নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পাতাবাহার চতুর্থ শ্রেণি বাংলা পর্ব ১
Class 4 Bangla Patabahar Norohori Das
চতুর্থ শ্রেণি বাংলা পাতাবাহার নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
নরহরি দাস
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী,লেখক পরিচিতি: বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন 1863 খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের এক গ্রামে। তিনি সেই সময় লক্ষ্য করেছিলেন যে শিশুদের জন্য সেরকম কোন বইয়ের সন্দেহ পাওয়া যায়না ও শিশুদের পড়াশোনা ও মজার গল্প ছড়া রচনা ও কবিতা ছন্দে ছন্দে কবিতা এই সমস্ত গুলো বড়ই অভাব দেখা যায় তাই সেই সমস্ত অভাব মোচন rytrtt তার মধ্যে কিছু বিশেষ উল্লেখযোগ্য বই হল যেমন গুপী গাইন বাঘা বাইন মহাভারত টুনটুনির বই ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এছাড়াও রয়েছে তার নরহরি দাস মেঘের মুলুক।তার সাহিত্যের ভাবাপন্ন ও লিখনের এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে তাকে শিশু সাহিত্য সম্রাট বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।
এই মহান লেখক কোন1 915 খ্রিস্টাব্দে কুড়ি ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন মাত্র 52 বছর বয়সে।
আর আজকে তার লেখা গ্রন্থ গুলির মধ্যে আমরা ছোট একটা গল্প পড়তে চলেছে তা হল নরহরি দাস চতুর্থ শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকের পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পার্থ হিসাবে গণ্য স্থান দিয়েছেন।
তোমরা সকলেই পাঠ্যপুস্তক এর পার্টি ভালো করে মন দিয়ে দু'তিনবার পড়বে এবং অর্থসহ বোঝার চেষ্টা করবে।
আমরা তোমাদের সুবিধার্থে এর জন্য সারসংক্ষেপ অর্থাৎ বিষয়বস্তু আলোচনা করে দিয়েছি নিচে একবার ভালো করে মন দিয়ে পড়ে নাও।
Norohori Das Class 4 Bangla |
এই কথা শুনে ছাগলছানা টি তার মত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং কিভাবে হবে সেই পরামর্শ চেয়ে তার কাছ থেকে নেয়। স্যার স্যার টি বলে তার সঙ্গে আসতে ও আরো ভালো কচি ঘাস খেতে চলে গেল স্যারের সঙ্গে জঙ্গলে এবং সেই জঙ্গলে গিয়ে ঘাস খেতে খেতে বেলা শেষ হয়ে এল ও সার সে বাড়ি চলে আসে কিন্তু ছাগলছানা টি এতই খাবার খেয়ে নিয়েছ যে আর সে নড়াচড়া করতে পারছে না ও হাঁটতে অত্যান্ত অসুবিধা আছে তাই সে বলল আজকে বাড়ি যাবে না পরেরদিন সকালে সে বাড়ি যাবে। এই কথা বলেই বই ছাগলছানা টি শেয়ালের গর্তে ঢুকে পরল রাতে সিরিয়াল তার মামা বাঘের বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে যখন সে বাড়ি ফিরল এবং তার অন্ধকার গর্তের ভিতরে ছাগলছানা কে চিনতে না পেরে ভাবল হয়ত রাক্ষস হবে। শেয়াল তার গর্তের বাইরে থেকে জিজ্ঞাসা করল গর্তের ভিতর কে রয়েছে তখন ছাগলছানা ভয়ংকর উচ্চ স্বরে বলল আমি নরহরি দাস সিংহের মামা 50 ভাগের এক গ্রাস।
নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী |
এই কথা শুনে সিরিয়াল ভয়ঙ্কর ভয় পেলো এবং ছুট্টে চলে গেল তার মামার বাড়িতে অর্থাৎ বাঘের বাড়িতে এবং সেখানে গিয়েছে সমস্ত ঘটনা বলল ও তার সঙ্গে আসার জন্য অনুরোধ জানালো ভাগ্যে শুধু তাই নয় বলল যে তাকে যেন তার নিজের সঙ্গে বেঁধে নেওয়া হয় যাতে দৌড়াতে সুবিধে হয়। অবশেষে সেই বাঘ ও শিয়াল দুজনে গুহায় এসে উপস্থিত হয় এবং যখন গর্তের কাছে চলে আসে ও জিজ্ঞাসা করে ওখানে কে তখন ছাগলছানা টি আবার বলে যে আমি তোমায় বললাম আমি নরহরি দাস সিংহের মামা 50 বাঘের এক গ্রাস, আর বলল যে তুমি আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এই বাঘ কে নিয়ে এসেছ এ আমার কি করবে এই কথা শুনে বাঘ ভয়ঙ্কর দৌড় দিল এবং সেটাও উল্টোদিকে জোরে ছুটতে লাগল সে আছাড় খেতে খেতে চলছে বাঘের লেজ এর সঙ্গে কেননা বাঘের লেজে বাধা রয়েছে শিয়ালটি। শিয়ালটি আঘাত খেতে খেতে সে আধমরা হয়ে যায় বাঘের সঙ্গে লেজটি বেঁধে ভয়ঙ্কর ভুল করেছে ভুল করেছে সেটা সে পরে বুঝতে পারল আর শিয়াল বাঘের উপর অনেক রেগে যায়।
পরেরদিন সকালবেলায় ছাগলছানা গর্ত থেকে বের হয়ে যায় এবং শিয়ালের গর্ত ছেড়ে তার মায়ের কাছে চলে আসে।
Link Another Lesson of Bangla
Class 4 Bangla Patabahar | বাংলা পাতাবাহার চতুর্থ শ্রেণি
Link Another Subject