ছন্দে শুধু কান রাখো অজিত দত্ত সপ্তম শ্রেণী বাংলা কবিতা | Chonde Sudhu kan rakho By Ajit Dutta Class 7 Bengali Onusilonir Prosnottor

ছন্দে শুধু কান রাখো অজিত দত্ত
ছন্দে শুধু কান রাখো অজিত দত্ত 


Class 7 Bengali Chonde Sudhu kan rakho Onusilonir Prosnottor 

WBBSE Class 7 Bengali chonde sudhu kan rakho By Ajit Dutta 

ছন্দে শুধু কান রাখো অজিত দত্ত সপ্তম শ্রেণী বাংলা কবিতা অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর 

Chonde Sudhu kan Rakho By Ajit Dutta

Chonde Sudhu Kan Rakho 


ছন্দে শুধু কান রাখো

 অজিত দত্ত 

সপ্তম শ্রেণী

 বাংলা কবিতা

☝কবি পরিচিতি- অজিত দত্ত (১৯০৭ - ১৯৭৯): জন্ম ঢাকার বিক্রমপুরে। ত্রিশ-চল্লিশ দশকের আধুনিক বাংলা কবিতার

একজন বিশিষ্ট কবি। বন্ধু বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে তরুণ বয়সেই সম্পাদনা করেন 'প্রগতি' পত্রিকা। ‘কল্লোল’ সাহিত্য গোষ্ঠীর অন্যতম লেখক অজিত দত্ত ‘কবিতা' পত্রিকার সূচনা থেকেই ছিলেন। তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘কুসুমের মাস’, ‘পাতালকন্যা’, ‘নষ্টচাঁদ’, ‘পুনর্নবা’, ‘ছড়ার বই’, ‘ছায়ার আলপনা' প্রভৃতি।

👆বিষয় সংক্ষেপ- 

👉১. অনধিক দুটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

১.১ "মন্দ কথায় কান দিয়ো না "– মন্দ কথার প্রতি কবির কীরূপ মনোভাব কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে?

উত্তর- মন্দ কথা যদি মনে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে এক বিরুপ মনভাবের বিকাশ ঘটায় , তাহলে দ্বন্দ্ব শোনা যায় না। তাই কবি মন্দকথায় কান দিতে নিষেধ করেছেন।

১.২ “ কেউ লেখেনি আর কোথাও "— কোন লেখার কথা এখানে বলা হয়েছে? 

উত্তর- নদীর স্রোতে চলাচলের যে ছন্দপূণ ‘ছড়া’ লুকিয়ে আছে, সেই ছন্দ অন্য কারোর নেই। এই নদীর স্রোতের ছন্দ মন দিয়ে অনুভব করলে বোঝা যাবে এমন ছন্দময় ‘ছড়া’ এর আগে কখনও কোথাও লেখেনি।

১.৩ " চিনবে তাঁরা ভুবনটাকে "- কারা কীভাবে ভুবনটাকে চিনবে?

উত্তর- এই ভুবন বিশাল ও বিপুল। এর চারিদিকে যে ছন্দ ছড়িয়ে আছে, সেই ছন্দকে মন ও কান পেতে শুনলে যথার্থ চেনা সম্ভব হয়।

১.৪ “পদ্য লেখা সহজ নয় ” – পদ্য লেখা কখন সহজ হবে বলে কবি মনে করেন?

উত্তর- জীবন ছন্দময়, জীবনের সেই ছন্দে কান ও মন দিতে হবে। তাহলে জীবন পদ্যময় হয়ে উঠবে। আর তখনই পদ্য লেখা সহজ হবে বলে মনে করেন।

১.৫ “ ছন্দ শোনা যায় নাকো ” – কখন কবির ভাবনায় আর ছন্দ শোনা যায় না?

উত্তর- সকল প্রকার দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে মন না দিলে ছন্দ শোনা যায় না বলে কবি মনে করেন । অর্থাৎ ছন্দ শুনতে হলে দ্বন্দ্ব ভুলে একাগ্রচিত হতে হবে।

👉২. বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে পরিবর্তন করো এবং বাক্য রচনা করো :

ঝড়, মন, ছন্দ, দিন, সুর, সংকেত, দ্বন্দ্ব, মন্দ, ছন্দহীন, পদ্যময়, সহজ,

যেমন— ঝড় (বি.) > ঝোড়ো (বিণ.) > আজ সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইছে।

উত্তর-

বিশেষ্য- ঝড়

বিশেষণ- ঝোড়ো-( আজ সমস্থ দিনই ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হবে)।

বিশেষ্য- মন

বিশেষণ- মানসিক ( এই কাজটির জন্য মানসিক ভাবে আমি তৈরী)।

বিশেষ্য- ছন্দ

বিশেষণ- ছন্দোবদ্ধ ( প্রকৃতির সব কাজেই এক এক ছন্দোবদ্ধ গতি আছে )।

বিশেষ্য- দিন

বিশেষণ- দৈনিক ( আমাদের দৈনিক উপার্জন বর্তমানে খুবই কম )।

বিশেষ্য- সুর ( গ্রাম বাংলায় অনেক সুরেলা পাখির গান শোনা যায়)।

বিশেষ্য- সংকেত

বিশেষণ- সাংকেতিক ( মন দিয়ে শুনলে প্রকৃতির বহু সাংকেতিক ধ্বনি আমরা অনুভব করতে পারব)।

বিশেষ্য- দ্বন্দ্ব

বিশেষণ- দ্বাম্বিক ( দুই বন্ধুর মধ্যে দ্বাম্বিক আলোচনা চলছে)।

বিশেষ্য- মন্দতা ( মানুষের মন্দতা দূর হলেই সমাজে শান্তি ফিরে আনবে)।

বিশেষণ- মন্দ

বিশেষ্য- ছন্দহীনতা ( কবিগন কখনও কখনও ছন্দহীনতায় ভোগেন)।

বিশেষণ- দছন্দহীন

বিশেষ্য- পদ্য ( মনের গভীর অনুরাগই পদ্যের জন্ম দেয়)।

বিশেষণ- পদ্যময়

বিশেষ্য- সহজতা ( কবিতায় সহজতা পাঠককে আকৃষ্ট করে)।

বিশেষণ- সহজ

👉৩. নীচের শব্দগুলিকে আলাদা আলাদা অর্থে ব্যবহার করে দুটি করে বাক্য লেখো : মন্দ, দ্বন্দ্ব, তাল, ডাক, বাজে, ছড়া, মজা, নয়।

উত্তর- মন্দ- i) অসৎ- সর্বদা মন্দ সঙ্গ এড়িয়ে চলা উচিত।

       ii) ধীরগামী- বিকেল বেলা মৃদুমন্দ বাতাস বইছে।

দ্বন্দ্ব-   i) বিবাদ- মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব করে কোন লাভ নেই।

       ii) দ্বিধা- মনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঘুছিয়ে সসমাজের কল্যানে এগিয়ে এসো।

তাল   i) লয়- সঠিক তালে গান গাইলে তা শ্রুতিমধুর হয়ে ওঠে।

       ii) ফল- ভাদ্র মাসে তাল পাকে।

ডাক   i) সম্ভাষণ- মধুর ডাক মনকে তৃপ্তি করে।

       ii) শব্দ- মেঘের ডাকে রাত্রিবেলা ঘুম ভেঙে যায়।

বাজে  i) ধ্বনিত হয়- তার গানের সুরটা এখনো কানে বাজে।

       ii) সময়- ঘড়িতে এখন দশটাবাজে।

ছড়া   i) কবিতা- প্রত্যেক শিশু ছড়া ভালোবাসে।

       ii) গুচ্ছ- রাহুল ঘুরে ঘুরে এক ছড়া আঙ্গুর খেয়ে নিল।

মজা   i) আনন্দ- নতুন জামা পেয়ে শিশুটির খুব মজা হয়েছে।

       ii) জলশূন্য- এমজা পুকুরটাতে আমাদের ছোটবেলায় অনেক পদ্মফুল ফুটত।

নয়    i) সংখ্যাবিশেষ- এ মাসের নয় তারিখে আমরা দিঘা ঘুরতে যাব।

       ii) না সূচক অব্যায়- জগতে কাউকে পর ভাবা উচিত নয়।

👆শব্দার্থ : দ্বন্দ্ব – সংঘাত, ঝগড়া, বিবাদ। ভুবন— পৃথিবী, জগৎ। সঙ্কেত—ইশারা, ইঙ্গিত।

👉৪. নীচের শব্দগুলি কোন মূল শব্দ থেকে এসেছে লেখো :

জোছনা, চাকা, কান, দুপুর, ঝিঁঝি

উত্তর- জোছনা- জ্যোংস্না। চাকা- চক্র। কান- কর্ণ। দুপুর- দ্বিপ্রহর। ঝিঁঝি- ঝিল্লি।

👉৫. কবিতার ভাষা থেকে মৌখিক ভাষায় রূপান্তরিত করো :

৫.১ ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে

উত্তর- ঝড় বৃষ্টিতে ছন্দ আছে।

৫.২ ছন্দে বাঁধা রাত্রি দিন

উত্তর- রাত আর দিন ছন্দে বাঁধা আছে।

৫.৩ কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন

উত্তর- কোনো কিছুই ছন্দহীন নয়।

৫.৪ চিনবে তারা ভুবনটাকে/ ছন্দ সুরের সংকেতে

উত্তর- ছন্দ আর সুরের সংকেতে তাঁরা ভুবনটাকে চিনতে পারবে।

৫.৫ কান না দিলে ছন্দে জেনো/পদ্য লেখা সহজ নয়।

উত্তর- জেনো ছন্দে কান না দিলে পদ্ম লেখা সহজ নয়।

👉৬. 'কান' শব্দটিকে পাঁচটি বিশেষ অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখো :

উত্তর-

  • কান- বিজ্ঞানের ভাষায় কান হল গ্রানেন্দ্রিয়।
  • কানমলা- পরা না পারায় মাস্টার মশাই ছেলেটির কান মলে দিল।
  • কানেলাগা- সিমার বেসুরে গান বড়ো কানে লাগে।
  • কানপাতলা- রমেশ খুব কানপাতলা ছেলে, ওর কাছে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা যাবে না।
  • কানখাড়া- দরজার পাশে রিমা কানখাড়া করে সব শুনতে লাগল।

👉৭. ‘ঝড়-বাদল’— এমনই সমার্থক বা প্রায়-সমার্থক শব্দ দিয়ে তৈরি পাঁচটি শব্দ লেখো :

উত্তর- পাহার-পর্বত, নদনদী, বইপত্র, খানাখন্দ, মায়ামমতা।

👉৮. তোমার পরিচিত আর কোন কোন যানবাহনের চলার মধ্যে নির্দিষ্ট ছন্দ রয়েছে?

উত্তর- যানবাহন চলাচল- গোরুগাড়ি, রেলগাড়ি, নৌকা, জাহাজ, ঘোড়ার গাড়ি, পালকী।

👉৯. নানা প্রাকৃতিক ঘটনায় কীভাবে প্রকৃতির ছন্দ ধরা পড়ে?

উত্তর-

কান পেতে শোনা যাবে এমন

মন পেতে শোনা যাবে এমন

পাখির ডাক, ঝিঁঝিঁর ডাক, নদীর কলতান, বৃষ্টির শব্দ, মেঘ গর্জনের শব্দ, বায়ু প্রবাহের শব্দ।

হৃদয়ের শব্দ, রতের নীরবতা, দুঃখীর হাহাকার, মায়ের স্নেহের নীরব প্রকাশ।

👉সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘পালকির গান' কবিতাটি শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে সংগ্রহ করো।

👉১০. সমার্থক শব্দ লেখো :

জল, দিন, রাত্রি, নদী, ভুবন

উত্তর-

জল-জীবন, বারি, নীর, সলিল।

দিন- দিবস, দিবা, দিনমান, অহ।

রাত্রি- নিশা, যামানী, রজনী, নিশীথ।

নদী- তটিনী, প্রবাহিনী, সরিৎ।

ভুবন- জগৎ, বিশ্ব, পৃথিবী, বসুধা, অবনী।           

👉১১. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :

উত্তর-

দিন- দিবস, দীন- দরিদ্র।

মন- চিত্ত, মণ- ওজন বিশেষ।

সুর- দেবতা, শুর- বীর।

সকল- সব, শকল- মাছের আঁশ।

👉১২. ‘যারা তারা' র মতো তিনটি সাপেক্ষ শব্দজোড় তৈরি করো।

উত্তর- যিনি-তিনি, যখন-তখন, যেহেতু-সেহেতু।

👉১৩. কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে তিনটি সর্বনাম লেখো।

উত্তর- সর্বনাম- কেউ, যারা, তাঁরা।

👉১৪. কবিতায় রয়েছে এমন চারটি ‘সম্বন্ধ পদ’ উল্লেখ করো।

উত্তর- সম্বন্ধপদ- পাখির ডাক, ঝিঁঝিঁর ডাক, জলের ছন্দ, ঘড়ির কাঁটা।

👉১৫. নীচের বাক্য/বাক্যাংশের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ আলাদাভাবে দেখাও :

১৫.১ ছন্দ আছে ঝড়-বাদলে

১৫.২ দেখবে তখন তেমন ছড়া / কেউ লেখেনি আর কোথাও।

১৫.৩ জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে / নৌকো জাহাজ দেয় পাড়ি।

১৫.৪ চিনবে তারা ভুবনটাকে / ছন্দ সুরের সংকেতে।

উত্তর- 

উদ্দেশ্য

বিধেয়

ছন্দ

আছে ঝর বাদলে।

তেমন ছড়া

দেখবে তখন কেউ লেখেনি আর কোথাও।

নৌকো জাহাজ

জলের ছন্দে তাল মিলিয়ে দেয় পাড়ি।   

তারা ভুবনটাকে

চিনবে ছন্দ সুরের সংকেত।

👉১৬. নিম্নরেখ অংশগুলির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো :

১৬.১ ছন্দে শুধু কান রাখো।

উত্তর- অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।

১৬.২ ছন্দ আছে ঝড়-বাদলের-

উত্তর- অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।

১৬.৩ দিন দুপুরে পাখির ডাকে। ছন্দে চলে রেলগাড়ি।

উত্তর- অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি।

১৬.৪ ছন্দে চলে রেলগাড়ি।

উত্তর- কতৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।

১৬.৫ চিনবে তারা ভুবনটাকে।

উত্তর-কতৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।

Newton Hossain

Newton Hossain, the founder of this blog, is a Lecturer of the English Language and also loves to explain Life science and Geography.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post