সন্ধি বিচ্ছেদ | Sondhi

Sondhi | সন্ধি বিচ্ছেদ
সন্ধি বিচ্ছেদ
সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছো। আজ আমরা শিখবো এবং জানবো সন্ধি (Sondhi) সম্পর্কে। সন্ধিকে সহজতরভাবে শিখতে হলে আমাদের অবশ্যই সন্ধির বেসিক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই আমরা প্রত্যেক সন্ধির উদাহরণসহ শ্রেণীবিভাগ করে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছি সন্ধির ক্লাস। চলো তবে শুরু করি সন্ধির বেসিক থেকে সম্পূর্ণ আলোচনা।
{tocify} $title={Table of Content}
 

$ads={1}

সন্ধি কথাটির অর্থ কী?

সন্ধি কথাটির অর্থ হল মিলন তাই দুই বর্ণের যখন মিলন ঘটে তখন তাকে সন্ধি বলা হয় অর্থাৎ বলা যেতে পারে পরস্পর সন্নিহিত দুটি অর্থ যুক্ত শব্দ মিলনকে সন্ধি  বলে।

যেমন- শিক্ষালয় = এখানে শিক্ষার শেষ বর্ণ ‘আ’এবং আলয় এর প্রথম বর্ণ ‘আ’ মিলে হয়েছে এক্ষেত্রে প্রথম শব্দের শেষ বর্ণ এবং পরবর্তী শব্দের প্রথম বর্ণের মিলনে সন্ধি হয়েছে সন্ধিতে একটি নতুন শব্দের উদ্ভব ঘটেছে। আবার দেখো- নরাধম = নর+ অধম। ‘নর’ শব্দের শেষ বর্ণ ‘অ’ এবং ‘অধম’ শব্দের প্রথম বর্ণ ‘অ’ এই দুই মিলে হয়েছে ‘আ’ {alertInfo}

সন্ধির প্রকারভেদ

সন্ধি সাধারণত তিন রকম যথা-

১) স্বরসন্ধি

২) ব্যঞ্জন সন্ধি

৩) বিসর্গ সন্ধি

স্বরসন্ধিকাকে বলে? উদাহরণদাও।

 স্বরবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে বলে স্বরসন্ধি।

যেমন

 স্বাধীন = স্ব + অধীন।

নবান্ন = নব + অন্ন।

হিমালয়= হিম+ আলয়।

মহাকাশ= মহা +আকাশ।

সর্বাঙ্গ= সর্ব +অঙ্গ।

রবীন্দ্র= রবি + ইন্দ্র।

পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা।

সতীশ= সতী + ঈশ।

স্বরসন্ধির প্রকারভেদ

স্বরসন্ধির সাধারণত দুই রকম যথা-

১) পাতনসিদ্ধ স্বরসন্ধি

২) নিপাতনসিদ্ধ স্বরসন্ধি

$ads={2}

স্বরসন্ধির নিয়মাবলি-

ক) অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-কার কিংবা আ-কার থাকলে উভয় মিলে আ-কার হয়। উক্ত আ-কার পূর্ববর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়

যেমন-

অ +অ = আ

দেবাসুর = দেব + অসুর।

শশাঙ্ক= শশা + অঙ্ক।

সর্বাঙ্গ= সর্ব +অঙ্গ।

নবান্ন= নব + অন্ন।

অ+আ = আ

হিমালয়= হিম + আলয়

নীলাকাশ= নীল + আকাশ

জলাধার= জল + আধার

জলাশয়= জল + আশয়

সিংহাসন=সিংহ + আসন

আ + অ= আ

বিদ্যাভ্যাস= বিদ্যা + অভ্যাস

ভিক্ষান্ন= ভিক্ষা+ অন্ন

মহার্ণব= মহা + অর্ণব

আ + আ = আ

বিদ্যালয়= বিদ্যা + আলয়

মহাশয়=  মহা + আশয়

সদানন্দ= সদা +আনন্দ

কারাগার= কারা + আগার

খ) ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ই-কার কিংবা ঈ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঈ-কার হয়। ই-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।

যেমন-

ই + ই= ঈ

রবীন্দ্র= রবি + ইন্দ্র

অতীত= অতি + ইত

মণীন্দ্র= মণি + ইন্দ্র

গিরীন্দ্র= গিরি + ইন্দ্র

ই + ঈ = ঈ

পরীক্ষা = পরি+ঈক্ষা

গিরীশ = গিরি+ঈশ

প্রতীক্ষা= প্রতি+ঈক্ষা

ঈ + ই = ঈ

শচীন্দ্র= শচী+ইন্দ্র

যতীন্দ্র= যতী+ইন্দ্র

রথীন্দ্র= রথী+ইন্দ্র

সুধীন্দ্র= সুধী+ইন্দ্র

ঈ + ঈ = ঈ

সতীশ= সতী+ঈশ

শ্রীশ= শ্রী+ঈশ

মহীশ্বর= মহী+ঈশ্বর

গ) উ-কার কিংবা ঊ-কারের পর উ-কার কিংবা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঊ-কার হয়। ঊ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।

উ + উ = ঊ

মরূদ্যান= মরু+ উদ্যান

কটূক্তি= কটু+ উক্তি

ভানূদয়= ভানু+ উদয়

উ+ ঊ= ঊ

লঘূর্মি= লঘু+ঊর্মি

তরূর্দ্ধ=তরু+ঊর্ধ

ঊ + উ= ঊ

বধূক্তি= বধূ+উক্তি

বধূৎসব= বধূ+উৎসব

$ads={1}

ঊ + ঊ= ঊ

ভূর্ধ= ভূ+ঊর্ধ

সরযূর্মি= সরযূ+ঊর্মি

ঘ) অ কিংবা আ-এর পর ই কিংবা ঈ থাকলে উভয় মিলে এ-কার হয়। উক্ত এ-কার পূর্ববর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়।

যেমন-

অ + ই= এ

নরেন্দ্র= নর+ ইন্দ্র

নবেন্দু=  নব+ইন্দু

পূর্ণেন্দু= পূর্ণ+ইন্দু

অ+ঈ= এ

গণেশ= গণ+ঈশ

দেবেশ= দেব+ ঈশ

অপেক্ষা= অপ+ঈক্ষা

আ+ই= এ

মহেন্দ্র= মহা+ইন্দ্র

রাজেন্দ্র= রাজা+ইন্দ্র

যথেষ্ট= যথা+ ইষ্ট

আ+ঈ= এ

রমেশ= রমা+ঈশ

মহেশ= মহা+ঈশ

উমেশ=  উমা+ঈশ

ঙ) অ-কার কিংবা আ-কারের পর উ-কার কিংবা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ও-কার হয়। ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।

যেমন-

অ+উ= ও

সহোদর= সহ+উদর

বোধোদয়= বোধ+উদয়

সূর্যোদয়=  সূর্য+ উদয়

হিতোপদেশ= হিত+ উপদেশ

অ+ঊ= ও

চলোর্মি= চল+ঊর্মি

একোন= এক+ঊন

গৃহোর্ধ= গৃহ + ঊর্ধ

আ+উ= ও

দুর্গোৎসব= দুর্গা+ উৎসব

পরীক্ষোত্তীর্ণ= পরীক্ষা+ উত্তীর্ণ

আ+ঊ= ও

মহোর্মি= মহা+ ঊর্মি

গঙ্গোর্মি= গঙ্গা+ঊর্মি

চ) অ-কার কিংবা আ-কারের পর এ-কার কিংবা ঐ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঐ-কার হয়। ঐ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।

যেমন-

অ+এ= ঐ

জনৈক= জন+এক

হিতৈষী= হিত+ এষী

আ+এ= ঐ

তদৈব= তদা+এব

সদৈব= সদা+এব

অ+ঐ= ঐ

মতৈক্য= মত+ ঐক্য

রাজৈশ্বর্য= রাজ+ঐশ্বর্য

$ads={2}

আ+ঐ= ঐ

মহৈক্য= মহা+ঐক্য

মহৈশ্বর্য= মহা+ঐশ্বর্য

ছ) অ-কার কিংবা আ-কারের পর ও-কার কিংবা ঔ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঔ-কার হয়। ঔ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।

যেমন-

অ+ও= ঔ

বনৌষধি= বন+ওষধি

জলৌকা= জল+ওকা

আ+ও=  

মহৌষধি= মহা+ ওষধি

মহৌজন= মহা+ওজন

অ+ঔ= ঔ

পরমৌষধ= পরম+ ঔষধ

বীরৌরস= বীর+ ঔসর

আ+ঔ= ঔ

মহৌষধ= মহা+ ঔষধ

মহৌদার্য= মহা+ ঔদার্য

জ) অ-কার কিংবা আ-কারের পর ঋ-কার থাকলে উভয়ে মিলে’অর’ হয়। অর-এর র- রেফ হয়ে পরে বর্ণের মাথায় যুক্তহয়।

যেমন-

অ+ঋ= অর

সপ্তর্ষি= সপ্ত+ ঋষি

শীতার্ত= শীত+ঋত

দেবর্ষি= দেব+ ঋষি

আ+ঋ= অর

রাজর্ষি= রাজা+ঋষি

ক্ষুধার্ত= ক্ষুধা+ঋত

ঝ) ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ই-কার কিংবা ঈ-কার ভিন্ন স্বরবর্ণ থাকলে ই-কার ও ঈ-কার স্থানে ‘য’ পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় এবং স্বর য-কারে এসে মিলিত হয়।

যেমন-

ইত্যাদি= ইতি+ আদি

অত্যন্ত= অতি+ অন্ত

অত্যাচার= অতি+ আচার

প্রত্যুষ= প্রতি+ ঊষ

প্রত্যেক= প্রতি+ এক

অভ্যুদয়= অভি+ উডয়

অভ্যাগত= অভি+আগত

ঞ) উ-কার কিংবা ঊ-কারের পর উ,ঊ ভিন্ন স্বরবর্ণ থাকলে উ, ঊ স্থানে ‘ব’ পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়।

যেমন-

অন্বয়= অনু+অয়

স্বাগত= সু+ আগত

অন্বেষণ= অনু+ এষণ

পশ্বাচার= পশু+ আচার

স্বল্প= সু+ অল্প

স্বচ্ছ= সু+ অচ্ছ

তন্বী=  তনু+ঈ

মন্বন্তর= মনু+ অন্তর

$ads={1}

ট) ঋ-কারের পর ‘ঋ’ ভিন্ন স্বরবর্ণ  পরে থাকলে ঋ-কারের স্থানে ‘র’ হয়। ‘র’ র-ফলা হয়ে পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় এবং পরের স্বর ‘র’- ফলার সঙ্গে যুক্ত হয়।

যেমন-

পিত্রালয়= পিতৃ+ আলয়

মাত্রাদেশ= মাতৃ+ আদেশ

পিত্রাদেশ= পিতৃ+আদেশ

পিত্রিচ্ছা= পিতৃ+ ইচ্ছা

পিত্রানুগ্রহ= পিতৃ+ অনুগ্রহ

ঠ) এ-কার কিংবা অই-কারের পর এ, ঐ’ ভিন্ন স্বরবর্ণ থাকলে এ-স্থানে ‘অয়’ এবং ঐ-স্থানে আয় হয়। অ-কার কিংবা ঔ-কারের পর ও কিংবা ঔ ভিন্ন স্বরবর্ণ থাকলে অ-কার স্থানে অব এবং ঔ-কার স্থনে আব হয়।

যেমন-

নয়ন= নে+ অন

শয়ন= শে+অন

পবন= পো+অন

ভবন= ভো+ অন

নায়ক= নৌ+ অক

পাবক= পৌ+ অক

নাবিক= নৌ+ ইক

নিপাতন সিদ্ধ  স্বরসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও-

যে সব সন্ধি কোনো নিয়ম মেনে চলেনা তাদেরকে নিপাতন সিদ্ধ স্বরসন্ধি বলে।

যেমন-

স্বর= স্ব+ ঈর

গবেন্দ্র= গো+ ইন্দ্র

বারেক= বার+ এক

অর্ধেক= অর্ধ+ এক

গবাক্ষ= গো+ অক্ষ

কুলটা= কুল+অটা

অন্যান্য= অন্য+অন্য

শুদ্ধোধন= শুদ্ধ+ ওদন

সীমান্ত= সীমা+ অন্ত

হরিশ্চন্দ্র= হরি+ চন্দ্র

মনীষা=মনষ+ ঈষা

সারঙ্গ= সার+ অঙ্গ

ব্যঞ্জনসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।

ব্যঞ্জনসন্ধির প্রকারভেদ

ব্যঞ্জনসন্ধি সাধারণত দুই রকম যথা-

১) পাতন সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি

২) নিপাতন সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি

ব্যঞ্জনসন্ধি কোন নিয়মে চলে ?

ক) চ্ কিংবা ছ্ পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে চ্ হয়।

যেমন-

উচ্ছেদ= উৎ+ ছেদ

চলচ্চিত্র= চলৎ+ চিত্র

খ) স্বরবর্ণের পর ছ থাকলে ‘ছ’ হয়।

যেমন-

পরিচ্ছেদ= পরি+ ছেদ

আচ্ছাদন= আ+ ছাদন

গ) জ্ কিংবা ঝ্ পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে জ্ হয়।

যেমন-

উজ্জ্বল= উৎ+ জ্বল

যাবজ্জীবন= যাবৎ+ জীবন

$ads={2}

ঘ) বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ বর্ণ, য, র, ল, ব, হ পরে থাকলে পরের অন্তর্হিত বর্গের প্রথম বর্ণের স্থানে সেই বর্গের তৃতীয় বর্ণ হয়।

যেমন-

জগদীশ= জগৎ+ ঈশ

দিগন্ত= দিক্+ অন্ত

ঋগ্বেদ= ঋক্+ বেদ

বাগ্ ধারা= বাগ্+ ধারা

উদ্বেগ= উৎ+ বেগ

ঙ) বর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ণ কিংবা ‘স’ থাকলে বর্গের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ণের স্থানে বর্গের প্রথম বর্ণ হয়।

যেমন-

বিপৎকাল= বিপদ্+ কাল

ক্ষুৎপিপাসা= ক্ষুধ্+ পিপাসা

চ) ত কিংবা দ-এর পরে হ থাকলে ত ও দ-এর স্থনে দ্ এবং হ-এর স্থনে ধ হয়।

 যেমন-

পদ্ধতি= পদ্+ হতি

উদ্ধার= উৎ+ হার

ছ) ট্ কিংবা ঠ্ পরে থক্লে ত্ ও দ্ স্থনে ট্ হয়।

যেমন-

শ্রীমট্ঠক্কুর= শ্রীমৎ+ ঠাকুর

বৃহট্টীকা= বৃহৎ+ টীকা

জ) চ্ কিংবা জ্-এর পর ন্ থাকলে ন্ স্থানে ঞ হয়।

যেমন-

যঞ্জ= যঞ্জ+ ন

রাঞ্জী= রাজ+ নী

ঝ) ত্ কিংবা দ্-এর পরে ল্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে ল্ হয়।

যেমন-

উল্লাস= উৎ+ লাস

উল্লেখ= উৎ+ লেখ

ঞ) ড্ কিংবা ঢ্ পরে থাকলে ত্ ও দ্ স্থনে ড্ হয়।

যেমন-

উড্ডীন= উৎ+ ডীন

মহঢক্কা= মহৎ+ ঢক্কা

ট) ন্ বা য্ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ত্ ও দ্ স্থানে ন্ এবং ক স্থনে ঙ হয়।

যেমন-

জগন্নাথ= জগৎ+ নাথ

চিন্ময়= চিৎ+ ময়

ঠ) ত্ কিংবা দ্-এর পর শ থাকলে ত্ ও দ্-এর স্থানে চ্ এবং শ স্থনে ছ্ হয়।

যেমন-

উচ্ছ্বাস= উৎ+ শ্বাস

তচ্ছব্দ= তদ্+শব্দ

ড) ষ্-এর পর ত্ কিংবা থ্ থাকলে ত্ স্থানে ট্ এবং থ্ স্থনে ঠ হয়।

যেমন-

ষষ্ঠ= ষষ+ ঠ

বৃষ্টি= বৃষ+ তি

ঢ) অন্তস্থবর্ণ-য, র, ল, ব, কিংবা উষ্মবর্ণ- শ, ষ, স, হ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ‘ম’ স্থানে অনুস্বার হয়।

যেমন-

সংসার= সম্+ সার

সংবাদ= সম্+বাদ

সংলাপ= সম্+ লাপ

কিংবা= কিম্+ বা

সংযোগ= সম্+ যোগ

প্রিয়ংবদা= প্রিয়ম্+ বদা

ণ) সম ও পরি উপসর্গের পর ক ধাতু নিস্পন্ন পদ থাকলে ওই দুটি উপসর্গের পর স ও ষ- এর আগত হয়।

যেমন-

সংস্কৃত= সম্+ কৃত

সংস্কার= সম্+ কার

$ads={1}

নিপাতন সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে সব ব্যঞ্জনসন্ধি কোনো নিয়ম মেনে চলেনা তাদেরকে নিপাতন সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।

যেমন-

আশ্চর্য= আ+ চর্য

বৃহস্পতি= বৃহৎ+ পতি

তস্কর= তৎ+কর

বনস্পতি= বন+ পতি

একাদশ= এক্+দশ

সম্রাট= সম্+রাট

ষোড়শ= ষট্+ দশ

আস্পদ= আ+পদ

বিসর্গসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বিসর্গের সঙ্গে স্বরবর্ণ কিংবা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনে যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে।

যেমন- নমস্কার= নমঃ+ কার। ততধিক= ততঃ+ অধিক। নিস্কর= নিঃ+ কর।

বিসর্গসন্ধির প্রকারভেদ-

বিসর্গসন্ধি সাধারণত দুই রকম যথা-

১) পাতন সিদ্ধ বিসর্গসন্ধি

২) নিপাতন সিদ্ধ বিসর্গসন্ধি

নিয়মাবলি-

ক) অ-কার ভিন্ন স্বরবর্ণ পরে থাকলে অ-কারের পরের স-জাত বিসর্গের লোপ হয়।

যেমন-

অতএব= অতঃ+এব

শিরউপরি= শিরঃ+ উপরি

খ) বিসর্গের পর ট্ কিংবা ঠ্ থাকলে ট্ স্থানে ষ্ হয়।

যেমন-

নিষ্ঠুর= নিঃ+ ঠুর

গ) বিসর্গের পর চ্ কিংবা ছ্ থাকলে বিসর্গ স্থানে শ্ হয়।

যেমন-

নিশ্চয়= নিঃ+চয়

নিশ্চিত= নিঃ+চিত

শিরচ্ছেদ= শিরঃ+ ছেদ

নিশ্চল= নিঃ+ চল

ঘ) বিসর্গের পর ত্ কিংবা থ্ থাকলে বিসর্গ স্থানে স্ হয়।

যেমন-

ইতস্তত= ইতঃ+ততঃ

নিস্তার= নিঃ+ তার

নভস্তল= নভঃ+ তল

দুঃস্থ= দুঃ+থ

ঙ) ক, খ, প, ফ পরে থাকলে অ বা আ-এর পরিস্থিত বিসর্গ স্থানে স্ হয়। ই বা উ-এর পরিস্থিত বিসর্গ স্থানে ষ্ হয়।

যেমন-

নমস্কার= নমঃ+ কার

আবিস্কার= আবিঃ+ কার

নিষ্পাপ= নিঃ+ পাপ

ভাস্কর=  ভাঃ+কর

চ) অ-কারের পরের র-জাত বিসর্গ অথবা ই-কার বা উ-কারের পরের বিসর্গের প স্বরবর্ণ তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম বর্ণ অথবা য, ল, ব, হ থাকলে বিসর্গ স্থানে র্ হয়।

যেমন-

নির্যাতন= নিঃ+ যাতন

বহির্গমন= বহিঃ+ গমন

ছ) ই-কার বা উ-কারের পরের বিসর্গের পর র্ থাকলে বিসর্গের লোপ হয় এবং পূর্বস্বর দীর্ঘ হয়।

যেমন-

নীরব= নিঃ+রব

নীরোগ= নিঃ+ রোগ

নীরক্ত= নিঃ+রক্ত

জ) বিসর্গের পর বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম বর্ণ কিংবা য, র, ল, ব, হ পরে থাকলে অ-কার ও তার পরের বিসর্গ স্থানে ও-কার হয়।

যেমন-

তপোবন= তপঃ+ বন

মনোরম= মনঃ + রম

মনোযোগ= মনঃ+ যোগ

আধোগামী= অধঃ+ গামী

ঝ) বিসর্গের পর বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম বর্ণ কিংবা য, র, ল, ব, হ পরে থাকলে অ, আ ভিন্ন স্বরবর্ণের পরস্থিত বিসর্গ স্থানে য়্ হয়। এর র রেফ হয়ে পরবর্তী বর্ণের মাথায় যুক্ত হয়।

যেমন-

নির্জন= নিঃ+জন

দুর্লভ= দুঃ+ লভ

আবির্ভাব= আবিঃ+ভাব

নির্গত= নিঃ+গত

$ads={2}

নিপাতন সিদ্ধ বিসর্গসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও-

যে সব বিসর্গসন্ধি কোনো নিয়ম মেনে চলেনা তাদেরকে নিপাতন সিদ্ধ বিসর্গসন্ধি বলে।

যেমন-

মনীষা= মনঃ+ ঈষা

গোষ্পদ=গোঃ+ পদ

ভাস্কর= ভাঃ+কর

প্রাতঃকাল= প্রাতঃ+ কাল

আস্পদ= আঃ+ পদ

স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধির 200+ সন্ধি বিচ্ছেদ-

মিষ্টান্ন = মিষ্ট + অন্ন

গ্রন্থাগার = গ্রন্থ + আগার

মেঘাচ্ছন্ন = মেঘ + আচ্ছন্ন

যতীন্দ্র = যতি + ইন্দ্র

পারাবার = পার + আবার

সমাগম = সম্ + আগম

মহাশয় = মহা + আশয়

অবনীন্দ্র = অবনী + ইন্দ্র

শচীন্দ্র = শচী + ইন্দ্র

হীন্দ্র = মহী + ইন্দ্র

বিদ্যাভ্যাস = বিদ্যা + অভ্যাস

চরাচর = চর + অচর

অতীব = অতি + ইব

লঘূর্মি = লঘু + উর্মি

মরুদ্যান = মরু + উদ্যান

সর্বাঙ্গ = সর্ব + অঙ্গ

কথামৃত = কথা + অম্মৃত

অপেক্ষা = অপ + ঈক্ষা

নরেশ = নর + ঈশ

তৃষ্ণার্ত = তৃষ্ণা + ঋত

শোকার্ত = শোক + ঋত

শীতার্ত = শীত + ঋত

শিক্ষায়তন = শিক্ষা + আয়তন

সর্বোচ্চ = সর্ব + উচ্চ

নবোঢ়া = নব + ঊঢ়া

মহর্ষি = মহা + ঋষি

রাজর্ষি = রাজা + ঋষি

জনৈক = জন + এক

মহৈরোবত = মহা + ঐরাবত

মহৈশ্বর্য = মহা + ঐশ্বর্য

বনৌষধি = বন + ওষধি  

হৌষধি = মহা + ঔষধ

স্বাগত = সু + আগত

স্বল্প = সু + অল্প

মন্বন্তর = মনু + অন্তর

স্বর্ণ = সু + অর্ণ

অম্বয় = অনু + অয়

স্বস্তি = সু + অস্তি

প্রত্যাদেশ = প্রতি + আদেশ

প্রত্যাবর্তন = প্রতি + আবর্তন

প্রত্যহ = প্রতি + অহ

ব্যর্থ = বি + অর্থ

ব্যবহার = বি + অবহার

অগ্নুৎপাত = অগ্নি + উৎপাত

অত্যুচ্চ = অতি + উচ্চ

তম্বী = তনু + ঈ

অন্বেষণ = অনু + এষণ

অম্বিত = অনু + ইত

নয়ন = নে + অন  

চয়ন = চে + অন

গায়ক = গৈ + অক

নায়িকা = নৈ + ইকা

পবিত্র = পো + ইত্র

গবেষণা = গো + এষণা

মাত্রাদেশ = মাতৃ + উপদেশ

পিত্রিচ্ছা = পিতৃ + ইচ্ছা

পাবক = পৌ + অক

নাবিক = নৌ + ইক

দিল্লীশ্বরী = দিল্লী + ঈশ্বরী

হৃদয় = হৃৎ + অয়

গবাক্ষ = গো + অক্ষ  

বারেক = বার + এক

অর্ধেক = অর্ধ + এক

মনীষা = মনষ + ঈষা  

অন্ন = অদ্ + ন

কয়েকটা = ক + একটা

স্বার্থ = স্ব + অর্থ

ব্যগ্র = বি + অগ্র  

অন্যান্য = অন্য + অন্য

সদ্ব্যবহার = সৎ + অবহার

যথোপযুক্ত = যথা + উপযুক্ত  

ব্যাপ্ত = বি + অপ্ত

পর্যন্ত = পরি + অন্ত  

কিন্তু = কিম্ + তু  

উজ্জ্বল = উদ্ + জ্বল

প্রতিচ্ছবি = প্রতি + ছবি

প্রত্যহ = প্রতি + অহ

সৃষ্টি = সৃষ্ + তি  

পরস্পর = পর + পর  

ব্যবস্থা = বি + অবস্থা

কথোপকথন = কথা + উপকথন

দিগ্ভ্রম = দিক্ + ভ্রম

সম্পূর্ণ = সম্ + পূর্ণ

সাবধান = স + অবধান

দ্রব্যাদি = দ্রব্য + আদি

রাঞ্জী = রাজ + নী

পদ্ধতি = পদ + হতি

উদ্ধার = উৎ + হার

আচ্ছন্ন = আ + ছন্ন

উদ্ভিদ = উদ্ + ভিদ

কান্না = কাঁদ + না

আশ্চর্য = আ + চর্য

পুষ্টি = পুষ্ + তি

ব্যবহৃত = বি + অবহৃত

তচ্ছব্দ = তদ্ + শব্দ

ষন্মাস = ষট্ + মাস

মৃন্ময় = মৃৎ + ময়

অরণ্য = ঋ + অন্য

প্রজ্বলন্ত = প্র + জ্বল + অন্ত

দ্বিকবিদিক = দিক্ + বিদিক

অদ্ভুত = অৎ + ভূত

দুষ্ট = দুষ্ + ত

$ads={1}

উদ্যোগ = উদ্ + যোগ

উচ্চারণ = উদ্ + চারণ

পর্যবেক্ষণ = পরি + অব + ঈক্ষণ

প্রত্যুত্তর = প্রতি + উত্তর

পদার্থ = পদ্ + অর্থ

স্বাধীন = স্ব + অধীন

উল্লঙ্ঘন = উদ্  + লঙ্ঘন

উড্ডীন = উদ্ + ডীন

কুজ্ঝটিকা = কুৎ + ঝটিকা

উৎকৃষ্ট = উৎকৃষ্ + ত

আষ্পদ = আ + পদ

ষোড়শ = ষট্ + দশ

বিসর্গসন্ধি

দুশ্চিন্তা = দুঃ + চিন্তা

ইতস্তত = ইতঃ + ততঃ

 নভোমণ্ডল = নভঃ + মণ্ডল

তপবন = তপঃ + বন

 প্রাতরাশ = প্রাতঃ + আশ

 অতএব = অতঃ + এব

 ভাস্কর = ভাঃ + কর

 নমস্কার = নমঃ + কার

 পুরষ্কার = পুরঃ + কার

 নীরব = নিঃ + রব

চক্ষূরোগ = চক্ষুঃ + রোগ

বক্ষস্থল = বক্ষঃ + স্থল

 নিরুপাম = নিঃ + উপম

নির্গুণ = নিঃ + গুণ

দুরাচার = দুঃ + আচার

দুর্বল = দুঃ + বল

 রক্ষোবর = রক্ষঃ + বর

 মনোহর = মনঃ + হর

নিরালয় = নিঃ + আলয়

 নির্জন = নিঃ + জন

 নির্ভয় = নিঃ + ভয়

 নিঃশব্দ = নিঃ + শব্দ

 দুঃস্বপ্ন = দুঃ + স্বপ্ন

 নির্ণয় = নিঃ + নয়

নিশ্চিত = নিঃ + চিত

দুর্ভিক্ষ = দুঃ + ভিক্ষ

 নিষ্ঠুর = নিঃ + ঠুর

বহির্গত = বহিঃ + গত

নিরাপদ = নিঃ + আপদ

তিরস্কার = তিরঃ + কার

চতুর্দিক = চতুঃ + দিক

নিরন্তর = নিঃ + অন্তর

নির্গত = নিঃ + গত

দুর্দিন = দুঃ + দিন

অন্তর্ধান = অন্তঃ + ধান

নির্বোধ = নিঃ + বোধ

নির্লজ্জ = নিঃ + লজ্জ

দুর্বাক্য = দুঃ + বাক্য

দুর্ঘটনা = দুঃ + ঘটনা

উপস্থিত = উপঃ + থিত

নিঃশ্বাস = নিঃ + শ্বাস

মনোযোগ = মনঃ + যোগ

দুর্ভোগ = দুঃ + ভোগ

নিরাপত্তা = নিঃ + আপত্তা

নিস্তেজ = নিঃ + তেজ

নির্ধারণ = নিঃ + ধারণ

আন্তর্জাতিক = আন্তঃ + জাতিক

অহরহ = অঃ + অহঃ

আবির্ভাব = আবিঃ + কার

দুরাত্মা = দুঃ + আত্মা

অধোগামী = অধঃ + গামী

অধোগতি = অধঃ + গতি

নিষ্পাপ = নিঃ + পাপ

আবিষ্কার = আবিঃ + কার

নিশ্চল = নিঃ + চল

শিরশ্ছেদ = শিরঃ + ছেদ

 ততোধিক = ততঃ + ধিক

$ads={2}

সন্ধি করে পাশে লেখোঃ (M. C. Q)

১) অবনী + ইন্দ্র =

২) সু + আগত =

৩) জন +এক =

৪) ছেলে + আমি =

৫) মহা + উৎসব =

৬) শচী + ইন্দ্র =

৭) দেব + ঋর্ষি =

৮) রমা + ঈশ =

৯) অনু + এষণ =

১০) নৈ + অক =

১১) গো + ইন্দ্র =

১২) বার + এক =

১৩) তনু + ঈ =

১৪) পিতৃ + আলয় =

১৫) ভৌ + উক =

১৬) মহা + ওষধি =

১৭) প্রতি + অহ =

১৮) ইতি + আদি =

১৯) মুখ + ছবি =

২০) উৎ + জ্বল =

২১) উৎ + যোগ =

২২) তৎ + টীকা =

২৩) অহঃ + রাত্র =

২৪) উৎ + লাস =

২৫) পদ্ + হতি =

২৬) সম্ + ন্যাস =

২৭) উৎ + শৃঙ্খল =

২৮) কৃষ + তি =

২৯) হরি + চন্দ্র =

৩০) দুঃ + ছেদ =

   উত্তর

১)অবনীন্দ্র  ২) স্বাগত ৩) জনৈক  ৪)ছেলেমি ৫)মহোৎসব   ৬) শচীন্দ্র ৭) দেবর্ষি ৮) রমেশ ৯) অন্বেষণ ১০) নায়ক ১১) গবেন্দ্র ১২) বারেক ১৩) তন্বী ১৪) পিত্রালয় ১৫) ভাবুক ১৬) মহৌষধি১ ৭) প্রত্যহ ১৮) ইত্যাদি ১৯) মুখচ্ছবি ২০) উজ্জ্বল ২১) উদ্যোগ ২২) তট্টীকা ২৩) অহোরাত্র ২৪) উল্লাস ২৫) পদ্ধতি ২৬) সন্ন্যাস ২৭) উচ্ছৃঙ্খল ২৮) কৃষ্টি ২৯) হরিশ্চন্দ্র ৩০) দুশ্ছেদ

সন্ধি বিচ্ছেদ করে পাশে লেখোঃ

১) নবান্ন =

২) কারাগার =

৩) দেবেন্দ্র =

৪) স্বেচ্ছা =

৫) আশ্চর্য =

৬) পর্যন্ত =

 ৭) সন্দেশ =

৮) ব্যবস্থা =

৯) মিঠাই =

১০) মহোদয় =

১১) ক্ষুধার্ত =

১২) দৃষ্টি =

১৩) ন্যূন =

১৪) স্বল্প =

১৫) মাত্রাদেশ =

১৬) ভবন =

১৭) নিস্তার =

১৮) বনস্পতি =

১৯) মনীষা =

২০) আচ্ছাদন =

২১) স্তাবক =

২২) উল্লেখ =

২৩) কর্ত্রী =

 ২৪) নদ্যাদি =

২৫) শ্রীশ =

২৬) বাগ্ ধারা =

২৭) সংশয় =

২৮) চেষ্টা =

 ২৯) বরঞ্চ =

৩০) উদ্ভিদ =

উত্তর- 

১) নব + অন্ন ২) কারা +আগার ৩) দেব + ইন্দ্র ৪) স্ব + ইচ্ছা ৫) আ + চর্য ৬) পরি + অন্ত ৭) সম্ + দেশ ৮) বি + অবস্থা ৯) মিঠা + আই ১০) মহা + উদয় ১১) ক্ষুধা + ঋত ১২) দৃষ্ + তি ১৩) নি + ঊন ১৪) সু + অল্প ১৫) মাতৃ + আদেশ ১৬) ভো + অন ১৭) নিঃ + তার ১৮) বন + পতি ১৯) মনস্ + ঈষা ২০) আ + ছাদন ২১) স্তৌ +অক ২২) উৎ + লেখ ২৩) কর্তৃ + ঈ ২৪) নদী + আদি ২৫) শ্রী + ঈশ ২৬) বাক্ + ধারা ২৭) সম্ + শয় ২৮) চেষ্ + তা ২৯) বরম্ + চ ৩০) উদ্ + ভিদ

 যদি সন্ধি সম্পর্কে তোমাদের কোনো অসুবিধা থাকে, তাহলে তোমরা নিচে Comment Box এ গিয়ে Comment করতে পারো। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার।

আমাদের Article ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও Subscribe করতে পারো। যাতে তোমাদের অনুপ্রেরনাকে পাথেয় করে আরো নিত্যনতুন বিষয়ের উপর সহজতর, বোধগম্য ও চিত্তাকর্ষক লেখনী নিয়ে হাজির হতে পারি। ততক্ষন তোমরা সুস্থ থাকো, ভালো থেকো এবং এভাবেই পড়তে থাকো।

ধন্যবাদ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

          

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Mehemud Ali

Mehemud Ali, an expert faculty of Bengali Grammar and Geography, love to teach.

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post