Model Activity Task Class 8 Part 7 Swaasthya o Sarir Shiksha |
Model Activity Task Class 8 Part 7 Swaasthya o Sarir Shiksha
Class 8 Model Activity Task Part 7 Swaasthya o Sarir Shiksha
Oct 2021 Model Activity Task Class 8
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক অষ্টম শ্রেণি স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক –২০২১
স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
অষ্টম শ্রেণি
|
উত্তর- কলেরা ও ডায়রিয়া জলবাহিত সংক্রামক ব্যাধি।
(খ) মিড-ডে মিলের রান্নার কাজে যুক্ত____________ পরিবেশনের আগে_____________ দিয়ে হাত ধুতে হবে।
(খ) মিড-ডে মিলের রান্নার কাজে যুক্ত____________ পরিবেশনের আগে_____________ দিয়ে হাত ধুতে হবে।
উত্তর- মিড-ডে মিলের রান্নার কাজে যুক্ত_মহিলাদের_ পরিবেশনের আগে_সাবান_ দিয়ে হাত ধুতে হবে।
(গ) _________ ও ___________ অসংক্রামক ব্যাধি।
(গ) _________ ও ___________ অসংক্রামক ব্যাধি।
উত্তর- উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগ অসংক্রামক ব্যাধি।
২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
(ক) স্বাস্থ্যবিধান বলতে কী বোঝ?
উত্তর- আমদের সকলের মলমূত্র এবং সবরকম বর্জ্য পদার্থের স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে অপসারণ করা এবং পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা হল স্বাস্থ্যবিধান ব্যবস্থা।
(খ) স্বাস্থ্যবিধানের উদ্দেশ্যগুলি লেখো।
উত্তর- আমদের তথা জীবের স্বাস্থ্যই সম্পদ তাই শরীর যাতে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে সেই পথ অবলম্বন করে চলতে হবে। সুস্থ শরীর ও মনের দ্বারাই গড়ে ওঠে সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ। আর পরিবেশ দেশ এবং পৃথিবী গড়ে ওঠে সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ দিয়ে।
স্বাস্থ্যবিধানের অনেকগুলি উদ্দেশ্য রয়েছে, তারমধ্যে বিশেষ উল্ল্যেখযোগ্য উদ্দেশ্যগুলি নিন্মরুপ:
(i) সুস্থ্য শরীর অর্থাৎ রোগ মুক্ত শরীর গঠন।
(ii) সাস্থবান পরিবেশ বা সমাজ তথা দেশ গঠন।
(iii) মানুষকে রোগ জীবাণু মুক্ত রাখা ।
(iv) জীবন যাত্রার মান উন্নত করা।
(গ) শিশুদের ক্ষেত্রে আয়োডিনের অভাব হলে কী কী উপসর্গ দেখা যায় তা লেখো।
উত্তর- আয়োডিনের অভাবসম্পন্ন রোগীর নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি লক্ষ্য করা যায় :
(i)কানে কম শোনা বা শ্রবণশক্তি চলে যাওয়া।
(ii) ধীরগতিতে কথা বলা।
(iii) স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া অর্থাৎ পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়া।
(iv)গয়েটর-থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধির কারণে গলায় ফোলাভাব,ইত্যাদি।
৩। টীকা লেখো :
(ক) মিড-ডে মিল
উত্তর- ক্ষুধার্ত শিশু বা অসুস্থ শিশু, কেউই সঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারে না। এই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে,প্রথম শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার ব্যবস্থা শুরু করে ১৯৬২-৬৩ সালে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে মিড-ডে মিল (এমডিএম) প্রকল্প চালু করা হয়। মিড-ডে মিলের খাবার তিনটি বিষয়ের উন্নতি করে:
১) স্কুলে উপস্থিতি
২) স্কুলছুটের সংখ্যা কমানো
৩) শিশুদের পুষ্টির উপর একটি উপকারী প্রভাব।
(থ) নির্মল গ্রাম
উত্তর- মাননীয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা রাখার উদ্দেশ্যে সরকার, 'মিশন নির্মল বাংলা’(2 Oct 2014 ) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি বৈপ্লবিক প্রকল্প।এই প্রকল্পের মাধ্যমেই গড়ে উঠেছে নির্মল গ্রাম।নির্মল গ্রাম গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ তৈরি হয়েছে।
যেমন:(i)কেউ খোলা মাঠে মলমূত্র ত্যাগ করতে পারবে না।
(ii)যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করা যাবে না।
(iii)রাস্তার ধারে প্রস্রাব করা যাবেনা।
(iv)যেখানে সেখানে মলমূত্র ফেলা যাবে না।
(v)নোংরা আবর্জনা রাস্তার ধারে বা যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ফেলা যাবে না।
(vi)এরকম আরো অনেক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলার গ্রামকে স্বাস্থ্যবান গ্রাম গড়ে।
৪। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
(ক) স্বাস্থ্যবিধানের অভাবজনিত পাঁচটি রোগের নাম লেখো এবং ঐ রোগগুলি কী কী কারণে হয় তা লেখো।
উত্তর- স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যেসব নিয়ম কানুন অনুসরণ করা হয় সেগুলোকেই স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে অভিহিত করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য যেসব রোগ হতে পারে তারমধ্যে বিশেষ রোগগুলো হলো:
(i) অমাশয়, -নোংরা ও অশুদ্ধ পানি পান করার ফলে আমাশয় ধরনের রোগ হয়।
(ii) ডায়রিয়া,-অঢাকা ও অপরিষ্কার খাদ্য গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া রোগ হয়ে থাকে।
(iii) ট্র্যাকোমা,-স্বাস্থ্যের ওপর যত্নের অভাবে ট্রাকিয়া প্রকৃতির রোগ দেখা যায়।
(iv) চুলকানি, - নিয়মিত সাবান ব্যাবহার নাকরায়,বিশেষ ধরনের কিছু খাদ্য গ্রহণের ফলে যেমন বেগুন অথবা এই ধরনের কিছু সবজি গ্রহণের ফলে চুলকানি রোগ হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন কীটপতঙ্গের রেগে গিয়ে গায়ে বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়।
(v ) ম্যালেরিয়া- আমাদের ঘুমানোর সময় মশারি বা মসকিউটো নেট ব্যবহার না করায়, বিভিন্ন ধরনের মশার কামড়ে আমাদের শরীরের রক্তের জীবাণু প্রবেশ করে এবং ম্যালেরিয়া ধরনের রোগ হয়।
(খ) নীচের যোগাসনের ভঙ্গি শনাক্ত করে ফাঁকা ঘরে যোগাসনটির নাম লেখো এবং এই যোগাসনটির অনুশীলনের পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি ও উপকারিতা বর্ণনা করো।
পদ্ধতি : প্রথমে যোগাসন উপযুক্ত পোশাক পরিধান করে পা জোড়া করে দাঁড়াতে হবে। দু’ হাত ওপরে তুলে কানের দু’ পাশে ঠেকিয়ে রাখতে হবে। আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকে দু’ হাতের তালু পায়ের আঙুলের সামেন মাটিতে ছুয়ে আসে যেন পায়ের বুড়ো আঙুল ছুঁয়ে থাকে। কপাল দু’ হাঁটুর মাঝখানে, স্পর্শ করাতে হবে। হাঁটু সোজা থাকবে। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে মনে মনে দশ থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে তিরিশ চালিয়ে যেতে হবে। এর পর সোজা হয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আস্তে হবে। এ বার শবাসনে শুয়ে পড়তে হবে। এ রূপ তিন বার করতে হবে।প্রত্যেকদিন দিনে একবার হলেও নিয়মিতভাবে এই যোগাসন চালিয়ে যেতে হবে।
উপকারিতা : এই যোগাসন নিয়মিত করার উপকারিতা হলো ডায়াবেটিস,ক্ষুধামান্দ্য, পেটের অসুখ, অজীর্ণ, সায়েটিকা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, কোলাইটিস, পেটে মেদ, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, লম্বা হওয়ার প্রয়োজনে, সাইনাসাইটিস ইত্যাদিতে উপকারী।