ক্রিয়ার কাল |
{tocify} $title={Table of contents}
কাল কী?
কাল হল সময়। কাজ সম্পন্ন হওয়ার
সময়কে কাল বলে।
ক্রিয়ার কাল কাকে বলে?
কোন কাজ ঘটার বিভিন্ন সময় বোঝানোর জন্য,ক্রিয়া যে বিভিন্ন রূপে ব্যবহৃত হয়, তাকে ক্রিয়ার কাল বলে।
যেমন-
রমেশ পড়া করছে।
রমেশ পড়া করেছিল।
রমেশ পড়া করবে।
এখানে- করছে,করেছিল,করবে---ক্রিয়াপদ।
ক্রিয়া
পদগুলির দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে, করছে মানে কাজটা
এখন চলছে, করছিল অর্থাৎ কাজটা হয়ে গেছে, করবে হল কাজটা পরে হবে। তাহলে কনো ক্রিয়া ঘটবার সময়কে
কাল বলে।
ক্রিয়ার কালের প্রকারভেদ
ক্রিয়ার কাল সাধারণত তিন রকম যথা-
১) বর্তমান কাল
২) অতীত কাল
৩) ভবিষ্যৎ কাল
টেবিলের মাধ্যমে ক্রিয়ার কালের প্রকারভেদ-বর্তমান কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে কাজ এখন করা হচ্ছে তার কালকে বর্তমানকাল বলে।
যেমন-
আমি এখন বই পড়ছি।
আমরা এখন খেলা করছি।
তারা এখনফুটবল খেলছে।
এখানে- পড়ছি, করছি, খেলছে------বর্তমান কাল।
এরূপ- দিচ্ছে, করছে, যাচ্ছে
ইত্যাদি।
বর্তমানকালের প্রকারভেদ-
বর্তমান কাল সাধারণত চার রকম যথা-
১) নিত্য বর্তমান
২) ঘটমান বর্তমান
৩) পুরাঘটিত বর্তমান
৪) বর্তমান অনুজ্ঞা
নিত্য বর্তমান কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়ার কাজ সাধারনত ঘটে থাকে বা চিরকাল ঘটে, তাকে নিত্য বর্তমান বলে।
যেমন –
আমরা রোজ পড়াশোনা করি।
কৃষকরা কাজ করে।
এখানে- করি, করে------নিত্য বর্তমান।
ঘটমান বর্তমান কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়াটি এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিন্তু শেষ হয়নি তাকে ঘটমান বর্তমান বলে।
যেমন-
আমরা পড়ছি।
মাঝি নৌকা চালাচ্ছে।
বাবা বাজার যাচ্ছে।
এখানে- পড়ছি, চালাচ্ছে, যাচ্ছে--------ঘটমান বর্তমান।
পুরাঘটিত বর্তমান কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে কাজটি সবে শেষ হয়েছে কিন্তু তার ফল এখনো বর্তমান রয়েছে এরকম বোঝালে তাকে পুরাঘটিত বর্তমান' বলে।
যেমন
শ্যামল বইটা পড়ছে।
গীতা গানটি গেয়েছে।
প্রীতম দুর্গাপুর গেল।
এখানে- পড়ছে, গেয়েছে, গেল------পুরাঘটিত বর্তমান।
অতীতকাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে কাজ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে এমন বোঝায় তার কালকে অতীতকাল।
যেমন-
দীনেশ ভাত খাচ্ছিল।
আমরা গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ি
গিয়েছিলাম।
এখানে- খাচ্ছিল,
গিয়েছিলাম-------অতীতকাল।
এরূপ- শিখছিল, তুলেছিল, করতাম
ইত্যাদি।
অতীতকালের প্রকারভেদ
১) সাধারণ অতীত
২) ঘটমান অতীত
৩) পুরাঘটিত অতীত
৪) নিত্যবৃত্ত অতীত
সাধারণ অতীত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়া শুধুমাত্র সমাপ্তি বোঝায় তাকে সাধারণত বলে।
যেমন -
বিমালা ফুল তুলেছিল।
বাবা বাজার থেকে ফিরলেন।
আমি শরৎচন্দ্রের মহেশ গল্পটি পড়লাম।
এখানে- তুলেছিল, ফিরলেন, পড়লাম------সাধারণ অতীত।
ঘটমান অতীত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
কোন কাজ অতীতের কিছু সময় ধরে চলেছে এরূপ বোঝালে সে কালকে ঘটমান অতীত বলে।
যেমন-
আমি বাংলা পড়ছিলাম।
মিতা সকালে গান শিখছিল।
এখানে - পড়ছিলাম, শিখছিল---------ঘটমান অতীত।
পুরাঘটিত অতীত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়া বহুকাল পূর্বে ঘটেছিল বোঝায় তাকে পুরাঘটিত অতীত বলে।
যেমন-
আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।
ডাক্তারবাবু রোগী দেখে এল।
আমি একসময় কলকাতাতে থাকতাম।
এখানে - গিয়েছিলাম, দেখে এল, থাকতাম---------পুরাঘটিত অতীত।
নিত্যবৃত্ত অতীত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়া অতীতে নিত্য ঘটত বোঝায়, তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত বলে।
যেমন-
আমরা সেখানে একসঙ্গে থাকতাম।
আমি প্রতিদিন সকালে পার্থনা করতাম।
বাবা রোজ প্রাতঃভ্রমণ করতেন।
এখানে - থাকতাম, করতাম, করতেন------নিত্যবৃত্ত অতীত।
ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
ক্রিয়াপদের যে রূপের দ্বারা যে কাজ এখনো হয়নি, পরে হবে বা ঘটবে বোঝায় তাকে ভবিষ্যৎ কাল বলে।
যেমন-
নীলিমা আগামীকাল এখানে আসবে।
আগামী সোমবার তারা পিকনিকে
যাবে।
পূজার ছুটিতে দার্জিলিং যাব।
এখানে- আসবে, যাবে, যাব------ভবিষ্যৎ
কাল।
এরূপ- পড়ব, থাকবে, খাবে
ইত্যাদি।
ভবিষ্যৎ কালের প্রকারভেদ
ভবিষ্যৎ কাল চার প্রকার-
১) সাধারণ ভবিষ্যৎ
২) ঘটমানভবিষ্যৎ
৩) পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ
৪) ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা
সাধারণ ভবিষ্যৎ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়া ভবিষ্যতে বা পরে করবে তাকে বলে সাধারণ ভবিষ্যৎ।
যেমন -
শীতের পর বসন্ত আসবে।
আমরা ১২ই তারিখ সিনেমা দেখতে যাব।
তারা কালকে আমার বাড়িতে যাবে।
এখানে- আসবে, যাব, যাবে----------সাধারণ ভবিষ্যৎ।
ঘটমান ভবিষ্যৎ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়া ভবিষ্যতে একটি সময় ধরে ঘটতে থাকবে তাকে ঘটমান ভবিষ্যৎ বলে।
যেমন-
বিরাট খেলতে থাকবে।
একটু পরে রোদ বাড়তে থাকবে।
রহমানকে যতই বোঝাও সে ওই একই কথা বলে যাবে।
এখানে- থাকবে, যাবে-----ঘটমান ভবিষ্যৎ ।
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
ক্রিয়া ভবিষ্যতে হয়তো ঘটে থাকতে পারে এরকম বোঝালে ্পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ।
যেমন-
আমি আগামীকাল দিল্লি পৌঁছে যাব।
দাদা এতক্ষণ হয়তো স্টেশনে পৌঁছে থাকবেন।
তুমি বইটা নিয়ে রাখবে।
এখানে - যাব, থাকবেন, রাখবে------- ্পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ।
ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়ায় ভবিষ্যতের জন্য কোন আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, প্রার্থনা প্রভৃতি বোঝালে তাকে ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা বলে।
যেমন-
তুমি আমার জন্য বাড়িতে অপেক্ষা করবে।
তোমরা সবাই ভালো থেকো।
এখানে- করবে, থেকো------ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা।
ক্রিয়ার ভাব কী?
যে বিশেষ ভঙ্গিতে অসমাপিকা ক্রিয়ার কাজটি কীভাবে ঘটছে তা বোঝা যায় সেই বিশেষ ভঙ্গিকে ক্রিয়ার ভাব বলে।
ক্রিয়ার ভাব প্রধানত দুই রকম যথা-
১) নির্দেশক ভাব
২) অনুজ্ঞা ভাব
নির্দেশক ভাব কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে সমাপিকা ক্রিয়া দ্বারা কাজটি সাধারণভাবে নির্দিষ্ট হয়, সেই ক্রিয়ার ভাবকে নির্দেশক ভাব বলে।
যেমন-
আমি নাচ করছি।
তারা বাড়ি যাচ্ছে।
অনুজ্ঞা ভাব কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যে ক্রিয়া দ্বারা বক্তার আদেশ-উপদেশ প্রার্থনা অনুরোধ ইত্যাদি প্রকাশ পেলে সেই ক্রিয়ার ভাব কে অনুজ্ঞা ভাব বলে
যেমন-
মন দিয়ে পড়াশোনা করো।
আগামীকাল তুমি অবশ্যই আসবে।
ভগবান তোমার মঙ্গল করুক।
নীচের বাক্যগুলিতে ক্রিয়ার যে কাল আছে তা নীচের ছকে সঠিক ঘরে বসাও -
আমাদের Article ভালো লাগলে লাইক, শেয়ার ও Subscribe করতে পারো। যাতে তোমাদের অনুপ্রেরনাকে পাথেয় করে আরো নিত্যনতুন বিষয়ের উপর সহজতর, বোধগম্য ও চিত্তাকর্ষক লেখনী নিয়ে হাজির হতে পারি। ততক্ষন তোমরা সুস্থ থাকো, ভালো থেকো এবং এভাবেই পড়তে থাকো।
ধন্যবাদ
Every topic is so helpful and last practice system is so helpful.Thanks of all, dear DP.I am really happy to say that DP is one of the great edu. Site.
ReplyDeleteVery very very helpful
And To say heart,Thank u all.....
And keep going DP members.