 |
Amader Poribesh Class 4 Part 2 |
আমাদের পরিবেশ প্রথম অধ্যায় Class 4
Amader Poribesh
প্রথম অধ্যায়-
পরিবেশের উপাদানঃ জীবজগৎ
Amader poribesh
আগের পাতার ছবি দেখে.......
১। স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় জন্মানো গাছ
|
থানকুন্নি ,ফার্ন
|
২। জলের নীচে জন্মানো গাছ
|
শ্যাওলা
|
৩। জলে ভাসমান গাছ
|
কছুরিপানা
|
৪। শুকনো মাটিতে জন্মানো গাছ
|
আম গাছ
|
৫। পাহাড়ি জায়গার গাছ
|
চা গাছ
|
৬। বালিতে জন্মানো
|
ক্যাকটাস গাছ
|
৭। নোনাজলের পাশে জন্মানো গাছ
|
সুন্দরী, গরান
|
|
|
জলের উদ্ভিদ ও ডাঙ্গার উদ্ভিদ
তিতলিদের পুকুরে আজ পানা পরিষ্কার করা হবে। রহমানচাচা, বিশুকাকুরা খড় বেঁধে বিরাট দড়ি তৈরি করেছেন। পুরো পুকুরজুড়ে বিছিয়ে দিয়েছেন। তারপর দু-দিক দিয়ে ধীরে ধীরে টান দিলেন। সব পানাগুলো পুকুরপাড়ে জড়ো হয়ে গেল। ফিরোজ, শম্পা, বিল্টুরা এসব দেখছিল।
বিল্টু বলল – জলেতে কতরকম গাছ।
ফিরোজ বলল – ডাঙাতেও তো কতরকম গাছ। বাড়ির ফণীমনসার গায়ে কত কাঁটা। কোনোদিনও জল দিতে হয় না। - জিওল গাছে আঠা। শিমুল গাছে তুলো। পলাশ গাছে আগুন-রঙা ফুল। গরানের কাঠ।
তিতলি বলল – গত বছর দার্জিলিং গিয়েছিলাম। সেখানে বড়ো বড়ো পাইনগাছ দেখেছিলাম।
ফিরোজ বলল – চলো একটা কাজ করি। আমাদের এলাকায় জলে আর ডাঙায় নানারকম গাছ আছে। তার তালিকা করে দিদিমণিকে দেখাই।
তোমরা এবার তোমাদের এলাকায় কী কী উদ্ভিদ পাওয়া। ........
১। জলের গাছ
|
পদ্ম গাছ
|
২। ডাঙার গাছ
|
আম গাছ
|
৩। কাঁটা আছে এমন গাছ
|
বাবলা গাছ, বেল গাছ
|
৪। ফুল ও ফল হয় এমন গাছ
|
পেয়ারা গাছ, ডালিম,
|
৫। ফুল ও ফল হয় না এমন গাছ
|
সাল গাছ
|
৬। বিষাক্ত গাছ
|
বিছুটি
|
৭। কাঠ পাওয়া যায় এমন গাছ
|
জাম গাছ
|
৮। লতানো গাছ
|
সিম গাছ
|
আমাদের পরিবেশের চারপাশে যে সমস্ত প্রাণী দেখা যায় তারা কেউ উড়ে বেড়ায় আবার খেয়েও চলাফেরা করে আবার কেউ সাঁতার কাটে অর্থাৎ বিভিন্ন প্রাণীর বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য করা যায়।
কিছু প্রাণী আছে যারা উড়ে বেড়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় যেমন বিভিন্ন ধরনের পাখি ও কীটপতঙ্গ।
কিছু প্রাণী রয়েছে যারা পায়ে হেঁটে তারা তাদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য স্থান পরিবর্তন করে যেমন মানুষ গরু ছাগল কুকুর বিড়াল ইত্যাদি।
কিছু প্রাণী রয়েছে যারা চলাফেরা করার করার জন্য তাদের বুকের ওপর ভর দিয়ে চলাফেরা করতে হয় এদেরকে বুকে হেঁটে চলাফেরা করতে হয় এদেরকে বলা হয় সরিসৃপ প্রজাতির জীব।
যেমন সাপ জোক কেঁচো ইত্যাদি।
 |
Amader Poribesh Class 4 Part 2 |
আগের পাতায় কিছু প্রাণীর ছবি দেওয়া আছে তাদের দেখো তারপর দলে মিলে নিচের তালিকাটি পূরণ করো তারপর তোমরা চারপাশে থাকা নানা প্রাণীর নাম নিচের ছকে লেখো
জলে থাকে
|
দেয়ালে থাকে
|
জলে ও ডাঙায় দুই জায়গাতেই থাকে
|
গাছে থাকে
|
বনে থাকে
|
ফুলে ফুলে ঘোরে
|
পাতায় থাকে
|
জলে থাকে কিন্তু খালি চোখে দেখা যায় না
|
মাছ,
সাপ,
কুমির
|
গিরগিটি ও মাকড়সা আরশোলা
|
সাপ
ব্যাঙ
|
পাখি
বাদুড়
|
বাঘ
হরিণ
শিয়াল
|
প্রজাপতি মৌমাছি বোলতা
|
শুয়োপোকা
|
জীবাণু ভাইরাস
|
টিকলু দৌড়ে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। পায়ের কাছে হঠাৎ একটা কেন্নো এসে গেল। কোনোরকমে থামল টিকলু। কিন্তু একটু ছোঁয়া লাগল। অমনি কেন্নোটা গোল হয়ে গুটিয়ে গেল। আর নড়েও না চড়েও না। খানিকক্ষণ লক্ষ করল টিকলু। তারপর দেখে কেন্নো আস্তে আস্তে তার গুটি খুলে ফেলছে। টিকলু স্কুলে গিয়ে দিদিকে বলল–দিদি, কেন্নোকে ছুঁলেই গোল হয়ে যায়। তবে টিকটিকিকে ছুঁলে তো গোল হয় না। দিদি বললেন – আমরাও অমন গোল হতে পারব না।
 |
Amader Poribesh Class 4 Part 2 |
টিপাই বলল আমাদের তো শিরদাঁড়া আছে। আমরা পারব কী করে?
বাবলু বলল – আরশোলা, পোকামাকড়, কেঁচো, কৃমি সবই কেন্নোর মতোই
প্রাণী। শিরদাঁড়া নেই।
দিদি বললেন
ঠিক বলেছ। তবে শিরদাঁড়া থাকলেও অনেক প্রাণী গুটিয়ে
থাকতে পারে, যেমন সাপ।
টিকলু বলল – টিকটিকির মতো কারা? ডমরু বলল – মাছ, ব্যাং, সাপ, পাখি আর আমরা।তোমাদের এলাকায় বিভিন্ন প্রাণী দেখো। তারপর নিচের খোপগুলি করে ফেলো।
প্রাণীর নাম
|
কোথায় থাকে
|
গায়ের রং
|
আঁশ আছে কিনা
|
পায়ের সংখ্যা
|
ডানার সংখ্যা
|
লেজ আছে কিনা
|
কী খায়
|
প্রজাপতি
|
ফুলে
|
কালো , ঘিয়া রং, সাদা, লাল-হলুদ
|
না
|
ছয়টি
|
চারটি
|
না
|
ফুলের মধু
|
পাশাপাশি দুটি প্রাণীর ছবি দেওয়া আছে এদের একটা মিল ও একটা অমিল লেখঃ
 |
Amader Poribesh Class 4 Part 2 |
মিল
|
অমিল
|
পাশে দেওয়া ছবিটি হচ্ছে প্রজাপতি আর ইহা আকাশে উড়তে পারে আর ডান পাশে দেওয়া ছবিটি হচ্ছে শুরু পাখি আকাশে উড়তে পারে।
|
প্রজাপতি ফুলের মধু খেয়ে ঘুরে বেড়ায় আর চড়ুই পাখি পোকামাকড় ও দানাশস্য গ্রহণ করে। প্রজাপতি আঁকার ও আয়তনে ছোট কিন্তু ছোট পাখি আকার আয়তনে বড়।
|
 |
Amader Poribesh Class 4 Part 2 |
ছবির একপাশে দেওয়া রয়েছে ব্যাং অপর পাশে দেওয়া রয়েছে কচ্ছপ
মিল
|
অমিল
|
ব্যাং ইহা জলে ও স্থলভাগে বসবাস করে অপরপক্ষে কচ্ছপ ও জলে সাঁতার কাটতে পারে এবং ঢাকাতেও চলাফেরা করতে পারে।
|
ব্যাঙ এর গায়ের চামড়া পাতলা ও পায়ের আঙুলগুলো একটি পাতলা পর্দা দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংযোগ থাকে কিন্তু কচ্ছপের চামড়া অর্থাৎ খোলসটি পুরো আর খোলসের ভেতরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারে যা ব্যাং পারেনা।
|
 |
Amader Poribesh Class 4 Part 2 |
ছবির একপাশে দেওয়া রয়েছে কেঁচো অপরদিকে রয়েছে সাপ
মিল
|
অমিল
|
কেঁচো ও সাপ অভয় মাটিতে থাকে। কেঁচো ও সাপ দুটোই অমেরুদন্ডী প্রাণী।
|
কেঁচো মাটি খনন করে বসবাস করে কিন্তু সাপ নিজে থেকে মাটি খনন করতে পারেনা অপরের খনন করা গর্তে বসবাস করে। কেঁচো মাংসাশী প্রাণী নয় কিন্তু সাপ মাংসাশী প্রাণী।
|
 |
Amader Poribesh Class 4 Part 2 |
ছবিতে দুটো মাছ দেওয়া রয়েছে একটি মাছ হচ্ছে রুই মাছ অপরদিকে রয়েছে চিংড়ি মাছ
মিল
|
অমিল
|
রুই মাছ এবং চিংড়ি মাছ জলজ প্রাণী তারা জলে বসবাস করে।
|
রুই মাছ লাফিয়ে লাফিয়ে চলতে পারে না কিন্তু চিংড়ি মাছ লাফিয়ে লাফিয়ে চলতে পারে।
|