Model Activity Task Class 7 Poribesh O Bigyan | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান

Model Activity Task Class7 poribesh O Bigyan, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা খুব ভালোই আছো। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা পর্ষদ শ্রেণীভিত্তিক মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান Model Activity Task Class 7 Poribesh O Bigyan এর প্রশ্ন-পত্র বিতরণ করেছে। হোম টাক্স হিসেবে উত্তর লিখে তোমাদের নিজ নিজ বিদ্যালয় জমা দিতে হবে। আমরা তোমাদের পাশে বন্ধুর মতো হাজির হয়ে সপ্তম শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমাধান করে দিলাম । আশা করি তোমরা উপকৃত হবে।

Digital Porasona -এর Online Educational Platform- এ সকলকে সু-স্বাগতম আমাদের এখানে তোমরা পাবে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক ও অনুশীলনীর খুঁটিনাটি ব্যাখ্যা ও আলোচনা তাছাড়া বাংলা ব্যাকরণEnglish Grammar এর সুস্পষ্ট, সহজ-সরল আলোচনা।

আজকের পোষ্টে আমরা 2021 এর Model Activity Task Class 7 এর Poribesh O Bigyan এর  যথাযথ সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছি আগামীতে আমরা পরবর্তী Model Activity Task -এর সমাধান নিয়ে হাজির হবো তবে এসো আমরা আজকের বিষয়ে প্রবেশ করি। 

Model Activity Task Class 7 Poribesh O Bigyan

পরিবেশ ও বিজ্ঞান

 সপ্তম শ্রেণী

Part-1

নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখঃ

) একটি বস্তুর উষ্ণতা 40°C( ডিগ্রি সেলসিয়াস) ফারেনহাইট স্কেলে তার মান কত হবে নির্ণয় করোl

উত্তর- আমরা জানি,

180C/100 = F - 32

বা, 18C/10= F – 32

বা, 9C/5 = F – 32

বা, C/5 = (F - 32) /9

বা, 40/5 = (F - 32) /9    অতএব-(সেলসিয়াসের মান বলে দেওয়া আছে , C=40)

বা,  8 = (F - 32) /9

বা, 72 = F – 32

বা, F = 72 +32

বা, F = 104.

কোন বস্তুর উষ্ণতা 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস স্কেলে হলে, ফারেনহাইট স্কেলে তা হবে 104 ডিগ্রী ফারেনহাইট.

) ম্যারামাস  রোগের ক্ষেত্রে কি কি লক্ষণ দেখা যায়?

উত্তর- ম্যারামাস  রোগটি বিশেষ করে  এক বছরের শিশুদের বেশি লক্ষ্য করা যায়। এই রোগের কিছু উপসর্গ বা লক্ষণ লক্ষ্য করা যায় সেগুলি হল-

ক) দেহের হাড়গুলি বাইরে থেকে বোঝা যায় স্পষ্ট ভাবে।

খ) দেহের পেশী গুলি যথাযথভাবে গঠিত হয় না।

গ) চামড়া জায়গায় জায়গায় কোঁচকানো হয়।

ঘ) হাত, পায়ের হাড় গুলো শুরু ও পাতলা হয়।

) তুঁতের জলিয় দ্রবণে একটা লোহার পেরেক ডুবিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পরে কি পরিবর্তন দেখবে? এটি কি ধরনের বিক্রিয়া? সমীকরণ দাও?

উত্তর- তুঁতের জলিয় দ্রবণে একটি লোহার পেরেক কে ডুবিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পরে দেখা যাবে যে লোহার পেরেক লালচে হয়ে পড়ে বা গায়ে লাল আস্তরণ পড়েছে।

লোহা সংকেত Fe, তুতের সংকেত CuSo4 ।

এদের মধ্যে পরস্পর থেকে ধাতব কপার অর্ধোমুখি বা নিম্নমুখী হয় আর তাদের পরস্পর বিক্রিয়ার ফলে ফেরাস সালফেট উৎপন্ন হয়।

এটি এদের মধ্যে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া ঘটে।

বিক্রিয়ার সমীকরণ টি হল-

CuSo4 + Fe = FeSo4 + Cu

) তোমার দেহ থেকে কোন কোন উপায়ে জল বাইরে বেরিয়ে যায় ব্যাখ্যা করো।

আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যম দিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে বা উপায় দেহের

বাইরে জল বেরিয়ে আসে যেমন

ক) ঘর্মগ্রন্থি : গ্রীষ্মকালে বা অতিরিক্ত গরমের শরীরের ঘর্মগ্রন্থির মাধ্যম দিয়ে

আমাদের শরীর ঘেমে গিয়ে শরীর থেকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মাধ্যমে জল

বেরিয়ে আসে।

খ) মূত্র : আমাদের সারা দিনে কয়েকবার মূত্র পরিত্যাগ করি যার মাধ্যমে আমাদের শরীরের সবথেকে বেশি জল বেরিয়ে আসে শরীর থেকে।

গ) চোখের মাধ্যমে: কান্নার সময় আমাদের চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে।

ঘ) মলের মাধ্যমে: মল পরিত্যাগ করার সময় আমাদের শরীর থেকে জল বাইরে পরিতক্ত হয়।

এছাড়াও শ্বাসের মাধ্যমে মাধ্যমে আমাদের জল বাইরে বেরিয়ে আসে।

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান এর সমাধান

Part-2

নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখ :

১. সংকেত লেখ- ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট।

উত্তর- ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড ও সোডিয়াম সালফেট এর সংকেত হলো,

ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড   Mgcl2

সোডিয়াম  সালফেট    Na2SO4.

২. বিভিন্ন খাবারের উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস আমাদের কিভাবে সাহায্য করে ?

উত্তর- আমরা বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন প্রকৃতির খাবার খেয়ে থাকি। তার মধ্যে ফাইটোকেমিক্যালস ( টমেটো, গাজর, বেগুন ইত্যাদি ) এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের যে সমস্ত উপকারিতা হয় সেগুলি হল-

(ক) এই সমস্ত খাবার মানবজাতি খাওয়ার ফলে তাদের যৌবন অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হতে থাকে ও সহজে বৃদ্ধ হয়ে যায় না।

(খ) হৃদপিন্ডের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করে।

(গ) হাড় শক্ত করে ধরে রাখে ও মজবুত করে।

(ঘ) ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস বা কমে যায়।

 

৩. মাটির কলসির জল ঠান্ডা থাকে কি করে তার ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর- মাটির কলসি জল ঠান্ডা থাকে কারণ এখানে বাষ্পীভবন ঘটে।

ব্যাখ্যা- একটি মাটির কলসিতে জল ভরে রাখলে মাটির কলসির বাইরের অবস্থা বা কলসির গা ভেজা হয়ে থাকে, কারণ মাটির কলসির মধ্যে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকার কারণে জল অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রূপে বেরিয়ে আসে   এবং বাইরের জলবায়ুর সঙ্গে ও আবহাওয়ার সঙ্গে বা জলীয় বাষ্পের সঙ্গে বাষ্পীভবন হতে থাকে এবং বাষ্পীভবন হওয়ার সময় জলের মধ্যে থাকা তাপ বর্জন করে জলকে ঠান্ডা করতে থাকে, যার কারণে কলসির জল ঠান্ডা হয়ে থাকে।  

৪. রোজ চাওমিন, এগ রোল, পেস্ট্রি, বিরিয়ানি ইত্যাদি ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে?

উত্তর- চাওমিন, এগরোল, পেস্ট্রি, বিরিয়ানি ইত্যাদি জাতীয় খাবার খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অসুবিধা দেখা দিতে পারে ।

যেমন- (ক) এই সমস্ত খাবার বেশি তেল জাতীয় যার কারণে, এতে আমাদের হজম শক্তি নষ্ট করে দেয়।

(খ) এই সমস্ত খাবার খেলে আমাদের মেদ বা শরীরের চর্বি জমতে থাকে।

(গ) এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর তথা চামড়া বিভিন্ন রোগ দেখা যায়।

(ঘ) বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

(ঙ) এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

৫. "প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া" বলতে কী বোঝায় ? প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়ার একটি উদাহরণ দাও?

উত্তর- যে সমস্ত যৌগ বা মৌল সরাসরি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিক্রিয়া করে এবং নতুন যৌগ তৈরি করে তখন ঐ বিক্রিয়া বা প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া বা সংশ্লেষণ বিক্রিয়া বলে।

উদাহরণ- 2Mg+O2 = 2Mgo.

গরম অবস্থায় অক্সিজেনের (O2) সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম(2Mg) বিক্রিয়া করার ফলে Mgo বা ম্যাগনেসিয়াম ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়।

৬. জীবদেহে জলের যে কোন তিনটি ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।

 উত্তর- জল জীব দেহের বিভিন্ন কাজের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, জল যে সমস্ত ভূমিকা পালন করে সেগুলি হল -

(ক) খাদ্য পরিবহন - সমস্ত জীব তাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন খাদ্যের জন্য,  খাদ্য খাওয়ার পর ঐ সমস্ত খাদ্য জলের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পৌঁছে যায় ।

(খ) বজ্র পদার্থ বর্জন- জীবদেহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বজ্র পদার্থ তৈরি হয় , জলের মাধ্যমে জীবদেহে থেকে ঐ  বজ্র পদার্থ শরীর থাকে বের হয় এবং শরীর সুস্থ ও সবল থাকে।

(গ) তাপ নিয়ন্ত্রণ- শরীরে বিভিন্ন পদ্ধতিতে তাপ উৎপন্ন হয়.অতিরিক্ত তাপ শরীরের পক্ষে ক্ষতি কর, ঐতাপ কে শীতল স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে এবং শরীরকে শীতল ও ঠান্ডা রাখতে বা তাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জলে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

(ঘ) রক্তে জলের ভূমিকা- জল জীব দেহের রক্তের মাধ্যমে থাকে এবং শরীরকে সুস্থ সবল রাখার জন্য বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে রাখে।

আমাদের পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ই পোষ্টটি সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকেও দেখার সুযোগ করে দাও উপরিক্তি কোন প্রশ্নোত্তরে সমস্যা থাকলে আমাদের Comment Section-এ অবশ্যই জানাও আমরা তা সমাধানে সদা তৎপর ও সচেষ্ট থাকব, ধন্যবাদ

Mehemud Ali

Mehemud Ali, an expert faculty of Bengali Grammar and Geography, love to teach.

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post