![]() |
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক |
New Model Activity Task Bengali Class 4
বাংলা
চতুর্থ শ্রেণী
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১.১. 'সন্দেহ নেই মাত্র। - কোন বিষয়ে
কবির মনে কোন সন্দেহ নেই?
উত্তরঃ- ' সবার আমি ছাত্র' কবিতায় কবি
সুনির্মল বসু এই পৃথিবীর বিরাট খাতায় যেসব পাঠ্যবিষয়
শিখছে তাতে সন্দেহ নাই।
১.২. ' গর্তের ভেতর কে ও'?- বক্তা কে?
উত্তরঃ – শিয়াল
১.৩. তোত্তো-চান স্কুলে গিয়ে ইয়াসুয়াকি
- চানকে কোন অবস্থায় দেখতে পেল?
উত্তরঃ - ইয়াসুয়াকি - চান ফুল গাছের
পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
১.৪...... 'সবাই বললে -' বেজায় মিঠে'
তাদের কাছে কোন কোন খাবার' বেজায় মিঠে' লেগেছিল?
উত্তরঃ - ধুলোবালির কোরমা- পোলাও, কাদার
পিঠে তাদের মিষ্টি লেগেছিল।
১.৫.' বক সে চালাক অতি চিকিৎসক - চুঞ্চু'।
চুঞ্চু শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ - চুঞ্চু শব্দের অর্থ- ওস্তাদ।
১.৬. মালগাড়ি কবিতায় কথক কার কাছে
মালগাড়ি হওয়ার বর চাইবে?
উত্তরঃ - পরীর কাছে বর চাইবে।
১.৭. সে ঘোর বনে মানুষের নাম গন্ধ নেই,
শুধু জানুয়ারের কিলিবিলি! কোন জঙ্গলের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ - এখানে লুসাই পাহাড়ের জঙ্গলের
কথা বলা হয়েছে।
১.৮. ইচ্ছা করে সেলেট ফেলে দিয়ে/ অমনি
করে বেড়ায় নিয়ে ফেরি। কথকের কি কি ফেরি নিয়ে বেড়াতে ইচ্ছে করে?
উত্তরঃ - চুড়ি ও চীনের পুতুল।
২. নিজের ভাষায় উত্তর দাও:
২.১. নানান ভাবের নতুন জিনিস শিখছি
দিবারাত্র- সবার আমি ছাত্র কবিতায় কবি কিভাবে প্রকৃতি থেকে দিনরাত নানানভাবের নতুন
জিনিস শেখেন?
উত্তরঃ - সবার আমি ছাত্র কবিতায় কবি
সুনির্মল বসু দিবারাত্র প্রকৃতির কাছ থেকে নিত্যনতুন জিনিস শেখেন। আকাশের থেকে উদার
হবার, সূর্যের থেকে আপন তেজে জ্বলার, বায়ুর কাছে কর্মী হবার, মাটির কাছে সহিষ্ণুতার,
চাঁদের থেকে হাসার, পাষাণ এর থেকে কঠোর হবার,
ঝরনার থেকে গান গাওয়ার শিক্ষা কবি পান।
২.২. গাছে ওঠার ব্যাপারটা তাহলে এইরকম
বক্তার অভিজ্ঞতার নিরিখে গাছে ওঠার ব্যাপারটা কি রকম?
উত্তরঃ - গাছে ওঠার ব্যাপারটা খুবই
অদ্ভুত। একটি মই নিয়ে গাছ লাগানো হলো। ইয়াসুয়াকি - চান উঠতে পারছিল না। তোত্তো-চান
তাকে নীচ থেকে পিছন দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো। তারপর তারা সিড়ি মই
এনে গাছের গোড়ায় লাগালো এবং ইয়াসুয়াকি - চান অগ্রভাগে পৌঁছে গেল। ডালে ইয়াসুয়াকি চান শুয়ে হাত বাড়ালো এবং তেত্তোচানকে
চাঁদকে উঠিয়ে নিল। অবশেষে দুজনে গাছে উঠতে
পারল।
২.৩. আম বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে
এ কথা বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ-গোলাম মোস্তফার 'বনভোজন' কবিতায় চারটি
মেয়ে আয়েশা, শফি, নুরু, পুষি আম বাগিচার তলায় এসে জড়ো হয়েছিল পিকনিক করার উদ্দেশ্যে
এবং মিছিমিছি ধুলোবালির কোরমা-পোলাও কাদার পিঠে প্রভৃতি খুব মিষ্টি বলে এবং তৃপ্তি
সহকারে হাসাহাসি করে খাচ্ছিল।
২.৪. টীকা লেখ :পটগুলটিশ, রাগ বানানো,
কবিতায় গল্প বলা।
পটগুলটিশ :
লেখিকা পুণ্যলতা চক্রবর্তী ছেলেবেলায়
পিসতুতো, খুড়তুতো ভাই বোনদের সঙ্গে ছাদের এক কোনে জমা করে রাখা গঙ্গা মাটি দিয়ে গোলাগুলির
উপকরণ তৈরি করত। কাদার এ বস্তুকে বলা হয় পটগুলটিশ।
রাগ বানানো :
লেখিকার ছেলেবেলার আরেক খেলা হল রাগ
বানানো। অপছন্দের লোক কে নিয়ে কাল্পনিক ও অদ্ভুত গল্প বানিয়ে একটা ঠাট্টা তামাশা
করে নাকাল করতো। লোককে বোকা বানানো হতো।
কবিতায় গল্প বলা:
লেখিকা পুণ্যলতা চক্রবর্তীর অন্য আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ খেলা ছিল কবিতায় গল্প বলা। গল্প নিয়ে
একেক জন এক একটি লাইন বানিয়ে বলতো
এভাবে তারা গল্পটি শেষ করত।
২.৫. মালগাড়ি কবিতায় কথক এর মালগাড়ি
হতে চাওয়ার তিনটি কারণ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ -
i) মালগাড়ি সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয়।
ii) মাল গাড়িতে যাত্রী ওঠানামার ব্যবস্থা থাকে না।
iii) মালগাড়ি নিজের
ইচ্ছে মত চলতে পারে।
২.৬. বিচিত্র সাধ কবিতায় শিশুটির মনে
কিভাবে বিচিত্র সাধ জেগে ওঠে?
উত্তরঃ -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচিত্র সাধ কবিতায়
শিশুটি জানালা খুলে দেখতে পাই যে পাহারা ওয়ালা গলি দিয়ে হাতে লন্ঠন নিয়ে চলে যায়।
রাত গভীর হলে গলিতে কেউ থাকেনা। শিশুটি তখন ইচ্ছে করে পাহারাওয়ালা হয়ে গলির পথে পথে
ঘুরে বেড়াবে।
৩. নির্দেশ অনুসারে নিচের প্রশ্নগুলির
উত্তর দাও
৩.১. নিচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধ
পদ খুঁজে নিয়ে সন্ধি বিচ্ছেদ করো
৩.১.১. সমুদ্রের একটি নাম রত্নাকর।
উত্তরঃ- রত্নাকর=রত্ন +আকর।
৩.১.২. আমাদের বিদ্যালয় আমাদের গর্ব।
উত্তরঃ - বিদ্যালয়=বিদ্যা +আলয়।
৩.১.৩. তোমার দায়িত্ব সকলকে স্বাগত জানানো।
উত্তরঃ - স্বাগত=সু+আগত।
৩.১.৪. রমেশ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
একটি বিখ্যাত চরিত্র।
উত্তরঃ - রমেশ=রমা+ঈশ।
৩.১.৫. সকলের মতৈক্য হওয়া সম্ভব নয়।
উত্তরঃ- মতৈক্য=মত+ঐক্য।
৩.২. সন্ধি করো:
৩.২.১. সুধী+ ইন্দ্র= সুধীন্দ্র।
৩.২.২. দাম+ উদর= দামোদর।
৩.২.৩. পূর্ণ +ইন্দু = পূর্ণেন্দু।
৩.২.৪. দিবস+ অন্ত= দিবাসান্ত।
৩.২.৫. বন +ওষুধি= বনৌষধি।
৩.৩. টীকা লেখ:
৩.৩.১. স্বরধ্বনি- যেসব ধ্বনি উচ্চারণের
সময় অন্য কোন ধ্বনির সাহায্য নেয় না নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে। তাদের স্বরধ্বনি
বলে। যেমন-অ,ই ইত্যাদি।
৩.৩.২. ব্যঞ্জনধ্বনি- যেসব ধ্বনি নিজে
নিজে উচ্চারিত হতে পারে না স্বরধ্বনির সাহায্য নেয়, তাদের ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।
যেমন ক, চ ইত্যাদি।
আমাদের পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোষ্টটি সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকেও দেখার সুযোগ করে দাও। উপরিক্তি কোন প্রশ্নোত্তরে সমস্যা থাকলে আমাদের Comment Section-এ অবশ্যই জানাও। আমরা তা সমাধানে সদা তৎপর ও সচেষ্ট থাকব, ধন্যবাদ।