
মন ভালো করা শক্তি চট্টোপাধ্যায়

Mon Valo Kora
মন ভালো করা কবিতার কবি পরিচিতিঃ
মন ভালো করা শক্তি চট্টোপাধ্যায়ঃ
শক্তি চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৩–১৯৯৫) : বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি। জন্ম দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ু গ্রামে। পড়াশুনো করেছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ্য। এছাড়াও ধর্মে আছি জিরাফেও আছি, হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান, সোনার মাছি খুন করেছি, যেতে পারি কিন্তু কেন যাব উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কুয়োতলা, অবনী বাড়ি আছো? বিখ্যাত উপন্যাস। তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন।মন ভালো করা কবিতা থেকে কবি পরিচিতির প্রশ্ন উত্তরঃ
$ads={1}
👉১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
১.১ শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন?
উত্তরঃ শক্তি চট্টোপাধ্যায় কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন।
১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম- হে প্রেম, কুয়োতলা, অবনী বাড়ি আছো?
মন ভালো করা কবিতার অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
👉২. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্যরচনা করো :
হ্রস্ব - দীর্ঘ ( দীর্ঘ সময় পর দুই বন্ধুর দেখা হলো )।
খর - মৃদু ( মৃদু বাতাস বয়ছে )।
শান্ত - অশান্ত ( সমুদ্র আজ বড়ই অশান্ত )।
👉৩. নীচের শব্দগুলি কোন মূল শব্দ থেকে এসেছে লেখো :
রোদ্দুর > রৌদ্র
গা > গাত্র
👉৪. ‘হাওয়ায় বাতাসে পাতারাও নড়ে হাওয়া-বাতাসের মতো একই অর্থবোধক পাঁচটি শব্দবন্ধ
-
রচনা করে স্বাধীন বাক্যে প্রয়োগ করো।
উত্তরঃ
- গ্রামেগঞ্জেঃ গ্রামেগঞ্জে এখনো মাটির বাড়ি দেখা যায়।
- বনে-জঙ্গলেঃ হাতিরা বনে জঙ্গলে দাপাদাপি করে বেড়ায়।
- নদ-নদীঃ বাংলাদেশে অসংখ্য নদনদী দেখা যায়।
- অভাব-অনটনঃ হরিদার জীবনে অভাব অনটন লেগেই আছে।
- হাটে-বাজারেঃ হাটে বাজারে প্রচুর লোক দেখা যায়।
$ads={2}
👉৫. ‘মন-ভালো-করা,’ ‘নীল-নীলান্ত’র মতো একাধিক শব্দবন্ধ তৈরি করো।
উত্তরঃ
- ভুল-ভ্রান্তি
- আকাশ-পাতাল
- ক্ষীরের পুতুল
- কাজল-কালি
- দ্বন্দ্ব - বিবাদ
- দেশদেশান্তর
- বৃষ্টি বাদল
- দেনাপাওনা
👉৬. গদ্যে লেখো :
‘মন-ভালো-করা-রোদ্দুর কেন / মাছরাঙাটির গায়ের মতন?’
উত্তরঃ
গদ্যরূপ- মন ভালো করা রোদের রং মাছরাঙার গায়ের মতো কেন?
👉৭.) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৭.১ কবিতায় কবিমনে কোন কোন প্রশ্ন জেগেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ মন ভালো করা কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মনে হয়েছে রোদ্দুরের রং মাছরাঙা পাখির গায়ের মতো। কবির আরো মনে হয়েছে মাছরাঙার বর্ণময় আভা রোদ্দুরের মতো কখনো তীব্র কখনো মৃদু লাল,হলুদ,সবুজ বর্ণ ধারন করেছে।
৭.২ মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তরঃ মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি মাছরাঙার গায়ের রঙ্গের সাথে তুলনা করেছেন।
৭.৩ মাছরাঙা পাখির রং কবির চোখে কীভাবে ধরা পড়েছে?
উত্তরঃ মন ভালো করা কবিতায় মাছরাঙা পাখিটির গায়ের রং তীব্র, শান্ত,লাল,হলুদ,সবুজ মন ভালো করা রোদ্দুর হয়ে কবির চোখে ধরা পড়েছে।
$ads={1}
৭.৪ গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কীভাবে কবিকল্পনাকে প্রভাবিত করেছে তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ মন ভালো করা কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর মনে হয়েছে - মন ভালো করা রৌদ্র গাছের ডালে বসে থাকা মাছরাঙা পাখির গায়ের মতো। মাছরাঙার গায়ে যে লাল, হলুদ, সবুজের শিখার মতো তীব্র নীল রঙের ছোঁয়া তা যেন বর্ণময় রোদ্দুরের মতো বলে কবির মনোভাব।