![]() |
Model Activity Task Class 8 Part 6 History Sept 2021 |
New Model Activity Task Class 8 Part 6 History Sept 2021
ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক অষ্টম শ্রেণি ২০২১
Model Activity Task Class 8 Part 6 History Sept 2021 | ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক অষ্টম শ্রেণি ২০২১
ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক অষ্টম শ্রেণি
History ইতিহাস
১.সঠিক তথ্য দিয়ে নিচের ছকে পূরণ করো
উত্তরঃ
![]() |
Model Activity Task Class 8 Part 6 History Sept 2021 |
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো : ১ × ৩ = ৩
উত্তরঃ সত্য
২.২ ১৯০৫ সালে ১৬ অ বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয় ।
উত্তরঃ সত্য
২.৩ পাঞ্জাবে লালা লাজপত রাই- এর নেতৃত্বে শিবাজি উৎসব চালু হয়।
২.১ ১৮৭৬ সালে লর্ড নর্থব্রুক জারি করেন নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন ।
উত্তরঃ মিথ্যাউত্তরঃ সত্য
২.২ ১৯০৫ সালে ১৬ অ বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয় ।
উত্তরঃ সত্য
২.৩ পাঞ্জাবে লালা লাজপত রাই- এর নেতৃত্বে শিবাজি উৎসব চালু হয়।
২.১ ১৮৭৬ সালে লর্ড নর্থব্রুক জারি করেন নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন ।
৩. সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০ টি শব্দে) : ২ × ২ = ৪
৩.১ অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ কী ?
উত্তরঃ ব্রিটিশ শোষন , সম্পদের বহির্গমন ও অবশিল্পায়ন প্রভৃতি কারণে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দুর্দশার চরম সীমায় পৌঁছে যায় । এই অবস্থায় দাদাভাই নৌরজি, গোবিন্দ রানাডে প্রমুখ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতারা ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ধ্বংসের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে দায়ী করতে থাকেন। তাঁরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য প্রতিবাদ শুরু করেন। এই কার্যকলাপ, অর্থনৈতিক জাতীয়বাদ নামে পরিচিত।
৩.২ ইলবার্ট বিলকে নিয়ে কেন বিতর্কের সূচনা হয়েছিল ?
উত্তরঃ লর্ড রিপনের আমলে ১৮৮৩ সালে ইলবার্ট বিল তৈরি করা হয়। এই বিলে বলা হয় যে ভারতীয় বিচারকেরাও ইউরোপীয়দের বিচার করতে পারবে। এই বিলের প্রতিবাদে ইউরোপীয়রা বিদ্রোহ করেন। ফলে সংঘটিত প্রতিবাদে বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আবার, এই বিল প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা আন্দোলন শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত ভারতীয়রা শর্তানুযায়ী ইউরোপীয়দের বিচার করার অধিকার পায়।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (১২০-১৬০ টি শব্দে) : ৫ × ১ = ৫
বিশ শতকের প্রথম দিকে বাংলায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন গুপ্ত সমিতির পরিচয় দাও ।
উত্তরঃ বিশ শতকের প্রথমদিকে ভারতীয়রা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ব্রিটিশ সরকার কার্লাইল সারকুলার জারি করে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করলে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক গুপ্ত সমিতি গড়ে ওঠে।
তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- অনুশীলন সমিতি, যুগান্তর দল, সাধনা সমিতি, ঢাকা মুক্তি সংঘ প্রভৃতি । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল অনুশীলন সমিতি এবং যুগান্তর দল।
(i) অনুশীলন সমিতি- বঙ্কিমচন্দ্রের অনুশীলন তত্ত্ব, আদর্শের ওপর ভিত্তি করে,সতীশচন্দ্র বসুর উদ্যোগ এবং প্রমথনাথ মিত্রের সভাপতিত্বে ১৯০২ সালে ঢাকায় অনুশীলন সমিতি গড়ে ওঠে ।
লক্ষ্য : - এই সমিতির লক্ষ্য গুলো হল -
বিভিন্ন শারীরক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলার ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে বৈপ্লবিক চেতনার বিকাশ ঘটানো।
বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার সম্পর্কে বিপ্লবিদের শিক্ষিত করে তোলে।
গুরুত্বঃ- এই সমিতির সদস্য সংখ্য ছিল প্রচুর। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এই সমিতির শাখা ছিল। তার মধ্যে পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে ঢাকা অনুশীলন সমিতি ছিল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।
(ii) যুগান্তর দলঃ - প্রমথ নাথ মিত্রের সাথে মতবিরোধ ঘটায় অনুশীলন সমিতির একদল বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত, উল্লাসকর দত্ত, হেমচন্দ্র দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ১৯০৬ সালে যুগান্তর দল প্রতিষ্ঠা করেন। যুগান্তর দলের প্রধান লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র বৈপ্লবিক আদর্শ প্রচার। তারা, 'যুগান্তর' নামে তাদের মুখপত্রের মাধ্যমে প্রচার করতো।
(iii) অন্যান্য দলঃ- দুই প্রধান গুপ্ত সমিতি ছাড়া যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর প্রচেষ্টা বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বৈপ্লবিক চিন্তাধারাকে এক অনন্য মাত্রা দান করেছিল।
উপসংহারঃ- বাংলার গুপ্ত সমিতি গুলি সম্পূর্ণ সুফল না হলেও তাদরে বৈপ্লবিক কার্যকলাপ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে প্রভাবিত করেছিল ।