Model Activity Task February 2022 Class 8 History Part 2 |
Model Activity Task February 2022 Class 8 History Part 2
WBBSE Class 8 Model Activity Task History February Part
Class 8 Model Task February 2022 History Fully Solved
Model Activity Task 2022 February Class 8 History Answer
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২ অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস ফেব্রুয়ারি পার্ট ২
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২
অষ্টম শ্রেণি
ইতিহাস
পূর্ণমান : ২০
অষ্টম শ্রেণি
ইতিহাস
পূর্ণমান : ২০
১. শূন্যস্থান পূরণ করো : ১×8=8
(ক) মুর্শিদকুলি বাংলার নাজিম পদ লাভ করেন,___ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর - ১৭১৭
(খ) হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন___
উত্তর - মিরকামার উদ-দিন খান সিদ্দিকী
(গ) বাংলায় ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল।___খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর - ১৭৭০
(ঘ) অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি প্রবর্তন করেন।___
উত্তর - লর্ড ওয়েলেসলি
২. স্তম্ভ মেলাও : ১×8=8
উত্তর -
৩. একটি-দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ১× ৩ = ৩
(ক) কোন নবাব বাংলার রাজধানী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মুঙ্গেরকে?
উত্তর - নবাব মীরকাশিম মুঙ্গেরকে বাংলার রাজধানী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
(খ) স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে কোম্পানি কোন রাজ্যগুলি দখল করে?
উত্তর - স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে কোম্পানি সাতারা, সম্বলপুর, ঝাঁসি প্রভৃতি রাজ্যগুলি দখল করেছিল ।
(গ) কোম্পানি ও মহীশূরের মধ্যে কতগুলি যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তর -১৭৬৭ — ১৭৯৯ খ্রি মধ্যে কোম্পানি ও মহীশূরের মধ্যে চারটি যুদ্ধ হয়েছিল ।
৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩×৩ = ৯
(ক) মুর্শিদকুলি বাংলার নাজিম পদ লাভ করেন,___ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর - ১৭১৭
(খ) হায়দ্রাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন___
উত্তর - মিরকামার উদ-দিন খান সিদ্দিকী
(গ) বাংলায় ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল।___খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর - ১৭৭০
(ঘ) অধীনতামূলক মিত্রতার নীতি প্রবর্তন করেন।___
উত্তর - লর্ড ওয়েলেসলি
২. স্তম্ভ মেলাও : ১×8=8
উত্তর -
ক-স্তম্ভ |
খ-স্তম্ভ |
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ |
পলাশী যুদ্ধ |
১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দ |
বক্সার যুদ্ধ |
১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ |
দেওয়ানি অধিকার |
(ক) কোন নবাব বাংলার রাজধানী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মুঙ্গেরকে?
উত্তর - নবাব মীরকাশিম মুঙ্গেরকে বাংলার রাজধানী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
(খ) স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে কোম্পানি কোন রাজ্যগুলি দখল করে?
উত্তর - স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে কোম্পানি সাতারা, সম্বলপুর, ঝাঁসি প্রভৃতি রাজ্যগুলি দখল করেছিল ।
(গ) কোম্পানি ও মহীশূরের মধ্যে কতগুলি যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তর -১৭৬৭ — ১৭৯৯ খ্রি মধ্যে কোম্পানি ও মহীশূরের মধ্যে চারটি যুদ্ধ হয়েছিল ।
৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩×৩ = ৯
(ক) ফররুখশিয়রের ফরমানে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে কী কী অধিকার দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর - ফারুকশিয়র ফার্মানে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে যে সমস্ত অধিকার প্রদান করা হয়েছিল তা হল -ব্রিটিশ কোম্পানি বছরে 3 হাজার টাকার বিনিময়ে বিনা শুল্কে বাংলায় বাণিজ্য করার অধিকার পায় । ফলস্বরূপ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা সন্নিহিত অঞ্চলে ৩৮ টি গ্রামের জমিদারির অধিকার পায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পণ্য কেউ চুরি করলে বাংলার নবাব তাকে শাস্তি প্রদান করবেন এবং কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দেবেন। কোম্পানির জাহাজের সঙ্গে অনুমতি পত্র থাকলে তা অবাধে বাণিজ্য করতে পারবে। এমনকি নবাবের মুর্শিদাবাদের টাঁকশাল ব্রিটিশ কোম্পানি প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবে।(খ) ‘পলাশির লুন্ঠন’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর - পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের পর থেকেই ব্রিটিস্ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের অর্থ ও সম্পদকে নিজের দেশ ইংল্যান্ডে পাচার করেছিল । ইংরেজরা কোন কিছুর বিনিময়ে এই সম্পদের নির্গমন ঘটায়নি , তাই অনেকে এই ঘটনাকে লুণ্ঠন বলে অভিহিত করেছেন । ব্রুকস অ্যাডামস সম্পদের এই নির্গমনের ঘটনাকে "পলাশীর লুণ্ঠন " বা ‘Plassey Plunder’ বলেছেন । পার্সিভ্যাল স্পিয়ার বলেছেন— পলাশীর পরবর্তী যুগ হল " প্রকাশ্য নির্লজ লুণ্ঠনের যুগ "। এইলুণ্ঠনের ধারা ঘটেছিল দুটি ধারায় । প্রথমত, বেসরকারিভাবে কোম্পানির কর্মচারীদের দ্বারা । দ্বিতীয়তঃ, কোম্পানির বাণিজ্যনীতি ও রাজস্বনীতির দ্বারা । এই দুই মাধ্যমে প্রচুর অর্থ ও সম্পদ ভারত থেকে ইল্যান্ডে পাচার করা হয়েছিল ।
(গ) কোম্পানি দেওয়ানি অধিকার পাওয়ার ফলে কী হয়েছিল?
উত্তর - দেওয়ানি লাভের পর থেকেই ভারতবর্ষে আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোম্পানির ক্ষমতা সুবিস্তৃত হয়েছিল। মিরকাশিমের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রচুর অর্থ বিনষ্ট হয়। দেওয়ানির অধিকার থেকে সেই খেসারত পূরণের উদ্যোগ নিয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এছাড়াও বাংলার রাজস্ব আদায় করার আইনি অধিকার ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী ক্ষমতালোভী করে তুলেছিল। দেওয়ানি লাভের ফলে ব্রিটিশের বাংলায় এক নতুন ধরনের রাজনৈতিক শাসনতন্ত্র অধিকার হয়। বাংলায় দুজন শাসক তৈরি হয়। একদিকে আইনশৃঙ্খলা ও দায়িত্ব ছিল বাংলার নবাবের হাতে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক অধিকার ও রাজস্ব আদায়ের অধিকার – পেয়েছিল ব্রিটিশ কোম্পানি। ফলে নবাবের হাতে ছিল ক্ষমতাহীন দায়িত্ব। আর কোম্পানি পেয়েছিল দায়িত্বহীন ক্ষমতা।