 

1) আমরা দূরের জিনিস কে কাছে দেখতে পায় ব্যবহার ............করে? 
 উত্তর:  দুরবীন বা টেলিস্কোপ যন্ত্র।
2) ........... মাধ্যমে 200 কোটি আলোকবর্ষ দূরের তারা
(Star) দেখা যায়। 
 উত্তর: শক্তিশালী টেলিস্কোপ। 
3) বহুকাল ধরে . .....দেখেই রাত্রিবেলা নাবিকেরা অভিযাত্রীরা উত্তর দিক ঠিক করতো। 
 উত্তর:  ধ্রুবতারা।
4) শীতকালে পরিষ্কার আকাশে রাত্রে বেলায় খুব সহজেই চোখে পরে ...........। 
 উত্তর: কালপুরুষ।
5) খালি চোখে ...........মতো তারা
(Star) দেখা যায়।
 উত্তর:  6000
6) সূর্য আমাদের থেকে .........কোটি কিমি দূরে রয়েছে।
 উত্তর:  15
7) সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে ............। 
 উত্তর: আট মিনিট কুড়ি সেকেন্ড।  
8) বায়ুশূন্য অবস্থায় আলোর গতিবেগ 1 সেকেন্ডে প্রায় ..........কিমি।
 উত্তর:  ৩০০০০০
9) সাদা তারার(Star) ..............দুটোই সবথেকে বেশি।
 উত্তর: উষ্ণতা এবং উজ্জ্বলতা।
10) সূর্য পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ ........এরকমই নামে পরিচিত।   
 উত্তর:  আকাশগঙ্গা( Milky Way)

 বিকল্প উত্তর থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লিখ:
1. সূর্য/ তারা/ চাঁদের আলো আমাদের পৃথিবী কে আলোকিত করে তুলে। 
 উত্তর: সূর্য।
2. পৃথিবীর প্রথম অবস্থায় ছিল- শীতল এক/গ্যাসীয় পিণ্ড/ জীব উপযুক্ত স্থান।
 উত্তর: গ্যাসীয় পিণ্ড।
3. প্রায় 1400 কোটি/ 1500 কোটি / 1600 কোটি -বছর আগে সূর্যের প্রসারণ হয়।
 উত্তর: 1400 কোটি।
4. সময় মাপক যন্ত্র ঘড়ি/ টেলিফোন/ কম্পাস
। 
 উত্তর: ঘড়ি।
5. নীহারিকা হলো একটি শীতলপিণ্ড/ জ্বলন্ত পিণ্ড/ উপযুক্ত বসবাস
 উত্তর: জ্বলন্ত পিণ্ড।
6. ছোট লাল তারার উষ্ণতা সবথেকে- কম/ বেশি/ একই রকম
 উত্তর: কম।
7. ভূতাত্ত্বিকরা/ ঐতিহাসিকরা/ মানববিদ্যা/জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা- মহাবিশ্বের বিভিন্ন ছায়াপথের দূরত্ব আলোকবর্ষ একক এর পরিমাপ নিয়ে গবেষণা করেন
 উত্তর: জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
8. অপূর্ব সুন্দর নক্ষত্রপুঞ্জকে বলা হয়- কালপুরুষ/ বক মণ্ডল/ সপ্তর্ষিমণ্ডল/ নক্ষত্র মন্ডল।
 উত্তর: কালপুরুষ।
9. নক্ষত্র বা তারার আলো সোজাসুজি/ কেঁপে কেঁপে/ আঁকাবাঁকা- পথে আমাদের পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়।
 উত্তর: কেঁপে কেঁপে।

$ads={2}

10. টেলিস্কোপ এর তৈরীর জন্য ব্যবহার করতে হয় গোলাকার গম্বুজ একে বলে- মানমন্দির/ টেলিফোন/ দূরবীন
 উত্তর: মানমন্দির।
আজকের আলোচ্য বিষয় ও প্রশ্নোত্তর পর্ব পেয়ে আশা করি তোমরা খুশি হয়েছো আর আমরা তোমাদের পরবর্তী অংশ অর্থাৎ সৌরজগৎ বা সৌরপরিবার থেকে প্রথম অধ্যায়ের বাকি অংশ আমরা পরবর্তী পর্বে আলোচনা করব। আজকের বিষয়ে তোমাদের কোথাও যদি কোনো প্রশ্ন বা কিছু বুঝতে অসুবিধে হয়, তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে অবশ্যই দেরি করবে না। তোমার সহপাঠীদের কেউ সহযোগিতা করো, তাদেরকে এই পর্বটি শেয়ার করে।
আমাদের সঙ্গে এতোক্ষণ পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তোমাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায় ডিজিট্যাল পড়াশোনা ওয়েবসাইট এর তরফ থেকে।  

Sajahan Seikh

Sajahan Seikh. From a young age he became very curious about the various animals of the environment and their life cycle. So he has been very interested in reading life science since he was young and he likes it very much, his favorite subject is life science. He is currently an experienced biology teacher.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post