Ekla | Class 5 Bengali Ekla Sonkho Ghosh / ক্লাস 5 বাংলা কবিতা একলা শঙ্খ ঘোষ

একলা শঙ্খ ঘোষ
একলা শঙ্খ ঘোষ 


Class 5 Bengali Ekla Sonkho Ghosh 

Ekla Kobitar Prosno Uttor 

WBBSE Class 5 Bengali

পঞ্চম শ্রেণি বাংলা  প্রশ্ন উত্তর

একলা শঙ্খ ঘোষ পাঠের পড়া 


একলা

শঙ্খ ঘোষ 

আমি যখন একলা থাকি

তখন কি আর একলা থাকি

জানো তখন সঙ্গে থাকে কারা?

থাকে সবুজ গাছপালা আর

তার ভিতরে চলে যাওয়ার

পথও থাকে, ঠিক যদি দিই সাড়া।

একটা আছে কাঠবেড়ালি

আমার দিকে তাকায় খালি

এদিক-ওদিক টানতে থাকে আমায়—

যেই-না তাকে ধরতে যাব

ভুলিয়ে দেয় সব হিসাব ও

ছুট দেয় আর কেই-বা তখন থামায় !

সেই ছুটে ছুট লাগাই জোরে এই মাটিতে এই পাথরে

  কদ্দূরে-  কেউ জানতে পারে না তা  

মস্ত আশীর্বাদের মতো

মাথার উপর ইতস্তত

গাছের থেকে ঝরতে থাকে পাতা।

তখন আমি একলা তো নই

থাকে না আর দুঃখ কোনোই

শালবনে বা তালসুপুরির বনে

ঘর-বার সব এক হয়ে যায়

চুপ-থাকাটাও বাজনা বাজায়

তখন আমার একলা মনের কোণে।


 

একলা কবিতার কবি পরিচিতি- 

$ads={1}

শঙ্খ ঘোষ (জন্ম ১৯৩২) : বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক। জন্ম চাঁদপুর, বাংলাদেশ। প্রথম কাব্যগ্রন্থ “দিনগুলি রাতগুলি'। এছাড়াও লিখেছেন 'নিহিত পাতাল ছায়া', 'বাবরের প্রার্থনা’, ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ ইত্যাদি। ছোটোদের জন্য লিখেছেন— ‘ছোট্ট একটা ইস্কুল’, ‘অল্পবয়স কল্পবয়স’, ‘শব্দ নিয়ে খেলা, ‘সকাল বেলার আলো”, ‘সুপুরি বনের সারি', 'শহর পথের ধুলো' ইত্যাদি। প্রবন্ধের বই হিসেবে 'কালের মাত্রা ও রবীন্দ্র নাটক', 'ছন্দোময় জীবন' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। পাঠ্য কবিতাটি তাঁর ' আমায় তুমি লক্ষ্মী বলো' কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে।

একলা কবিতার প্রশ্ন-উত্তর

হাতে কলমে 

👉১. নিজের ভাষায় লেখো :

১.১ তুমি কখন একলা থাকো?

উত্তরঃ - যখন আমার বাড়িতে কেউ থাকেনা, আর আমার স্কুল সেদিন ছুটি থাকে তখন আমি একলা থাকি।

১.২ সবুজ গাছপালায় ছাওয়া পথ তুমি কোথায় দেখেছ? সে পথে চলতে তোমার কেমন লেগেছে?

উত্তর- সবুজ গাছপালায় ছাওয়া পথ আমি গ্রামে দেখেছি। সে পথে চলতে আমার ভালো লেগেছে।

 ১.৩ কত রঙের, কত রকমের পাথর তুমি দেখেছ?

উত্তর- সাদা, কালো, হলুদ, সবুজ, হরেক রকমের পাথর আমি দেখেছি।


১.৪ গাছের থেকে কোন ঋতুতে পাতা ঝরে? কোন কোন গাছ থেকে পাতা ঝরতে তুমি দেখেছ?

উত্তর- গাছের থেকে হেমন্ত শীত ঋতুতে পাতা ঝরে, বট, অশ্বত্থ গাছ থেকে পাতা ঝরতে আমি দেখেছি।


১.৫ গাছ আমাদের কী কী দেয় তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।

উত্তর- গাছ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে। গাছ আমাদের ছায়া দেয়। গাছ আমাদের জ্বালানি সরবরাহ করে। গাছে বহু পাখি বাসা বাধে। গাছ আমাদেরকে ফুল ফল দেয়।

১.৬ পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় ‘শালবনা রয়েছে? শালপাতাকে মানুষ কী কী ভাবে ব্যবহার করে?

উত্তর- পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলায় শালবন রয়েছে। শালপাতাতে মানুষ খাবার প্লেট তৈরি করে এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে।

১.৭ ‘বাজনা' শব্দটা শুনলে তোমার চোখে কোন কোন ছবি ভেসে ওঠে? কোন কোন বাজনার নাম তুমি জানো? কোন কোন বাজনা বাজতে দেখেছ তুমি?

উত্তর- ‘বাজনা’ শব্দটি শুনলে আমার চোখে দুর্গাপুজোর ঢাক, কালী পূজার ঢাক ছবি ভেসে ওঠে আমি ঢাক, ঢোল ইত্যাদি বাজনা নাম জানি । আমি ঢাক, ঢোল তবলা বাজাতে দেখেছি।

$ads={2}

👉২. নীচের কথাগুলো তুমি মুখে বললে যেভাবে বলতে, সেইভাবে সাজিয়ে লেখো :

২.১ ভুলিয়ে দেয় সব হিসাব ও
উত্তর- ও সব হিসাব ভুলিয়ে দেয়।
২.২ থাকে না আর দুঃখ কোনোই
উত্তর- আর কোনোই দুঃখ থাকে না।
২.৩ ঠিক যদি দিই সাড়া
উত্তর- যদি ঠিক সাড়া দিই।
👉৩. নীচের এলোমেলো শব্দগুলো সাজিয়ে দেখো চেনা চেহারা পায় কিনা :
উত্তর-
পু রি তা সু ল- তালসিপারি 

লি ড়া কা বে ঠ- কাঠবেড়ালি

লা পা ছ গা- গাছপালা

ত ত স্ত ই- ইতস্তত

শব্দার্থ : ইতস্তত-এখানে-ওখানে।

👉৪. ‘এদিক-ওদিক'— এই কথাটায় এক ধরনের শব্দেরা যেমন পাশাপাশি বসে আছে, সেইরকম পাশাপাশি বসে থাকা শব্দ পারলে নিজেই লেখো, নয়তো খুঁজে নাও শব্দঝুড়ি থেকে।

উত্তর-

এপার-    ওপার

একাল-    সেকাল

ওখানে-    সেখানে

এখানে-    ওখানে

এরকম-    সেরকম

👉৫. 'ঘর-বার' এইরকম পাশাপাশি বসে থাকা উল্টো কথা তুমি ক'টা জানো লেখো।
উত্তর- ছোটো- বড়ো, আগা- গোড়া, উপর- নীচ, এদিক- ওদিক।

$ads={1}


👉৬. শব্দঝুড়ি থেকে খুঁজে বার করো নীচের কোন শব্দটার সঙ্গে কোন শব্দটার বিপরীত সম্পর্ক আছে :
উত্তর-

মস্ত :    ছোট্ট

দুঃখ :    সুখ

আশীর্বাদ :    অভিশাপ

👉৭. নীচের দাগ দেওয়া শব্দগুলো দেখে বিশেষ্য বিশেষণ আলাদা করে লেখো :

উত্তর-
৭.১ আমি যখন একলা থাকি.....একলা ( বিশেষণ )

৭.২ থাকে সবুজ গাছপালা.....সবুজ ( বিশেষণ )

৭.৩ মস্ত আশীর্বাদের মতো মাথার উপর ইতস্তত.....মাথার ( বিশেষ্য )

৭.৪ গাছের থেকে ঝরতে থাকে পাতা---পাতা ( বিশেষ্য )

👉৮. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলোকে বিশেষণে বদলালে কী হবে :
উত্তর-
গাছ :    গেছো

বন:    বুনো

দুঃখ:    দুঃখিত    

পাথর:    পাথুরে

মাটি :    মেঠো

$ads={2}

👉৯.১ তুমি যখন একলা থাকো, তখন তোমার কেমন লাগে ? মন খারাপ লাগে / ভয় করে / ভালোই লাগে / ইচ্ছে করে অন্তত একজন-দুজন প্রিয় বন্ধু সঙ্গে থাকুক

এইগুলোর কোনোটা যদি তোমার মনে হয়, তবে সেই কথাটাই নীচের বাক্যে লেখো, কিংবা, এগুলো ছাড়া

আরো অন্য কোনো কথাই যদি মনে আসে, তবে লেখো সেই কথাটাই : আমি যখন একলা থাকি, তখন আমার
উত্তর- আমি যখন একলা থাকি তখন আমার মন খারাপ লাগে

৯.২ কোন গাছ তোমার সবচেয়ে পছন্দের? সে গাছ কি তুমি দেখেছ?

কেন ওই গাছকেই সবচেয়ে ভালো লাগে তোমার ?

গাছটাকেই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কারণ
উত্তর- গাছতাকেই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কারন-গাছটা মানুষকে ছায়া প্রদান করে।

৯.৩ কেমন বন্ধু তোমার ভালো লাগে?

উত্তর- আমার ভালো লাগবে যদি আমার বন্ধু হয় হাসি-খুশি, খলামেলা মনের হয়।

👉১০.১  কবি শঙ্খ ঘোষের প্রথম কবিতার বই কোনটি?

উত্তর- কবি শঙ্খ ঘোষের প্রথম কবিতায় বই ‘ দিনগুলি রাতগুলি’।

১০.২ তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর- তার লেখা দুটি ছোটদের বইয়ের নাম ‘শব্দ নিয়ে খেলা’ ‘ছোট্ট একটা স্কুল’।

১০.৩  'একলা' কবিতাটি তাঁর কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তর- একলা কবিতাটি তার ‘আমার তুমি লক্ষী বলো’  কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
👉১১. নিজের ভাষায় লেখো :

১১.১ কবি যখন একলা থাকেন, তখন তাঁর সঙ্গে কারা থাকে ?

উত্তর- কবি যখন একলা থাকেন, তখন তার সঙ্গে সবুজ গাছপালারা থাকে।

১১.২ কবিতায় বর্ণিত কাঠবেড়ালিকে ধরতে পারার চেষ্টায় কবি সফল হন কি? 

উত্তর- কবিতায় বর্ণিত কাঠবেড়ালিকে ধরতে পারার চেষ্টায় কবি সফল হননি, কবি ধরতে গেলে কাঠবেড়ালি ছুটে চলে যায়।

১১.৩ কবি কোন বিষয়কে 'মস্ত আশীর্বাদ ' বলেছেন?

উত্তর- গাছের থেকে মাথার উপর ইতস্তত পাতা নিক্ষেপকে বা এই বিষয়কে কবি ‘মস্ত আশীর্বাদ’ বলেছেন।

$ads={1}

১১.৪ কবির মনে কখন আর কোনো দুঃখই থাকে না?

উত্তর- কবি যখন কাঠবেড়ালিকে দৌড়ে ছুটে গিয়েও ধরতে পারেন না, তখন আশীর্বাদ স্বরূপ পাতা কবির মাথার ওপর ঝরতে থাকে, তখন কবির মনে আর কোন দুঃখই থাকে না।

১১.৫ চুপ-থাকাটাও কীভাবে কবির মনে বাজনা বাজায় ?

উত্তর- শালবন বনে যখন ঘর বাহির সব এক হয়ে যায় তখন কবির একলা মনের কোণে চুপ করে থাকাটা বাজনা বাজায়।

১১.৬ মনে করো একদিন তুমি বাড়িতে একলা ছিলে। সারাদিন তুমি যা যা করেছ দিনলিপির আকারে লেখো।

উত্তর- সারাদিন একলা বাড়িতে আমি ঘুম থেকে উঠে চা খেয়ে পড়তে বসলাম। পড়া শেষ করে মাঠে খেলতে গেলাম। সেদিনই স্কুল ছিল না খেলে এসে স্নান খাওয়া করে একটু টিভি দেখলাম। তারপর উঠে খেলা গ্রাউন্ডে গিয়ে খেলা করলাম। সন্ধ্যায় ফিরে এসে পড়তে বসলাম। পড়া শেষ করে খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপর গল্পবই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়লাম।

১১.৭ পরিবারে কে কে তোমার সঙ্গে থাকেন?

উত্তর- আমার পরিবারের সঙ্গে থাকেন মা, বাবা, ভাই, ঠাকুমা, জেঠিমা, জেঠু, ঠাকুরদা।

১১.৮ স্বাধীনভাবে তোমাকে ছুটে যেতে দেওয়া হলে তুমি কোথায় যেতে চাইবে?

উত্তর- স্বাধীনভাবে আমাকে ছুটে যেতে দিলে আমি ফুটবল মাঠে যেতে চাইবো।
১১.৯ ‘কাঠবেড়ালি' নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের খুব সুন্দর একটা ছড়া আছে। শিক্ষকের থেকে শুনে নিয়ে খাতায় লিখে রাখো।
উত্তর-
খুকী ও কাঠবিড়ালি

কাজী নজরুল ইসলাম

কাঠবেড়ালি ! কাঠবেড়ালি ! পেয়ারা তুমি খাও?

গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি লেবু? লাউ?

বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর- ছানা? তাও?-

 $ads={2}

ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,

খাও একা পাও যেথায় যেটুক!

বাতাবি-নেবু সকলগুলো

একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস চাও?

ছোঁচা তুমি ! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার ! যাও!

১১.১০ জগদীশচন্দ্র বসু আমাদের শিখিয়েছেন যে, 'গাছেরও প্রাণ আছে।’– তুমি একথা কীভাবে বুঝতে পারো?

উত্তর- জগদীশচন্দ্র বসুর কাছে আমরা শিখেছি- যেমন ক্যাকটাস জাতীয় গাছ নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য গায়ে কাঁটাগুলিকে প্রাণপণ রক্ষা করে, লজ্জাবতী গাছ লতায় গায়ে হাত দিলে সে পাতা গুটিয়ে নেই। গাছে নিয়মিত জল না দিলে গাছের পাতা সবুজ থেকে ধূসর হয়ে যায়। এইসবের ভিতর দিয়ে জগদীশচন্দ্র বসু আমাদেরকে শেখানোর কথা বলেছেন গাছেরও প্রাণ আছে।

১১.১১ তোমার পরিবেশে তুমি কোন কোন কীটপতঙ্গ/ পশু পাখি নজর করেছ?

উত্তর- আমার পরিবেশে আমি মশা-মাছি, পিঁপড়ে, ফড়িং প্রভৃতি কীটপতঙ্গ। কুকুর, ছাগল, ভেড়া, গরু, বেড়াল, ঘোড়া ইত্যাদি পশু। টিয়া, কাক, চড়ুই, শালিক, চন্দনা, পায়রা এসব পাখি নজর করেছে।

১১.১২ তোমার প্রতিদিনের চলার পথটি কেমন? সে পথের দু'পাশে তুমি রোজ কী কী দেখো তা বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করো। খাতায় দুজনের কথাবার্তার আদলে লেখো।


Newton Hossain

Newton Hossain, the founder of this blog, is a Lecturer of the English Language and also loves to explain Life science and Geography.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post