 |
| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণী বাংলা পার্ট ৯ |
Model Activity Task 2022 Class 10 Bengali Part 9
Model Activity Task January Part Bengali Class 10
WBBSE Model Activity Task Class 10 Bengali
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণী বাংলা পার্ট ৯
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক January 2022
বাংলা (প্রথম ভাষা)
পূর্ণমান – ২০
দশম শ্রেণি
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ তপনের মেসােমশাই যে পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন —
(ক) শুকতারা
(খ) সন্ধ্যাতারা
(গ) বালক
(ঘ) জ্ঞানান্বেষণ
উত্তর : (খ) সন্ধ্যাতারা ।
১.২ তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম —
(ক) রাজা-রানির গল্প
(খ) অ্যাকসিডেন্ট
(গ) প্রথম দিন
(ঘ) বিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা
উত্তর : (গ) প্রথম দিন।
১.৩ তপনের লেখা গল্প তার মেসােমশাইয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তপনের —
(ক) মা
(খ) বাবা
(গ) মেজোকাকু
(ঘ) ছােটোমাসি
উত্তর :(ঘ) ছােটোমাসি ।
২. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩=৩
২.১ .এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা। – উদ্ধৃতাংশে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর :আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছােটোমাসি ও মেসােমশাইয়ের ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার কথা বলা হয়েছে ।
২.২ ‘ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে। – কোন্ কথাটা ছড়িয়ে পড়ে?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছােটোমেসাে,তপনের লেখা গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশ করিয়ে দেওয়ার আগে একটু আধটু কারেকশন করে দিয়েছেন। ক্রমশ এই কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।
২.৩ ‘বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের। – কখন তপনের এমন পরিস্থিতি হয়েছিল?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছােটোমেসাের হাতে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ৩x৩=৯
৩.১ ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?’ – কোন্ ঘটনাকে কেন অলৌকিক বলা হয়েছে? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের লেখা প্রথম দিন’ গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানোর ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে।
তপনের গল্প ছাপার আকারে প্রকাশিত হবে এটা ছিল তার কল্পনার বাইরে। ফলে মেসাের হাতে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল। সত্যি সত্যি তার গল্প ছাপা হয়েছে এবং তা হাজার হাজার ছেলের হাতে হাতে ঘুরবে। এই ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ।
৩.২ ‘যদি কখনাে লেখা ছাপতে দেয় তাে, তপন নিজে গিয়ে দেবে। – কখন তপন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? কেন তার এমন সিদ্ধান্ত? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা প্রথম দিন গল্পটি ছাপানো হয়েছিল এবং তা পড়ার পর সে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা গল্পটি মেসোমশাই প্রকাশ করিয়ে দেন। তপন তার মাকে গল্পটি পড়ে শোনাতে গিয়ে দেখে কারেকশনের নামে মেসােমশাই গল্পটির আগাগােড়াই বদলে ফেলেছেন। ছাপানো গল্পে তার কৃতিত্ব এতটুকুও নেই। লজ্জায়, অপমানে হতাশায় সে ভেঙে পড়ে এবং মনে হয় ঐ দিনটি যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন। তাই সে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৩.৩ গল্প ছেপে আসার পর যে আহ্লাদ হওয়ার কথা, সেই আহ্লাদ তপনের না হওয়ার কারণ কী? কেন দিনটি তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের হয়ে উঠল? ১+২
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ছােট মেসােমশাই ‘সন্ধ্যাতারা, পত্রিকায় তপনের লেখা প্রথম দিন’ গল্পটি প্রকাশ করিয়ে দেওয়ার আগে কারেকশনের নামে গল্পটির আগাগােড়াই বদলে দিয়েছেন। ছাপানো গল্পে তার কৃতিত্ব এতটুকুও নেই। তাই গল্প ছাপানোর পর যে আহ্লাদ হওয়ার কথা ছিল, তা তপনের হয় না।
গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পর যখন তপন তার মাকে গল্পটি পড়ে শােনাতে যায়। সে দেখে কারেকশনের নামে মেসােমশাই গল্পের আগাগােড়াই বদলে দিয়েছেন। ছেপে আসা গল্পে তার কৃতিত্ব এতটুকুও বাকি নেই। লজ্জায়, অপমানে ও হতাশায় তপন ভেঙে পড়ে এবং তার মনে হয় ঐ দিনটি যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ৫
‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অনুসরণে তপনের জ্ঞানচক্ষু কীভাবে উন্মীলিত হয়েছিল তা আলােচনা করাে।
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত “জ্ঞানচক্ষু” গল্পটিতে জ্ঞানচক্ষু বলতে একজন ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টির অনুভূতিকে বােঝানাে হয়েছে। জ্ঞানচক্ষু গল্পটিতে তপনের দুবার জ্ঞানচক্ষু উন্মােচনের কথা বলা হয়েছে। প্রথমবার তা আপাত ক্ষনিকের জন্য হলেও পরবর্তীকালে সেই জ্ঞানচক্ষু যেভাবে খুলেছিল তা যথেষ্ট ।
তপনের ধারণা ছিল লেখকেরা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত নয়, তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু নতুন মেসােমশাইকে দেখে স্বপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল অর্থাৎ লেখক যে আমাদের মতােই সাধারণ মানুষ তা তপন জানতে পারল ।
পরবর্তীকালে মেসাের হাত দিয়ে তপনের লেখা গল্পটি ‘সন্ধ্যতারা’ পত্রিকায় ছাপার আকারে প্রকাশ হয়। কিন্তু বাড়িতে সবার সামনে গল্পটি পাঠ করতে গিয়ে সে চমকে ওঠে। কারেকশনের নামে মেসােমশাই লেখার আগাগোড়াই বদলে ফেলেছেন। তপনের লেখা সেখানে খুঁজে পাওয়া দূর। নিজের গল্পের লাইনে অন্যের লেখা পড়া ও প্রশংসা শােনার মধ্যে দিয়ে যে লজ্জা, অপমান তা তার সত্যিকারের জ্ঞানচক্ষু কে জাগরিত করে। এভাবেই তপনের আত্মমর্যাদার জাগরণের মাধ্যমে জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হয়।