Model Activity Task February 2022 Class 8 Bengali Part 2 |
Model Activity Task February 2022 Class 8 Bengali Part 2
WBBSE Class 8 Bengali February Part 2022 Solution
Class 8 Bengali Model Activity Task February 2022 Fully Solved
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২ (ফেব্রুয়ারী) অষ্টম শ্রেণী বাংলা পার্ট ২
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২ (ফেব্রুয়ারী)
অষ্টম শ্রেণি
বাংলা
পূর্ণমান : ২০
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১×৩=৩
১.১ অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে আরব জাতির সঙ্গে যাদের সংগ্রামের প্রসঙ্গ রয়েছে।
(ক) ইরানীয়
(খ) তুর্কি
(গ) স্পার্টা
(ঘ) মুর
উত্তর : (ঘ) মুর
১.২ মুর সেনাপতি আরব শিবিরে এসেছিলেন –
(ক) ঘোড়ায় চড়ে
(গ) হাতিতে চড়ে
(খ) উটেচড়ে
(ঘ) রথে চড়ে
উত্তর : (ক) ঘোড়ায় চড়ে
১.৩ আপনি সত্বর প্রস্থান করুন। — একথা বলেছেন –
(ক) আরবরাজ
(খ) আরব সেনাপতি
(গ) মুররাজ
(ঘ) মুর সেনাপতি
উত্তর : (খ) আরব সেনাপতি
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১×৩=৩
২.১ ‘আশ্রয়-প্রার্থনা করিলেন।’- কোথায় আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে?
উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে মুব সেনাপতি আরব শিবিরে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন ।
২.২ ‘সন্দিহানচিত্তে শয়ন করিলেন। কেন তার মনে সন্দেহ জেগেছে?
উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে থেকে আলোচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে।
আরব সেনাপতি এবং মুর সেনাপতি যখন আপন বংশের পূর্বপুরুষের গৌরবের কথা বলছিলেন তখন আরব সেনাপতির মুখ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং তার আচরণও পাল্টে যায়, তাই মুর সেনাপতি সন্দিহান চিত্তে শয়ন করলেন।
২.৩ ‘আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।’— বক্তা কেন একথা বলেছেন?
উত্তর : অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে আরব সেনাপতি মুর সেনাপতি কে উক্ত কথাটি বলেছিলেন, কারণ মুর সেনাপতি তার পিতার হত্যাকারী ছিলেন ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩×৩=৩
৩.১ ‘কিন্তু তাহার দিকভ্রম জন্মিয়াছিল।’— কার কথা বলা হয়েছে? এর ফলে কী ঘটেছিল?
উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে এক মুর সেনাপতির কথা বলা হয়েছে।‘ দিকভ্রম’ হওয়ার কারণে তিনি দিশা নির্ণয় করতে পারলেন না। ক্ষুধা, পিপাসায় কাতর হয়ে তিনি বিপক্ষ আরব সেনা শিবিরে হাজির হলেন এবং আশ্রয়ের জন্য প্রার্থনা করলেন।
৩.২ ‘এই সময়ে, সহসা আরব সেনাপতির মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল।’— আরবসেনাপতির মুখ বিবর্ণ হলো কেন?
উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পের বলা হয়েছে, ‘আতিথেয়তা বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের সমতুল্য নহে।’
দিক ভুল করে বিরোধী পক্ষ আরব সেনাপতির তাবুতে উপস্থিত হয়েছিলেন ক্লান্ত পিপাসার্ত এবং ক্ষুধার্ত মুর সেনাপতি । ইচ্ছা করলে সেই ক্ষণে আরব সেনাপতি তাঁকে হত্যা করতে পারতেন। তিনি তা না করে অতিথি বাৎসল্য দেখায়। তারপর বন্ধুভাবে তাঁর সঙ্গে গল্প শুরু করেন। উভয়েই নিজ পূর্বপুরুষদের সাহস ও পরাক্রমের কাহিনি বলতে থাকেন। বিদ্যাসাগর লিখেছেন – তাঁহারা, পরস্পর স্বীয় ও স্বীয় পূর্বপুরুষদিগের সাহস, পরাক্রম,সংগ্রাম কৌশল প্রভৃতির পরিচয় প্রদান করিতে লাগিলেন।
কথাপ্রসঙ্গে আরব সেনাপতি জানতে পারেন যে, আশ্রিত মুর সেনাপতি তাঁর পিতার হত্যাকারী। এই নিদারূণ সংবাদে তাঁর মনে প্রবল আক্রোশ জন্মায়। কিন্তু অতিথিবাৎসল্যের অক্ষমতায় অন্তরে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবেই তাঁর মুখ বিবর্ণ হয়ে ওঠে।
৩.৩ ‘এই বলিয়া, আরব সেনাপতি, সাদর সম্ভাষণ ও করমর্দন পূর্বক, তাহাকে বিদায় দিলেন। – আরব সেনাপতি উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে কী বলেছিলেন?
উত্তর : আরব সেনাপতি মুর সেনাপতি কে বলেছিলেন_ ” আপনি সত্বর প্রস্থান করুন এই বিপক্ষ শিবিরের মধ্যে আমা অপেক্ষা আপনার ঘোরতর শত্রু আর নাই। আমি শ্রবণ মাত্র বৈরসাধন বাসনার বসতি হইয়া বারংবার এই শপথ প্রতিজ্ঞা করিয়াছি সূর্যোদয় হইলেই প্রাণপণে পিতৃহন্তার প্রাণবন্ত সাধনে প্রবৃত্ত হইবো। এখন পর্যন্ত সূর্যোদয় হয় নাই, কিন্তু সূর্যদয়ের ও অধিক বিলম্ব নাই, আপনি সত্বর প্রস্থান করুন। আমি আপনাকে যে অশ্ব দিয়াছি উহা আমার অশ্ব অপেক্ষা কোন অংশেই হীন নহে। যদি উহা দ্রুতবেগে গমন করিতে পারে তাহা হইলে আমাদের উভয়ের প্রাণরক্ষার সম্ভাবনা থাকিবে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো : ৫
‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে আবর সেনাপতির আতিথেয়তাকে ‘অদ্ভুত’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : আরবজাতি অত্যন্ত অতিথিবৎসল জাতী রূপে পৃথিবীতে অধিক পরিচিত। আলোচ্য পাঠ্যাংশে আমরা তারই পরিচয় পাই। আরব সেনাপতি শত্রুপক্ষের আশ্রয় প্রার্থনাকারী সেনাপতিকে সানন্দে অতিথিরূপে বরণ করেছেন।
আশ্রিত মুর সেনাপতিই তাঁর পিতার হত্যাকারী– এই কথা জানতে পেরেও আরব সেনাপতি নিজেকে সংযত ও স্থির রেখেছেন। এমনকি অতিথি বাৎসল্যে কোনো খামতি রাখেননি । আবার অতিথিভাব মন থেকে দূর হওয়া মাত্র মুর সেনাপতিকে চরম শত্রু রূপেই গণ্য করেছেন। ঘোরতর শত্রুর প্রতি আরব সেনাপতির এইরূপ অস্বাভাবিক ব্যবহারকেই লেখক ‘অদ্ভুত আখ্যা দিয়েছেন।
১.১ অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে আরব জাতির সঙ্গে যাদের সংগ্রামের প্রসঙ্গ রয়েছে।
(ক) ইরানীয়
(খ) তুর্কি
(গ) স্পার্টা
(ঘ) মুর
উত্তর : (ঘ) মুর
১.২ মুর সেনাপতি আরব শিবিরে এসেছিলেন –
(ক) ঘোড়ায় চড়ে
(গ) হাতিতে চড়ে
(খ) উটেচড়ে
(ঘ) রথে চড়ে
উত্তর : (ক) ঘোড়ায় চড়ে
১.৩ আপনি সত্বর প্রস্থান করুন। — একথা বলেছেন –
(ক) আরবরাজ
(খ) আরব সেনাপতি
(গ) মুররাজ
(ঘ) মুর সেনাপতি
উত্তর : (খ) আরব সেনাপতি
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১×৩=৩
২.১ ‘আশ্রয়-প্রার্থনা করিলেন।’- কোথায় আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে?
উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে মুব সেনাপতি আরব শিবিরে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন ।
২.২ ‘সন্দিহানচিত্তে শয়ন করিলেন। কেন তার মনে সন্দেহ জেগেছে?
উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে থেকে আলোচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে।
আরব সেনাপতি এবং মুর সেনাপতি যখন আপন বংশের পূর্বপুরুষের গৌরবের কথা বলছিলেন তখন আরব সেনাপতির মুখ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং তার আচরণও পাল্টে যায়, তাই মুর সেনাপতি সন্দিহান চিত্তে শয়ন করলেন।
২.৩ ‘আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।’— বক্তা কেন একথা বলেছেন?
উত্তর : অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে আরব সেনাপতি মুর সেনাপতি কে উক্ত কথাটি বলেছিলেন, কারণ মুর সেনাপতি তার পিতার হত্যাকারী ছিলেন ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩×৩=৩
৩.১ ‘কিন্তু তাহার দিকভ্রম জন্মিয়াছিল।’— কার কথা বলা হয়েছে? এর ফলে কী ঘটেছিল?
উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে এক মুর সেনাপতির কথা বলা হয়েছে।‘ দিকভ্রম’ হওয়ার কারণে তিনি দিশা নির্ণয় করতে পারলেন না। ক্ষুধা, পিপাসায় কাতর হয়ে তিনি বিপক্ষ আরব সেনা শিবিরে হাজির হলেন এবং আশ্রয়ের জন্য প্রার্থনা করলেন।
৩.২ ‘এই সময়ে, সহসা আরব সেনাপতির মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল।’— আরবসেনাপতির মুখ বিবর্ণ হলো কেন?
উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পের বলা হয়েছে, ‘আতিথেয়তা বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের সমতুল্য নহে।’
দিক ভুল করে বিরোধী পক্ষ আরব সেনাপতির তাবুতে উপস্থিত হয়েছিলেন ক্লান্ত পিপাসার্ত এবং ক্ষুধার্ত মুর সেনাপতি । ইচ্ছা করলে সেই ক্ষণে আরব সেনাপতি তাঁকে হত্যা করতে পারতেন। তিনি তা না করে অতিথি বাৎসল্য দেখায়। তারপর বন্ধুভাবে তাঁর সঙ্গে গল্প শুরু করেন। উভয়েই নিজ পূর্বপুরুষদের সাহস ও পরাক্রমের কাহিনি বলতে থাকেন। বিদ্যাসাগর লিখেছেন – তাঁহারা, পরস্পর স্বীয় ও স্বীয় পূর্বপুরুষদিগের সাহস, পরাক্রম,সংগ্রাম কৌশল প্রভৃতির পরিচয় প্রদান করিতে লাগিলেন।
কথাপ্রসঙ্গে আরব সেনাপতি জানতে পারেন যে, আশ্রিত মুর সেনাপতি তাঁর পিতার হত্যাকারী। এই নিদারূণ সংবাদে তাঁর মনে প্রবল আক্রোশ জন্মায়। কিন্তু অতিথিবাৎসল্যের অক্ষমতায় অন্তরে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবেই তাঁর মুখ বিবর্ণ হয়ে ওঠে।
৩.৩ ‘এই বলিয়া, আরব সেনাপতি, সাদর সম্ভাষণ ও করমর্দন পূর্বক, তাহাকে বিদায় দিলেন। – আরব সেনাপতি উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে কী বলেছিলেন?
উত্তর : আরব সেনাপতি মুর সেনাপতি কে বলেছিলেন_ ” আপনি সত্বর প্রস্থান করুন এই বিপক্ষ শিবিরের মধ্যে আমা অপেক্ষা আপনার ঘোরতর শত্রু আর নাই। আমি শ্রবণ মাত্র বৈরসাধন বাসনার বসতি হইয়া বারংবার এই শপথ প্রতিজ্ঞা করিয়াছি সূর্যোদয় হইলেই প্রাণপণে পিতৃহন্তার প্রাণবন্ত সাধনে প্রবৃত্ত হইবো। এখন পর্যন্ত সূর্যোদয় হয় নাই, কিন্তু সূর্যদয়ের ও অধিক বিলম্ব নাই, আপনি সত্বর প্রস্থান করুন। আমি আপনাকে যে অশ্ব দিয়াছি উহা আমার অশ্ব অপেক্ষা কোন অংশেই হীন নহে। যদি উহা দ্রুতবেগে গমন করিতে পারে তাহা হইলে আমাদের উভয়ের প্রাণরক্ষার সম্ভাবনা থাকিবে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো : ৫
‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে আবর সেনাপতির আতিথেয়তাকে ‘অদ্ভুত’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : আরবজাতি অত্যন্ত অতিথিবৎসল জাতী রূপে পৃথিবীতে অধিক পরিচিত। আলোচ্য পাঠ্যাংশে আমরা তারই পরিচয় পাই। আরব সেনাপতি শত্রুপক্ষের আশ্রয় প্রার্থনাকারী সেনাপতিকে সানন্দে অতিথিরূপে বরণ করেছেন।
আশ্রিত মুর সেনাপতিই তাঁর পিতার হত্যাকারী– এই কথা জানতে পেরেও আরব সেনাপতি নিজেকে সংযত ও স্থির রেখেছেন। এমনকি অতিথি বাৎসল্যে কোনো খামতি রাখেননি । আবার অতিথিভাব মন থেকে দূর হওয়া মাত্র মুর সেনাপতিকে চরম শত্রু রূপেই গণ্য করেছেন। ঘোরতর শত্রুর প্রতি আরব সেনাপতির এইরূপ অস্বাভাবিক ব্যবহারকেই লেখক ‘অদ্ভুত আখ্যা দিয়েছেন।