Madhyamik 2022 History Suggestion All 2 Marks Question and Answer | মাধ্যমিক ২০২২ ইতিহাসের ২ নম্বর প্রশ্নোত্তর সাজেশন

Madhyamik 2022 History Suggestion
Madhyamik 2022 History Suggestion  
Madhyamik 2022 History All 2 Marks Question and Answer Suggestion 

মাধ্যমিক ২০২২ ইতিহাসের ২ নম্বর প্রশ্নোত্তর  সাজেশন 

WBBSE Madhyamik 2022 History Suggestion 

Class 10 Madhyamik History  Suggestion 2022


মাধ্যমিক ইতিহাস ২০২২

বিভাগ-গ

 দুটি বা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো ১১টি )

১।স্থানীয় ইতিহাস চর্চা কেন গুরুত্বপূর্ণ? 

 উত্তর-  স্থানীয় ইতিহাসচর্চা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ,

i) এর মাধ্যমে স্থানীয় অঞ্চলের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে  তথ্যাবলী পাওয়া যায়।

ii) স্থানীয় মানুষ নিজেদের অঞ্চলের প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জেনে নিজেদেরকে উন্নত করতে পারে।

iii) স্থানীয় ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী মানসিকতায় সৃষ্টি হয়।

২.সরকারি নথিপত্র আধুনিক ইতিহাস চর্চায় কতটা মূল্যবান তথ্য পরিবেশন করে?

 উত্তর-  i) সরকারি প্রতিবেদন : সরকারের কর্মচারী, পুলিশ বা গোয়েন্দারা বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবেদন পেশ করত সরকারের কাছে। এই প্রতিবেদন থেকে তৎকালীন বিপ্লবী কার্যকলাপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি  জানা যায়।

ii) চিঠিপত্রের আদান-প্রদান : সরকারি ব্যবস্থায়  বিশেষত প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসনকর্তাদের চিঠিপত্রের আদান-প্রদান ঘটত। বাঙালিদের রাজনৈতিক ঐক্য ভাঙার জন্য লর্ড কার্জন যে চক্রান্ত করেছিলেন তা সরকারি চিঠিপত্র থেকে জানা যায়।

৩. সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রের মধ্যে পার্থক্য কি?

 উত্তর-  সংবাদ পত্র নিয়মত প্রকাশ হয়। কিন্তু সাময়িক পত্র নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রকাশিত হয় । সাময়িক পত্র বিজ্ঞাপন, ক্রয়মূল্য বা চাঁদা থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে থাকে । সংবাদপত্র স্বল্প মূল্যের কাগজে প্রকাশিত হয়। সাময়িকপত্র ব্যয়বহুল । সংবাদপত্রে  নিম্ন মানের কালি ব্যবহার হয় । সাময়িক পত্রে উন্নত কালি এমনকি চিত্র ব্যবহার হয়। 

৪. পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে ডেভিড হেয়ারের ভূমিকা লেখো।

 উত্তর-  ভারতের ইতিহাসে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা  নিয়েছিলেন ডেভিড হেয়ার। 

i) ডেভিড হেয়ার আধুনিক ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন । এজন্য তিনি হিন্দু কলেজ, ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি, হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। 

ii) ডেভিড হেয়ার নারী শিক্ষা বিস্তারেও সচেষ্ট ছিলেন। এজন্য অনেক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। 

৫. ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ কেন বিভক্ত হল?

 উত্তর-  ১৮৭৮ সালে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ এর নিয়ম ভঙ্গ করে কেশবচন্দ্র সেন নিজের ১৪ বছরের কন্যার বিবাহ দিলে তাঁর সঙ্গে দলের চরম মত বিরোধ দেখা দেয়। মুলত এই কারণকে কেন্দ্র করেই ব্রাহ্মসমাজ এর কয়েকজন তরুণ এই সংগঠন ত্যাগ করে সাধারন ব্রাহ্মসমাজ গঠন করেন। 

৬ শ্রীরামকৃষ্ণ কীভাবে সর্বধর্ম সমন্বয় সাধন করেছিলেন?

 উত্তর-  উনিশ শতকে বাংলাদেশ খ্রিস্টান মিশনারী, ব্রাহ্মসমাজ ও ইয়ং বেঙ্গল দলের  চাপে ভারতের সনাতন ধর্মের অগ্রগতি প্রায় রুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে শ্রীরামকৃষ্ণ সহজ সরল ভাষা ও উপমার মাধ্যমে  সনাতন ধর্মের এক নতুন ধর্মীয় মতাদর্শ প্রচার করেন। এই মতাদর্শের মূল কথা হলো সর্বধর্ম সমন্বয় সাধন।
তার মতে, ঈশ্বর এক। তাঁকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন। যাগ-যজ্ঞ বা ধর্মীয় আড়ম্বরের মাধ্যমে নয়, কেবলমাত্র ভক্তির দ্বারাই ঈশ্বরকে পাওয়া সম্ভব, তা যে পথ ধরেই যাওয়া হোকনা কেন।
রামকৃষ্ণের এই সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রচারের ফলে বাংলায় জাতিভেদের কঠোরতা শিথিল হয় এবং  ধর্মীয় সমন্বয়ের আদর্শ শক্তিশালী হয়ে উঠে।

৭ সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ কেন ব্যর্থ হয়েছিল? 

 উত্তর-  i) ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ফকির ও সন্ন্যাসীদের ব্যর্থতার মূল কারণ ছিল তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও দৃঢ় নেতৃত্বের অভাব।  

ii)  ফকির মজনু শাহর মৃত্যুর পরে ফকিরদের মধ্যে নেতৃত্বের অভাব আন্দোলনকে দুর্বল করে দেয়। ফকির-সন্ন্যাসীরা কোনো এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিল না। ফলে বিদ্রোহীরা স্থানীয়দের সহযোগিতা সহানুভূতি পেতে ব্যর্থ হয়। তাছাড়া ফকির সন্ন্যাসীরা ইংরেজদের উন্নত, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, রণকৌশল, সামরিক প্রযুক্তির  কাছে প্রাণপণ লড়াই করেও হেরে যায়।

৮ নীল চাষিদের উপর নীলকরদের অত্যাচার সংক্ষেপে লেখো।

 উত্তর-  i) নীলকররা নীলচাষিদের নানাভাবে অত্যাচার করে নীলচাষ করতে বাধ্য করত। অনিচ্ছুক চাষিদের প্রহার করা, আটকে রাখা, স্ত্রী-কন্যার সম্মানহানি করা, ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া প্রভৃতি নানাভাবে চাষিদের অত্যাচার করত।
ii) সরকার  চাষিদের দাদন বা অগ্রিম অর্থ দিত। অভাবের সময় চাষিরা অগ্রিম নিত। একবার কেউ দাদন নিলে সে আর নীলচাষের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারত না।

iii) নীল কেনার সময় নীলের ওজন কম দেখাত, কম দামে নীল বিক্রি করতে বাধ্য করত, তাছাড়া জোর করে বিভিন্নভাবে অর্থ আদায় করত।

৯ মহাত্মনির ঘোষণা পত্রের' (১৮৫৮) গুরুত্ব লেখো। 

 উত্তর-  ☞মহারানীর ঘোষণাপত্রের গুরুত্বগুলি হল -

i)লর্ড ডালহৌসি প্রবর্তিত স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল করা হবে এবং দেশীয়  রাজারা দত্তক পুত্র গ্রহণ করতে পারবেন।

ii)ভারতবাসীর ধর্মীয় ও সামাজিক ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। 

iii)জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতবাসী যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারবেন।

iv)ব্রিটিশ সরকার ভারতে আর নতুন করে সাম্রাজ্য বিস্তার করবে না।

১০ 'হিন্দুমেলা' কেন ব্যর্থ হয়েছিল?

 উত্তর-   ভারতের জাতীয় চেতনায়  হিন্দু মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। তবে কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে হিন্দু মেলা ব্যর্থ হয় 

কারণ,

১) নবগোপাল মিত্র হিন্দু জাগরণের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা নতুন প্রজন্মের মানুষেরা সমর্থন করেনি।

২) শুধুমাত্র দেশাত্মবোধ প্রচারের উদ্যোগ সাধারণ মানুষের কাছে গুরুত্বহীন বলে মনে হয়েছিল।

১১ ভারতীয় জাতীয়তাবাদী ভাবধারার বিকাশে স্বামী বিবেকানন্দের ভূমিকা লেখো।

  উত্তর-  i)  দেশবাসীর উদ্দেশ্যে স্বামীজি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন। দেশকে স্বাধীন করার  জন্য স্বামীজি যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

ii) প্রকৃত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে তিনি রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। মিশনের আসল লক্ষ্য হল  বিশ্বব্যাপী অবহেলিত, শােষিত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত, অসহায় ও নিঃস্ব মানুষগুলির পাশে দাঁড়ানাে এবং তাদের দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা।

 ১২ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যাঙ্গচিত্রের উদ্দেশ্য কী ছিল?

 উত্তর-   i) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর  তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সমাজের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।তাঁর বিরূপ বজ্র, অদ্ভুত লোক, নবহুল্লোড় প্রভৃতি গ্রন্থে অংকিত ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তিনি ঔনইবেশিক বাঙালি সমাজের ইংরেজ প্রীতি, বাবু কালচার, ধনী ও অভিজাত শ্রেণির 'সাহেব' সাজার চেষ্টার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ii) তাঁর অঙ্কিত ব্যঙ্গচিত্র সে সময় বাঙালিদের মধ্যে ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। রসিক বাঙালি ব্যঙ্গচিত্রের রসাস্বাদনের  সাথে সাথে ঔপনিবেশিক সমাজব্যবস্থার কুফল সম্বন্ধে সচেতন হয়ে ওঠে। এটাই তাঁর ব্যঙ্গচিত্রের তাৎপর্য।

১৩ বাংলায় ছাপাখানা বিকাশে শ্রীরামপুর মিশনের ভূমিকা কী ছিল?

 উত্তর-  শ্রীরামপুর মিশনই ছিল বাংলার প্রথম স্বয়ং সম্পূর্ণ বৃহৎ মুদ্রন প্রতিষ্ঠান। এই মিশন থেকে প্রকাশিত অসংখ্য পাঠ্যপুস্তক সমকালীন সময়ে বাংলা বইয়ের চাহিদাকে বাড়িয়ে দিয়েছিলো, তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই পরবর্তীকালে ছাপাখানা খুলতে অগ্রসর হয়েছিলেন। শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে ৪০ টি ভাষায় দুই লক্ষ বারো হাজার বই ছেপে বের হয়েছিলো। ১৮১২ - ১৮১৪ খ্রিঃ মধ্যে মিশন প্রেসে ছাপা বাংলা ধর্মীয় পুস্তকের সংখ্যা ছিলো ৩৫,২৩৮ টি। এইভাবেই দেখা যায় কেরির অক্লান্ত পরিশ্রম, নিষ্ঠা আর উদ্যোগের ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রীরামপুর মিশন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাপার কারখানা হয়ে ওঠে।

১৪ গঙ্গা কিশোর ভট্টাচার্য কেন স্মরণীয় ? 

 উত্তর-   বাংলাদেশের  ছাপাখানার বিকাশে  গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য একটি উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি। তিনিই  প্রথম বাঙালি প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা। তিনিই  প্রথম ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল প্রকাশ করেছিলেন।ভারতের প্রথম সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট  প্রকাশিত হয় ১৭৮০ সালে। পরবর্তীকালে এই পত্রিকাটি গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

১৫ উনিশ শতকে কারিগরি শিক্ষার বিকাশে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশনের ভূমিকা লেখো।

 উত্তর-   স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনের পটভুমিকায় ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয়শিক্ষা পরিষদ, যার উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি নিয়ন্ত্রনমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা।  গুরুদাস ব্যানার্জি, সতীশ মুখার্জী, হীরেন দত্ত প্রমুখরা মনে করত জাতীয় শিক্ষা পরিষদ দেশের সব শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করবে অপরদিকে তারকনাথ পালিত নীলরতন সরকার মনিন্দ্র চন্দ্র নন্দী প্রমুখরা বিশ্বাস করতেন যে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের মূল লক্ষ্য হবে কারিগরি শিক্ষার বিস্তার। প্রথম দলের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ ও স্কুল এবং দ্বিতীয় দল ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দের ২৫ শে জুলাই তারকনাথ পালিতের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট । সে সময় কারিগরি শিক্ষার যে কর্মবর্ধমান চাহিদা তৈরি হয়েছিল তা পূরণ করতে পেরেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি।  

এইভাবে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা ও বিজ্ঞান চেতনার প্রসার ঘটে, এক্ষেত্রে উদ্যোগ ছিল সম্পূর্ণরূপে দেশীয়।

আরো নতুন প্রশ্ন প্রতিদিন যুক্ত হবে এই পেজে । তা পেতে চোখ রাখো আমাদের  ওয়েবসাইট-এ 

Newton Hossain

Newton Hossain, the founder of this blog, is a Lecturer of the English Language and also loves to explain Life science and Geography.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post