আদোরের ছাত্রছাত্রীরা, আশা করি তোমরা সকলে ভালো ও সুস্থ আছো। তোমরা অবশ্য জানো যে, তোমাদের পড়াশোনাকে ধারাবাহিক রাখতে West Bengal Education Board আবার পূর্বের ন্যায় প্রত্যেক বিষয়ের Model Activity Task Part 5 সকল বিষয়ের প্রশ্নপত্র তোমাদের দিয়েছেন। এই প্রশ্নপত্র উত্তর লিখে তোমাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পূর্বের মতো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা করতে হবে।
, এবার তোমরা তোমাদের Model Activity Task Bangla Part 5 Class 8 সমস্ত উত্তর গুলো ঝটপট লিখে নাও।
Model Activity Task Bangla Part 5 Class 8 । মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৫ বাংলা অষ্টম শ্রেণি
Model Activity Task Bangla Part 5 Class 8
Class 8 Model Activity Task Bangla Part 5
Model activity task 2021
Bengali, Part- 5
Class 8
নীচের প্রশ্নগুলি উত্তর দাও :
১. 'দাঁড়াও' কবিতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আততি কীভাবে ধরা দিয়েছে?
উত্তরঃ 'দাড়াও' কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর মনুষ্যত্ব, বিবেকবােধ, দরদী হৃদয়ের প্রকাশ ঘটেছে ।সহায় মানুষকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানাের আহ্বান জানিয়েছেন। কবির প্রার্থনা যে, যেকোনাে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অসহায়তায় হােক মানবিকতার বােধ থেকে মানুষ যেন মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সঙ্গী হয়, ব্যথিত মানুষের সমব্যাথী হয়ে ওঠে। পাশে দাঁড়াও' বা পাশে এসে দাঁড়াও' এই শব্দগুলি যথাক্রমে ৩ বার করে মােট ৬ বার এই কবিতায় ব্যবহার করা হয়েছে । এর মধ্য দিয়ে কবি মানুষের লুকিয়ে থাকা অন্তর-মানবিক চেতনাকে জাগ্রত করে পাঠকমনকে মানবতাবােধে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
২. 'লাঠি ধরলে বটে!' - বক্তা কে? কার সম্পর্কে তার এই উক্তি? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার কোন্ মনোভাবের পরিচয় পাও?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'পল্লীসমাজ' উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র প্রজা আকবর আলোচ্য উক্তিটি করেছেন । তিনি রমেশের সম্পর্কে এই উক্তি করেছেন। উক্তিটির মধ্য দিয়ে রমেশ এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ হয়েছে। তার লাঠি চালনায় আকবর অভিভূত হয়েছেন। রমেশের লাঠির আঘাতে সে আহত হয়, মাথা দিয়ে রক্ত পড়ে, কিন্তু সে থানায় গিয়ে নালিশ জানায় নি। কারণ তার আত্মসম্মানবােধ প্রবল এবং সে জানে রমেশ নিজের স্বার্থে নয়, গ্রামবাসীদের স্বার্থে লাঠি ধরেছেন। তাই তার কাছে পরাজিত হয়েও তার কোনাে অপমানবোধ নেই ।
৩. 'প্রাণ আছে, প্রাণ আছে' - 'ছন্নছাড়া' কবিতায় এই আশাবাদ কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তরঃ এক বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবক ট্যাক্সি খুঁজছিল এবং সেটি পেয়ে যাওয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তারা ঘটনাস্থলে যায়। রক্ত-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরি কে তারা পাজাকোলা করে ট্যাক্সিতে তুলে নেই । শরীরটি তােলার সময়ই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে চেঁচিয়ে ওঠে বলেছিলো, শরীরটিতে এখনও প্রাণ আছে। এইভাবেই শহরের ইট-কাঠ-পাথরের দয়া-মায়াহীন পরিবেশের মধ্যে থেকে একটি মায়া-মমতাপূর্ণ বিশ্বাসের শঙ্খধ্বনি বেজে ওঠে – “প্রাণ আছে, প্রাণ আছে" কথাগুলাের মাধ্যমে। কারণ, প্রাণ থাকলেই মর্যাদা থাকে এবং থাকে অস্তিত্বের অধিকার। আলােচ্য কবিতায় এইভাবেই আশাবাদ প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
৪. 'শিমুল গাছ অনেকে দেখিয়াছ।' - 'গাছের কথা' গদ্যাংশে শিমুল গাছের প্রসঙ্গ লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ 'গাছের কথা' গদ্যাংশে জগদীশচন্দ্র বসু গাছের বিভিন্ন লক্ষণ তুলে ধরেছেন। তিনি গাছের বীজ ছড়ানাের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন, পাখিরা ফল খেয়ে দূর দেশে বীজ নিয়ে যায়। ফলে অনেক জনমানবহীন দ্বীপেও গাছ জন্মে । এছাড়া অনেক সময় বীজ প্রবল বাতাসে উড়ে গিয়ে দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে তিনি শিমুল গাছের কথা স্মরণ করেছেন। শিমুল গাছের ফল রৌদ্রে ফেটে যাওয়ার পর তার বীজ তুলাের সঙ্গে উড়ে বেড়াতে থাকে।
৫. 'বিশ্বের বুক ফেটে বয়ে যায় এই গান - ' - কোন্ হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে যায়?
উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসুর 'হওয়ার গান' কবিতায় সমস্ত অংশ জুড়ে আছে হাওয়ার কথা। তাদের বাড়ি নেই, তাই তারা কেঁদে মরে। তারা বাড়ির সন্ধান করেছে সর্বত্র, কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি। তাদের চোখে অন্যান্যদের গৃহস্থালির ছবি ধরা পড়েছে, কিন্তু তাদের নির্দিষ্ট বাড়ি নেই। তাই তাদের কোনাে বিশ্রামও নেই, তারা চিরকাল উত্তাল। হাওয়াদের এই দুরবস্থা ও হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে চলেছে ।
৬. 'ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রঘাত!' - বুকুর কোন্ কোথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকুর মুখে ছেনু মাসিরা এসেছেন শুনে বুকুর মা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন অসময়ে বাড়িতে লােকের বেড়াতে আসা তিনি পছন্দ করেন না। কিন্তু অতিথিদের সামনে এসে তিনি ভীষণ আনন্দের সঙ্গে তাদের আমন্ত্রণ জানান এবং এতদিন কেন আসেননি তা নিয়ে অভিমান প্রকাশ করেন । মায়ের এই পরিবর্তন দেখে বুকু হঠাৎ সবার সামনে মায়ের সেই বিরূপ মন্তব্যগুলিকে বলতে শুরু করে। বুকুর এই কথাগুলাে শুনেই তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়েন ।
৭. 'পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি' কবিতায় গ্রামজীবন সম্পর্কে কবির যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ পাড়াগাঁর দু-পহর ভালােবাসি' কবিতায় কবি গ্রামজীবনের অপরূপ চিত্র এঁকেছেন। গ্রামজীবনের সঙ্গে কবির যেন নাড়ির বন্ধন। চালতার শাখার জলসিড়ির পাশে হেলে থাকা, মালিকহীন ঝাঁঝরা নৌকার হিজলে বাঁধা থাকা, দুপুরের শান্ত নিস্তব্ধ কবি গ্রাম্যজীবনের গল্প ও স্বপ্ন মাধুর্যের বেদনা অনুভব করেন। আর এসবের মধ্যে কবির আনন্দ-ঘন বেদনা প্রকাশ পায়।
৮. 'এলাহি ব্যাপার সব।' - 'নাটোরের কথা' রচনাংশ অনুসরনে সেই এলাহি ব্যবস্থাপনার বিবরণ দাও।
উত্তরঃ নাটোরের রাজবাড়িতে খাওয়াদাওয়ার এলাহি বন্দোবস্ত ছিল। খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, ডিম, মিষ্টি,পায়েস, পিঠে কিছুই বাদ ছিল না। হালুইকররা বাড়িতে বসেই এবেলা-ওবেলা নানারকম মিষ্টি তৈরি করে – এমনকি লেখকের আবদারে তাকে গরম সন্দেশ খাওয়াতে খাবার ঘরের সামনেই হালুইকর বসে গেল। অতিথিদের জন্য স্বয়ং রানি মা নিজের হাতে পিঠে- পায়েস তৈরি করেন।
৯. 'গড়াই নদীর তীরে' কাব্যাংশে প্রকৃতিচিত্র কীভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে?
উত্তরঃ পল্লিকবি জসীমউদ্দিনের লেখা 'গড়াই নদীর তীরে' কবিতাটিতে পল্লিপ্রকৃতির অনাবিল রূপ ফুটে উঠেছে । প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্যে কোনাে কৃত্রিমতা নেই। তাই কবিতায় পাওয়া যায় – কুটিরখানি যেন লতাপাতা আর ফুলের মায়ায় আবৃত । মাচানের ওপর সিম-লতা আর লাউ-কুমড়াের ঝাড় আবৃত। সেগুলি ফুলে ফুলে রঙিন কোণে হাওয়ায় দুলছে। কবির ভাবনায় রঙিন এসব ফুল যেন হেসে লুটোপুটি হচ্ছে।
বাকি বিষয় গুলির LINK নিন্ম রুপ-
তোমাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের Digital Porasona website-এ দৃষ্টিগোচর করার জন্য। আলোচ্য প্রশ্নোত্তর পর্বে যদি তোমাদের কোনো বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে, তাহলে তোমরা Comment Box-এ গিয়ে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেনা। আশা করি তোমরা আমাদের উত্তরপত্র পেয়ে খুশি ও উপকৃত হয়েছো, তাই তোমরা তোমাদের বন্ধু ও সহপাঠীদের কেউ Share করে, Model Activity Task Bangla Part 5 Class 8 । মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৫ বাংলা অষ্টম শ্রেণি তাদের করার সুযোগ করে দাও।
ভলো থেকো, সুস্থ থেকো। পরবর্তী Model Activity Task Part 6-এ প্রশ্নের উত্তর পর্ব নিয়ে হাজির হব তোমাদের সামনে প্রশ্নপত্র বিতরন করা মাত্রই।