![]() |
Model Activity Task Bangla Part 5 Class 6 |
স্নেহের ছাত্রছাত্রীরা, আশা করি তোমরা সকলে ভালো ও সুস্থ আছো। তোমরা অবশ্য জানো যে, তোমাদের পড়াশোনাকে ধারাবাহিক রাখতে West Bengal Primary Board of Secondary Education আবার পূর্বের ন্যায় প্রত্যেক বিষয়ের Model Activity Task Part 5 সকল বিষয়ের প্রশ্নপত্র তোমাদের দিয়েছেন। এই প্রশ্নপত্র উত্তর লিখে তোমাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পূর্বের মতো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা করতে হবে।
Model Activity Task Bangla Part 5 Class 6-র সমস্ত প্রশ্নের উত্তর হাজির হলাম তোমাদের সম্মুখে। তোমরা আর সময় অপচয় না করে, এবার তোমরা তোমাদের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা পার্ট ৫ ষষ্ট শ্রেণি প্রশ্নপত্রের সমস্ত উত্তর গুলো ঝটপট লিখে নাও।
Model Activity Task Bangla Part 5 Class 6
১.'ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য।'-'মরশুমের দিনে' গদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো।
উত্তরঃ 'মরশুমের দিনে' গদ্যাংশে ধান কাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য দেখা যায়। মাঠে যতদূর দৃষ্টি যায় চোখে পড়ে মাটির শুকনাে ও কঙ্কালসার চেহারা। আল গুলি বুকের পাঁজরের মত হয়ে গেছে। সূর্যের দিকে তাকানাে যায়না। মাটি গুঁড়াে হয়ে রাস্তা হয়েছে ধুলোময় আর সেই ধুলাে হাওয়ায় উড়ে এসে চোখ মুখে ভরে যায়। বেলা বাড়তেই মাটি গরম হয়ে ওঠে। মাঠের চাষিরা তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে। পুকুর খাল বিল নদী সব শুকিয়ে যায়, কোথাও জল থাকে না। গাছের পাতা শুকিয়ে যায়। আগুনের ঝলকায় শুধু চারিদিকে করুন দৃশ্য।
২. দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্র 'হাট' কবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ দিনের বেলা হাটে চেনা অচেনা হাজার মানুষের ভিড় ও কোলাহল থাকে। হাটের ধুলােতে মানুষের পদচিহ্ন দেখা যায়। সবাই নিজের জিনিস গােছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সামান্য টাকার জন্য কত কাড়াকাড়ি দর কষাকষি। কেউ লাভ করে, আবার কেউ লোকসান করে।
রাত্রে ফাঁকা হাট ফাঁকা অবস্থায় পড়ে থাকে কেউ সন্ধা দেয় না,রাত্রে হাট নিস্তব্দ থাকে,দূরের বাড়িগুলােতে বাতি জ্বলে কিন্তু হাটে শুধু অন্ধকার এর রাজত্ব বিরাজ করে।রাত্রে নেই দরকষাকষি, নেই বেচাকেনা। এই ভবের সংসারে কত যে ক্রেতা আর বিক্রেতা এলাে আর গেলাে,তার হিসাব নেই।
৩.'মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র' রচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ কালী পূজা বা আমাবস্যা তিথিতে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা গৃহ অলংকার করে থাকে। মূলত জমিতে আকার আশ্রিত বিভিন্ন বর্ণ সমাবেশে রচিত দেয়ালচিত্রে রঙিন ফিতের মত সমন্তরাল রেখা ত্রিভুজ এবং চতুষ্কোণ বানিয়ে নকশা করা যায়।
সাধারণত ঘরের চারিদিকে থাকা মুল বেদিটিকে তারা কালাে রং করে তার সমান্তরালেই থানের চওড়া গেরুয়ার একটি রেখা টেনে তার ওপর কিছু ছাড় দিয়ে আরেকটি কালাে রেখা টানে। এর ওপর সাদা, আকাশী গেরুয়া, হলুদ রঙের রেখা দিয়ে চতুষ্কোণ বা ত্রিভুজগুলি তৈরি হয়। সেগুলি পাশাপাশি বসে দেয়াল ভরে ওঠে। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এই অপরূপ শিল্পর মাধ্যমে তাদের দেওয়াল চিত্রের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
৪. 'পিঁপড়ে' কবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে।- আলোচনা করো।
উত্তরঃ অমিয় চক্রবর্তী রচিত "পিপড়ে" কবিতায় পিঁপড়ের মত এই ছােট্ট প্রাণীটির প্রতি ভালােবাসা ও মমত্ববােধ ফুটে উঠেছে। কবির মতে সে যতই ছােট প্রাণী হােক না কেন তার পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে সবাই মিলেমিশে থাকার মধ্যেই কবি জীবনের পরম সার্থকতা মনে করেছেন।
৫. 'ফাঁকি' গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ।' - উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য?
উত্তর-লেখক রাজকিশাের পট্টনায়ক এর লেখা ফাঁকি গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল আম গাছ। গােপালের বাবার তৈরি একটি কলমি চারা থেকে গাছটি বড় হয়ে ওঠে এবং একসময় সেই গাছটি বিশাল জায়গা জুড়ে বিস্তারলাভ করেছিল। পাড়ার বিভিন্ন লােক এবং ছেলেরা সেই গাছের নিচে খেলাধুলা করা, বই পড়া, গল্প করা ইত্যাদি আরম্ভ করলাে।
এভাবে বিরাট আকারের এই গাছটি গােপালের বাড়ির নিশানায় রূপান্তরিত হল ।একদিন ঝড়েগাছটি মরে গেলে শুধু গােপালদের বাড়ির লােক নয় বরং পাড়ার সব লােক দুঃখ প্রকাশ করেছিল। তারপর সবাই লক্ষ্য করে গাছটির একধার উই পােকা খেয়ে ফেলেছিল অথচ কারাে নজরে আসেনি , যদি নজরে আসত তাহলে গাছটি এভাবে মরে যেত না। তাই গাছটিকে নিরীহ ও নিরপরাধ বলা হয়েছে।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা পার্ট ৫ ষষ্ট শ্রেণি
৬.'পৃথিবী সবারই হোক।'-এই আশীর্বাদ 'আশীর্বাদ' গল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের লেখা আশীর্বাদ গল্পে বক্তা হলাে গাছের পাতা।গল্প অনুযায়ী দিনশেষে পিঁপড়েকে মাটির নিচে আশ্রয় নিতে হয় বলে উপরে বলেছিল যে মাটি শুধু তাদের কিন্তু পাতা পিঁপড়েকে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে মাটি শুধু তার নয় মাটি সবার জন্যই। পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে এই পৃথিবীতে জীবজগতের প্রতিটি প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই পৃথিবীর আলাে-বাতাস,জল,মাটি ভােগ করার অধিকার সবার সমান।
৭.'ছোট্ট গাড়ির মধ্যে যতটা আরাম করে বসা যায় বসেছি।'-এর পরবর্তী ঘটনাক্রম 'এক ভুতুড়ে কান্ড' গল্প অনুসরণে লেখো।
উত্তরঃ এক ভুতুড়ে কান্ড কবিতায় আমরা দেখতে পাই এক নির্জন জায়গায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে লেখক চরম বিপদে পড়েন।
একটি লরি আসলেও লেখক কে উদ্ধার করে না। তারপর ধীরগতিতে একটি অস্টিন মােটরগাড়ি আসে। লেখক মরিয়া হয়ে চলন্ত গাড়িতে উঠে পড়েন। গাড়িতে উঠে তিনি দেখেন গাড়ি চলছে কিন্তু ড্রাইভার নেই। লেখক প্রথমে ভূতের ভয়ে চমকে উঠলেও শেষ পর্যন্ত গাড়ি থেকে নামেননি। ড্রাইভার হীন গাড়ি যেমন চলছিল তেমনি চলতে লাগলাে।
৮.'এক যে ছিল ছোট্ট হলুদ বাঘ'- 'বাঘ' কবিতা অনুসরণে তার কীর্তিকলাপের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ নবনীতা দেবসেনের লেখা 'বাঘ' কবিতায় একটি ছােট্ট বাঘের রাগ, দু:খ এবং তার কর্মকাণ্ডের পরিচয় পাওয়া যায়। সেই ছােট্ট বাঘটি থাকত তার বাবা-মায়ের সাথে পাখিরালয়ে। সেখানে শুধুই পাখি। ভেড়া, হরিণ কিছুই নেই, খাবে কি?
খিদের চোটে তার রাগ জমে ওঠে। খিদের জ্বালায় সে পাখি ধরতে লাফ দেয় কিন্তু পাখিরা উড়ে পালায়। তাতে সে আরাে প্রচন্ড রেগে যায়। এরপর খিদে মেটানাের জন্য সে নদীর ধারে কাঁকড়া ধরতে যায়। বাঘছানা গর্তে থাবা ঢােকাতেই কাঁকড়া তার দাঁড়া দিয়ে চিমটে ধরে। যন্ত্রনায় কেঁদে ওঠে। তারপর তার বাবা এসে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে। আলােচ্য গল্পে ছােট্ট বাঘটির খিদের জ্বালায় এসব কীর্তিকলাপের পরিচয় পাওয়া যায়।
আশা করি, তোমরা আমাদের উত্তর পত্র পেয়ে খুশি ও আনন্দ পেয়েছ বা হয়েছ তোমাদের মত তোমাদের আরো স্কুল ছাত্র ছাত্রী সহপাঠীদের এটা Share করে দাও, যাতে তারাও তোমার মতো আনন্দে লিখতে পারে ও সমস্ত প্রশ্নের সমাধান করে খুশি হতে পারে।
তোমরা এই প্রশ্নের উত্তর পত্র লিখতে বা বুঝতে অসুবিধে বোধ করছ, তাহলে তোমরা আমাদের নিচে Comment Box খুব শিগীর Comment করে পাঠিয়ে দাও। আমরা তোমাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। প্রশ্নগুলির উত্তর পত্র লিখে নিয়ে নিজে নিজে বিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেবে।
আমাদের Website-এ এতোক্ষণ থাকার জন্য তোমাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ জানায়। পরবর্তী Model Activity Task সমাধান, তোমরা আমাদের এই ডিজিটাল পড়াশোনা ওয়েবসাইট পাবে।