![]() |
হাবুর বিপদ |
WBBSE Class 6 Bengali Habur Bipod
Habur Bipod Question and Answer
হাবুর বিপদ প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা
হাবুর বিপদ অজেয় রায়
হাতেকলমে
১.১ অজেয় রায়ের লেখা একটি জনপ্রিয় বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর। 'আমাজনের গহনে' অজেয় রায়ের লেখা একটি জনপ্রিয় বই।
১.২ তিনি কোন্ কোন্ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন?
উত্তর। শুকতারা, সন্দেশ, কিশোর ভারতী ইত্যাদি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :
২.১ প্রফুল্লর রচনা সুধীরবাবুর কেন পছন্দ হয়নি?
উত্তর। প্রফুল্ল ‘দে সরকারের' রচনা বই দেখে ‘বাংলাদেশে বর্ষাকাল’ রচনাটি পুরো নকল করেছিল, তাই তার রচনা সুধীরবাবুর পছন্দ হয়নি।
২.২ নিতাই শাস্তি পেল কেন?
উত্তর। নিতাই রচনা না লিখে মায়ের অসুস্থতার মিথ্যা অজুহাত দেওয়ায় তাকে শাস্তি পেতে হয়েছিল।
২.৩ সুধীরবাবু কোন্ অন্যায়কে ক্ষমা করেন না?
উত্তর। ক্লাসে না পড়ে আসার অন্যায়কে সুধীরবাবু ক্ষমা করেন না।
২.৪ সুধীরবাবুর কপালের ভাঁজ কীসের চিহ্ন?
উত্তর। সুধীরবাবুর কপালে ভাঁজ পড়লে বোঝা যায় যে, তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো :
৩.১ তিনকড়ি হাঁ করে হাবুর খাতার দিকে তাকিয়েছিল কেন?
উত্তর। তিনকড়ি হাবুর পাশে বসে লক্ষ করছিল যে, হাবু সাদা খাতা সামনে ধরে রচনা পড়ে যাচ্ছে। সাদা খাতা দেখে রচনা পড়ার বিষয়ে তিনকড়ি বিস্মিত হয়ে হাবুর খাতার দিকে তাকিয়েছিল।
৩.২ “ছেলেটা চর্চা রাখলে বড়ো হয়ে নির্ঘাত সাহিত্যিক হবে”—ছেলেটি সম্বন্ধে একথা বলার কারণ কী?
উত্তর। হাবুলচন্দ্র বাংলাদেশে বর্ষাকাল রচনায় সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতায় কথা প্রকাশ করেছিল। সহজ সরল ভাষায় নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সে রচনাটি বলেছিল। সেজন্যই সুধীরবাবু মনে করেছেন হাবুর এই মৌলিক রচনার চর্চা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সে ভবিষ্যতে অবশ্যই একজন সাহিত্যিক হিসাবে খ্যাতিমান হবে।
৩.৩ “মাঝে মাঝে পাতা উলটিয়ে বলে চলে”—পাতা ওলটানোর কারণ লেখো।
উত্তর। হাবু রচনা পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে পাতা ওলটায়। সে বোঝাতে চায় যে, সে রচনাটি খাতায় লিখেছে। হাবুর না লেখার কথা গোপন রাখতেই সে পাতা ওলটায়।
৩.৪ “বেমালুম ঠকাল আমাকে'—হাবুল কি সত্যিই মাস্টারমশাইকে ঠকিয়েছিল?
উত্তর। হাবু তার রচনা খাতায় বাড়ির কাজের রচনাটি লিখে আনেনি। সে ক্লাসে দাঁড়িয়ে মুখে মুখে মাস্টারমশাইকে রচনাটি শুনিয়েছিল। ফলে বাড়ির কাজ না করে এনে ছলনার আশ্রয় নিয়ে সে অবশ্যই মাস্টারমশাইকে ঠকিয়েছিল। কিন্তু তার রচনার মৌলিকতা প্রশংসনীয় ছিল।
৩.৫ হাবুলের রচনা শুনে সুধীরবাবুর হাবুলকে কী বলার ইচ্ছে হয়েছিল? শেষ পর্যন্ত সেই ইচ্ছে তিনি পূরণ করলেন না কেন?
উত্তর। হাবুলের রচনা শুনে সুধীরবাবু তাকে পিঠ চাপড়ে উৎসাহিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি কারণ তাহলে পরবর্তীকালে অনেক ছাত্র বাড়ির কাজ না করে স্কুলে আসবে এবং হাবুকে অনুসরণ করে না লিখে বানিয়ে বলবে। ফলে ক্লাসের শৃঙ্খলারক্ষা করা অসম্ভব হবে। তাই তিনি তার ইচ্ছা পূরণ করলেন না।