Koni by Moti Nondi | Question Answer Part Class 10 Bangla |
Class 10 Bangla Koni by Moti Nondi
Bangla Class 10 Uponas
Koni by Moti Nondi Question Answer Part Class 10 Bangla
'কোনি' উপন্যাস বাংলা সহায়ক পাঠ
1. 'কোনি' উপন্যাস অবলম্বনে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্র আলোচনা করো।
উত্তরঃ মতি নন্দী রচিত 'কোনি' উপন্যাসের কাহিনী যে মানুষটিকে নিয়ে আবর্তিত বিবর্তিত হয়েছে তিনি হলেন ক্ষিতীশ সিংহ। তিনি নিঃসন্তান, পঞ্চান্ন বছরের একজন সাঁতারের প্রশিক্ষক। তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন । গঙ্গার ঘটে যেতেন প্রতিদিন । এখান থেকেই তিনি কোনিকে আবিষ্কার করেন। তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন যে কোনির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
দীর্ঘ 35 বছর ধরে ক্ষিতীশ সিংহ জুপিটার ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ক্লাবের মধ্যে দলাদলি ও কুচক্রান্তের জন্য ক্ষিতীশ সিংহকে ক্লাবের সদস্যপদ ছাড়তে হয়। কিন্তু তাঁর লড়াই থেমে থাকেনি। তিনি দরিদ্র অসহায়া মেয়ে কোনিকে অ্যাপেলো ক্লাবে ভর্তি করিয়ে সাঁতার শেখাতে শুরু করেন। ক্ষিতীশ সিংহের আর্থিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না, তবুও তিনি কোনির খাওয়ার ব্যবস্থা করে, কোনির সংসার চালানোর জন্য যথাযথ চেষ্টাও করেন। এর থেকে তাঁর দরদী ও পরোপকারী মনের পরিচয় মেলে।
সমগ্র উপন্যাস জুড়ে ক্ষিতীশ সিংহের চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় পাওয়া যায় । গুরুকে শিষ্যের কাছে শ্রদ্ধেয় হতে হবে এবং কথায় কাজে ও উদাহরণ দিয়ে শিষ্যের মনের মধ্যে আশা, আকাঙ্খা, বাসনা জাগিয়ে তুলতে হবে— এটাই ছিল তাঁর মূলমন্ত্র । এইরকম মননের অধিকারী ছিলেন বলেই তিনি সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করে কোনির মতো একজন সাধারণ ঘরের মেয়েকে জাতীয় চ্যাম্পিয়ান তৈরি করতে পেরেছিলেন ।
২. কোনি চরিত্রর পরিচয় দাও.
উত্তরঃ মতি নন্দীর 'কোনি' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল কোনি । কলকাতা শহরের এক নিম্নবিত্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে কোনি। সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের সুনজর পড়ে তার উপর। এরপর তাকে নিয়ে ক্ষিতীশ শুরু করেন এক সাঁতারের লড়াই। তাকে তৈরি করেন চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু। ক্ষিতীশ ও কোনির এই সাঁতারের লড়াই-ই কোনি উপন্যাসের মূল বিষয়। এই উপন্যাসে কোনি চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে আলোচিত হলো।১. দৃঢ় ও স্বাধীনচেতা: কোনি নিম্নবিত্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। জীবনে চরম পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিখেছে শৈশব থেকেই। আর স্বাভাবিকভাবে হয়ে উঠেছে দৃঢ় মানসিকতার অধিকারিণী। সাঁতারের জলে ও তার এই দৃঢ়চেতার পরিচয় সে বহুবার দিয়েছে।
২.জেদি স্বভাব: উপন্যাসে দেখা যায় কোনি ও ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে অনেকবার চক্রান্ত চলেছে, হারিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যায়ভাবে। সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু কোনি একবারের জন্য দুর্বল হয়ে পড়েনি। সে জেদ ধরে রেখেছে ও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে এবং জয়ীও হয়েছে।
৩.আত্মমর্যাদা : মর্যাদাবোধ ও আত্মসচেতনতা কোনি চরিত্রের একটি উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য।তাই অপমানের জ্বালা কে পাথেয় করে গড়ে তুলেছে সাফল্যের পথ।
৪. পরিশ্রমী: বয়স কম হলেও কোনি ছিল কঠোর পরিশ্রমী। সাঁতারের কঠোর ট্রেনিং- এর পরেও সে লীলাবতীর দোকানে গিয়ে কাজ করেছে নিয়মিত।
৫. দায়িত্বশীলা ও কোমল স্বভাব: কোনিকে বাইরে থেকে কঠোর মেয়ে বলে মনে হলেও অন্তরে সে কোমল। ক্ষিতীশের প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধাবোধ ও নিজের পরিবারের প্রতি ছিলো অফুরন্ত ভালোবাসা। তাই ক্ষিতীশের দেওয়া টিফিনের টাকা সে বাড়িতে নিয়ে গেছে।